দ্রব্যমূল্য
দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই: ড. ইউনূস
দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গোপনীয়তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি… মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, চলতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি বন্যা হয়েছে… বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানি হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল। বন্যা-পরবর্তী সময়ে বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে আপনাদের কষ্ট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জি-২০ সামাজিক সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো জন্য আমরা সাড়ে ৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় শুল্ক ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে ডিমের উৎপাদকরা যাতে সরাসরি বাজারে ডিম সরবরাহ করতে পারেন, সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।’
মানুষ যাতে স্বল্প মূল্যে কৃষিপণ্য কিনতে পারে, সেজন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্পটে সