রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
গোল্ডেন মনিরের বাসা থেকে ২০০ প্লটের নথি জব্দ এবং বাড্ডার বাসা থেকে কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এগুলো আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে যারা যারা শনাক্ত হবে তাদের সকলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আদালতে যে মামলা আছে তা চলবেই।’
আরও পড়ুন: ‘গোল্ডেন মনিরের’ বিরুদ্ধে র্যাবের ৩ মামলা
তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা এটা এক দিনের প্রক্রিয়া নয়, এটা দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া। আমরা এতো দিনে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। গতবছর প্রথম উদঘাটন হয় এবং তখন থেকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সর্বশেষ বিষয়টি উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে।’
চেয়ারম্যান বলেন, রাজউকেরই এক কক্ষে গতবছর অভিযান পরিচালতি হয়েছিল। ওই কক্ষটি বাহিরে ভাড়া দেয়া ছিল। এই কক্ষ থেকে আমরা ৭২টি নথি উদ্ধার করেছি। সেই নথি উদ্ধারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সময়ই একজন কর্মচারী আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। সেই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলা চলমান রয়েছে। তদন্তও চলছে। এরসঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে, পুলিশ চার্জশিট দিলে এবং শনাক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজউকের গোল্ডেন মনিরকে ভিআইপি প্রটোকল দেয়া প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারিভাবে যেভাবে নথি স্বাক্ষর হয়, আমি সেই নিয়ম অনুসরণ করি। এখানে কাউকে কোনো প্রকার ভিআইপি প্রটোকল দেয়া হয়নি বা দেয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। এখানে নিয়ম ভঙ্গের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা তার অনিয়মগুলো উদঘাটন শুরু করেছি। উদঘাটন হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেগুলো উদঘাটন হবে সেগুলো অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আদালতে বিচার ও বিভাগীয় ব্যবস্থা চলছে।’
‘২০০ প্লটের মালিক হওয়ার বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন আছে। যাচাই বাছাইয়ের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে। ভবিষ্যতে কোনো প্রকার অনিয়ম থাকবে না,’ বলেন তিনি।