শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আশিক বিল্লাহ জানান, গোল্ডেন মনিরের কাছ থেকে ১০ দেশের নয় লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা, আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ ১.৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গোল্ডেন মনির হিসেবে পরিচিত মনির হোসেন একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও জমির দালাল। তিনি স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত বলে র্যাব জানতে পেরেছে, বলেন আশিক বিল্লাহ।
তিনি জানান যে মনির একটি গাড়ির শো-রুমের মালিক।
আশিক বিল্লাহ আরও জানান, মনির ১৯৯০-এর দিকে গাউসিয়া মার্কেটের এক দোকানে বিক্রয় কর্মী ছিলেন এবং পরে তিনি ক্রোকারিজ ও লাগেজের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি কর ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করতেন। তিনি পরে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ভারতের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে যান।
মনিরের নামে বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে ২০০ প্লট এবং তিন কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব তথ্য গোয়েন্দাদের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মনিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তিনি ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। রাজউকের এক শ্রেণির কর্মীর সহায়তায় তিনি অনেক জমির প্লট দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মনিরের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা বলে র্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান বলেন।
মনিরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।