আর্সেনাল
দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
পুরো ম্যাচজুড়ে স্বাগতিকদের ওপর ছড়িয়ে ঘোরাল আর্সেনাল, কিন্তু কাক্ষিত গোল দেখা দিল না একবারও। অপরদিকে, একটি পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে নির্ভুল শটে গোল করে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল ইন্টার মিলান। ইন্টার-আর্সেনাল ম্যাচটির সারাংশ এটুকুই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ঘরের মাঠ থেকে মিকেল আর্তেতার দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে হাতে বল লাগে আর্সেনাল মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর। এরপর নিখুঁত স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে দলকে জয় এনে দেন ইন্টার মিলানের তুর্কি মিডফিল্ডার হাকান চালানোলু।
এদিন ৬৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় আর্সেনাল, যার চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। কিন্তু ইন্টারের রক্ষণ দেওয়াল, ভালো শট ও ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
অপরদিকে, ৭টি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার, যা থেকে গোল আদায় করে নেয় সিমোনের দল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
এই ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে আর্সেনাল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
ইউরোপের শীর্ষ এ প্রতিযোগিতায় ড্রয়ের মাধ্যমে চলতি আসর শুরু করলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে ভালোই এগোচ্ছিল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিছিয়ে পড়ল তারা।
চার ম্যাচে দুই জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বাদশ স্থানে রইল আর্সেনাল।
অন্যদিকে, আর্সেনালের মতোই শুরুতে ড্র এবং পরের দুটি ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমে তৃতীয় জয় তুলে নিল ইন্টার। ফলে এখনও অপরাজিত থেকে ১০ পয়েন্ট নিয় টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া, স্পার্তা প্রাহাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইন্টারের সমান ১০ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে ব্রেস্ত, বোলোনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় মোনাকো এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়েই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পোর্তিং। আর চার ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ সপ্তাহ আগে
অবশেষ জয়যাত্রা থামল সিটির
হারতে যেন ভুলেই গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুম থেকে টানা অপরাজিত থেকে আরও একবার প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছিল ছিল তারা। তবে বোর্নমাউথের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ভাইটাইলিটি স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার লিগের দশ রাউন্ডের ম্যাচে সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বোর্নমাউথ।
ঘরের মাঠে ম্যাচের নবম মিনিটে আন্সো সেমেনিয়ো গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বোর্নমাউথের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভানিলসন। এরপর ৮০তম মিনিটে ইয়োশকো গেভার্দিওল একটি গোল শোধ করেন। পরে স্বাগতিকদের চেপে ধরেও হার এড়াতে ব্যর্থ হয়েছে গার্দিওলার দল।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
চোটজর্জর দল নিয়ে এদিন সিটি খেলতে নামার পর শুরু থেকেই এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে থাকে বোর্নমাউথ; যার ফলও তারা পেয়েছে। ম্যাচে শেষে একই কথা ঝরেছে গার্দিওলার কণ্ঠেও।
‘ম্যাচের রাশ বারবার টেনে ধরতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি আমরা। আজকে ওদের (প্রতিপক্ষের) গতি ছিল অন্যরকম। আমরা চেষ্টা করেও ওই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারিনি।’
এই হারে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হরের মুখে দেখল সিটি। এটি অবশ্য লিগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। গত ৫ অক্টোবর ফুলহ্যামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদেরই ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করে দলটি। এরপর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ও সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে জিতে রেকর্ডটি আরও উঁচুতে তোলে তারা। তবে ৩২ ম্যাচ পর আর তা লম্বা করা হয়ে উঠল না গার্দিওয়ালার শিষ্যদের।
এই হারে লিগের পয়েন্ট টেবিলেও অবনমন হয়েছে সিটির। দশ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। আর একই দিন একই সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাইটনকে হারিয়ে সিটির চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
দিনের অপর ম্যাচে নিউ ক্যাসলের মাঠে হেরে শিরোপার দৌড় থেকে খানকিটা পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। তবে চমক দেখিয়ে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
রবিবার একে অপরের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি।
২ সপ্তাহ আগে
নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
সেই অক্টোবরের ১৯ তারিখ থেকে শুরু। ওইদিন থেকে দুঃস্বপ্নের শুরু আর্সেনালের। প্রিমিয়ার লিগে তখন থেকে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। উল্টো দুই ম্যাচ হেরে শিরোপার দৌড়ে হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেলল তারা।
নিউ ক্যাসলের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে আর্সেনাল।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের চমৎকার এক হেডারে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল, এরপর দুদলের কেউই আর লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। অবশ্য ম্যাচজুড়ে বল দখলে দাপট দেখালেও গোলে শট রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে আর্সেনালের খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: লেস্টারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর শেষ সময়ের গোলে জিতল আর্সেনাল
এর ফলে, লিগে সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিই হারল গানাররা, দুটিই প্রতিপক্ষের মাঠে। মাঝে লিভারপুলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে তারা।
গত মৌসুমেও নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল দ্য ম্যাগপাইস।
অথচ চলতি মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে টেবিলের শীর্ষে আরোহণ করে সিটি-লিভারপুলদের সমানে টক্কর দিয়ে আসছিল আর্তেতার শিষ্যরা। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ২৫ ম্যাচে আর্সেনালের হার ছিল কেবল একটি (বাকি ২১ ম্যাচে জয় ও ৩টিতে ড্র)।
এই হারে দশম রাউন্ড শেষে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে আর্সেনাল। আর সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আটে নিউক্যাসল।
অপরদিকে, দশ রাউন্ডের খেলা শেষে শনিবার চমক দেখিয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। একইদিনে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দশ ম্যাচের পাঁচটি জিতে ও চারটি ড্র করে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির দল।
অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাস্টন ভিলা ও চেলসির পয়েন্ট যথাক্রমে ১৮ ও ১৭। রবিবার স্ব স্ব ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে পারলে নটিংহ্যামকে পেছনে ফেলে দেবে দুই দলই। সেক্ষেত্রে আরও পেছনে পড়ে যাবে আর্সেনাল।
২ সপ্তাহ আগে
ক্যারাবাও কাপ: এক রাতে বিদায় সিটি, ভিলা ও চেলসির
ইংলিশ ফুটবল লিগ বা লিগ কাপ বা ক্যারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটেনহ্যাম-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটি ছাড়া প্রিমিয়ার লিগে আধিপত্য দেখানো বাকি সবগুলো দলই পেয়েছিল তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ। কিন্তু মাঠের খেলায় এলোমেলো হয়ে গেছে তাদের অনেকেই।
বুধবার রাতে ক্যারাবাও কাপে ঘটেছে তিনটি অঘটন। এর মধ্যে বড় খবর হলো টটেনহ্যামের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে সিটি।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় দাপট দেখানো অ্যাস্টন ভিলা এবং এনসো মারেসকার অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া চেলসিকেও বিদায় নিতে হয়েছে চতুর্থ রাউন্ড থেকেই।
অন্যদিকে, দুর্দান্ত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর রোমাঞ্চের পর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে উঠেছে লিভারপুল। আর্সেনালও কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে, তবে জিততে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের।
টটেনহ্যামের কাছে সিটির হার
স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড ও গোলরক্ষক এদেরসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এদিন মাঠে নামে সিটি। চোটের কারণে দলে ছিলেন না কেভিন ডি ব্রুইনে-রদ্রিরাও।
অন্যদিকে, চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি টটেনহ্যামের তারকা ফরোয়ার্ড হিউং মিন-সনেরও।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই টিমো ভের্নারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ২৫তম মিনিটে টটেনহ্যামের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার পেপে মাতার-সার। এরপর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও টটেনহ্যামকে চেপে ধরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাথুস নুনেস-বের্নার্দো সিলভারা। শেষদিকে সমতায় ফেরার জোর চেষ্টা চালালেও টটেনহ্যামের রক্ষণ ভেদ করতে তা যথেষ্ট ছিল না। তাই ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে, গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও এবার কোয়ার্টারেও পৌঁছানো হলো না গার্দিওলার শিষ্যদের।
নিউক্যাসলের মাঠে জোড়া গোল হজম চেলসির
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এর তিন মিনিট পরই আক্সেল দিসাসির আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে চেলসি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর নিউক্যাসলের ওপর রীতিমতো শাসন করা শুরু করে চেলসির খেলোয়াড়রা। গোলের জন্য হন্যে হয়ে যায় তারা। কিন্তু ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ১৭টি শট নিয়ে একবারের জন্যেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি মারেসকার শিষ্যরা। ফলে দুর্দান্ত চেলসিকে ২-০ গোলে রুখে দিয়ে জয়ের হাসি হাসে এডি হাউইর দল।
ঘরের মাঠে হেরে ভিলার বিদায়
অ্যাস্টন ভিলার গল্পটি অনেকটা সিটির মতোই। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই (অষ্টম মিনিটে) এবেরেচি এজের গোলে পিছিয়ে পড়লেও অপ্রতিরোধ্য জন ডুরানের নৈপুণ্যে ২৩তম মিনিটেই সমতায় ফেরে উনাই এমেরির শিষ্যরা।
ম্যাচজুড়ে বলের দখল, আক্রমণ, গোলের সুযোগ তৈরি- সবকিছুতেই প্যালেসের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। তাই মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে তারা। কিন্তু দাইচি কামাদার গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ফের এগিয়ে যায় প্যালেস। এরপর রক্ষণে দেওয়াল তুলে স্কোরলাইন রক্ষা করে অলিভার গ্লেসনারের দল।
ফলে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
জিতল যারা
বড় দলগুলোর অনেকেই ব্যর্থ হলেও রুড ভ্যান নিস্টরলয়ের অধীনে প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক জয় তুলে ক্যারাবাও কাপের কোয়ার্টারে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৫-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টারের লাল দলটি।
ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেন কাসেমিরো ও ব্রুনো ফের্নান্দেস; অপর গোলটি আসে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পা থেকে। অপরদিকে, লেস্টারের গোলদুটি করেন বিলাল এল খানুস ও কনর কোডি।
এদিকে, ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন। প্রতিযোগিতার সেরা দলটির বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে ফাবিয়ান হুয়ের্সেলারের দল।
ম্যাচের সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। লিভারপুলের তিন গোলের প্রথম দুটি আসে ৪৬ ও ৬৩তম মিনিটে, কোডি গাকপোর পা থেকে; আর ৮৫তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন লুইস দিয়াস।
মাঝে ৮১তম মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে ব্রাইটনের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগান সিমোন আদিংগ্রা। চার মিনিট পর দিয়াসের গোলে লিভারপুল ফের ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ৯০তম মিনিটে গিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তারিক ল্যাম্পটি। এরপর দুই মিনিট অতিরিক্ত খেলার সুযোগ দেওয়া হলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাইটন। ফলে স্বাগতিকদের হতাশ করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
এছাড়া, দ্বিতীয় বিভাগের দল প্রেস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। গোল তিনটি করেন গাব্রিয়েল জেসুস, ইথান নোয়ানেরি ও কাই হাভার্টস।
চতুর্থ রাউন্ডের অপর ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে ব্রেন্টফোর্ড ও সাউথহ্যাম্পটন।
২ সপ্তাহ আগে
দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্সেনালের অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত
প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করেও জলের দেখা পেল না আর্সেনাল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে শুরুতেই গোল খেয়ে বসল তারা। তবে হতাশা ঝেড়ে ফেলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মিকেল আর্তেতার দল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে সাউদ্যাম্পটনকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।
ম্যাচের সবকটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫তম মিনিটে ফরোয়ার্ড ক্যামেরন আর্চারের গোলে এগিয়ে যায় সাউদ্যাম্পটন। এর তিন মিনিট পরই আর্সেনালকে সমতায় ফেরান কাই হাভার্টস। এরপর ৬৮তম মিনিটে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। আর ৮৮তম মিনিটে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন আগের দুই গোলে অবদান রাখা বুকায়ো সাকা।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
এই জয়ের পর ৭ ম্যাচে পাঁচটি জয় ও দুটি ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে, এমনকি গোল ব্যবধান এক থাকার পরও দ্বিতীয় স্থানে সিটি; আর ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট চূড়ায় লিভারপুল।
আজকের ম্যাচটি জিতে চলতি মৌসুমে নিজেদের অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রাখল আর্সেনাল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দশ ম্যাচের কোনোটিতে হারের মুখে দেখেনি মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ ড্র করা ছাড়া তারা জিতেছে বাকি সাতটি।
দশ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই ক্লিনশিট ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে আর্সেনাল। এই সময়ে প্রতিপক্ষের জালে ২২ বার বল পাঠিয়ে মাত্র ৭ গোল হজম করেছে গানাররা।
আরও পড়ুন: শীর্ষস্থান সংহত করার ম্যাচে আলিসনকে হারাল লিভারপুল
১ মাস আগে
সিটি-আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না চেলসি: মারেসকা
এনসো মারেসকার তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমটা দারুণ শুরু করেছে চেলসি। দশ ম্যাচ খেলে তার সাতটি জিতেছে লন্ডনের ক্লাবটি। তবুও এবার ম্যানচেস্টার সিটি বা আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না বলে মনে করছেন এনসো মারেসকা।
চলতি মৌসুমে সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করার পর থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছে চেলসি। তার পরের পাঁচ ম্যাচে চারটি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি। টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
এছাড়া সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে ব্লুজরা। এ সময় তিনটি ক্লিনশিটসহ ১৭ গোল করেছে দলটি; হজম করেছে মাত্র চারটি।
গতরাতে কনফারেন্স লিগের ম্যাচে বেলজিয়ান ক্লাব গেন্টকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ব্লুজ বস মারেসকা।
আরও পড়ুন: মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
তার দলের যে পারফরম্যান্স, তাতে চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগসহ সম্ভাব্য শিরোপাগুলো জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে চলতি মৌসুমে আমরা সিটি কিংবা আর্সেনালকে টক্কর দিতে পারব। আমার সত্যিই তা মনে হয় না, কারণ আমরা এখনও (পুরোপুরি) প্রস্তুত নই।’
বিষয়টির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন এভাবে, ‘সিটির দিকে তাকান। দলটি গত ৯ বছর ধরে একই কোচের তত্ত্বাবধায়নে খেলছে; (মিকেল) আর্তেতার তত্ত্বাবধায়নে আর্সেনাল খেলছে পাঁচ বছর যাবত। যদি বড় কিছুর জন্য লড়াই করতে চান, তবে ওইরকম সময় প্রয়োজন।’
মারেসকা বলেন, ‘আর্সেনাল যখন পিএসজিকে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) হারাল, তখন লুইস এনরিকেও একই কথা বলেছিলেন! সেদিক থেকে আমাদের দেখুন, মাত্র তিন মাস হয়েছে আমি (চেলসির) দায়িত্ব নিয়েছি।’
‘ফলে এই জায়গায় একটি বড় ব্যবধান রয়েছে। তাই ওইসব ক্লাবের সঙ্গে যে আমরা (এবার) লড়াই-ই করতে পারব না, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
আরও পড়ুন: এনকুঙ্কুর হ্যাটট্রিকে লিগ কাপে চেলসির গোল উৎসব
তবে ধীরে ধীরে ওইসব ক্লাবগুলোর পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তেই আমরা ওই পর্যায়ে যাওয়ার চিন্তা করছি না। আবার ঠিক কবে নাগাদ অমন হয়ে উঠতে পারব, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে আস্তে আস্তে সব সমস্যার সমাধান করে একটু একটু করে এগোনোই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা শুরু হলে রোমান আব্রাহামোভিচ একপ্রকার বাধ্য হয়ে ক্লাব ছাড়ার পর শক্তিশালী দলগঠনে গত পাঁচ মৌসুম ধরে দলবদলে টাকার ফোয়ারা ছুটিয়েছে চেলসি। এই সময়ে দেড় বিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করে যেখানে যত প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার পেয়েছে, তাকেই মোটা অঙ্কের বিনিময়ে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি।
শিরোপাজয়ের আশায় এই সময়ের মধ্যে চারজন কোচ পাঁচবার ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়েও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ ১ জুলাই পাঁচ বছরের জন্য লেস্টার সিটি থেকে মারসেকাকে ক্লাবে নিয়ে আসে টড বোহেলি ও ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের নেতৃত্বাধীন চেলসি কর্তারা।
আরও পড়ুন: পালমারের চার গোল, চেলসিতে বিধ্বস্ত ব্রাইটন
তারা এত ফুটবলার কিনেছে যে মারেসকা দায়িত্ব নেওয়ার পর তার স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। ফলে দায়িত্ব নিয়েই তিনি খেলোয়াড় বিক্রি ও ধারে অন্য ক্লাবে পাঠানোর মাধ্যমে যতটা সম্ভব স্কোয়াড ছোট করেন। এরপর নিজের পছন্দের স্কোয়াড নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই কোচ।
১ মাস আগে
পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্সেনালকে বাঁচালেন দাভিদ রায়া
গোলশূন্য ড্র হলেও ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। শুনতে অবাক লাগলেও স্প্যানিশ গোলরক্ষকের নৈপূণ্যেই জয়বঞ্চিত হয়েছে আতালান্তা। পেনাল্টিসহ মুহূর্তের ব্যবধানে দুটি সেভ করে দলকে ১ পয়েন্ট পাইয়ে দিয়েছেন রায়া।
ইতালির গেভিস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন আতালান্তা।
বলের দখল কিংবা আক্রমণ, এদিন দুদলই ছিল সমানে সমান। তবে রায়া ওই সেভটি না করলে ফলাফল নিশ্চতভাবেই ভিন্ন হতো।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
চোটের কারণে অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ডকে ছাড়াই এদিন খেলতে নামে আর্সেনাল। তবে চোট শঙ্কা কাটিয়ে এদিন শুরুর একাদশেই মাঠে নামেন ক্লাবটির ২৩ বছর বয়সী উইঙ্গার বুকায়ো সাকা।
ম্যাচের প্রথমার্ধের প্রথম ত্রিশ মিনিটে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আর্সেনাল। সাকার নৈপুণ্যে ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা, কিন্তু তার রক্ষণ দেওয়ালভেদী নিচু ফ্রি কিক কোনোমতে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
এ সময় রক্ষণে মনোযোগ দেয় আতালান্তা। এরপর অবশ্য বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করে তারা। তবে প্রথমার্ধে দুদলের কেউই পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ হলে স্কোরলাইন অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
১ মাস আগে
আর্সেনাল কোচ উনাই এমেরি বরখাস্ত
ইউরোপা লিগে পরাজয়ের কারণে শুক্রবার আর্সেনাল কোচ উনাই এমেরিকে বরখাস্ত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে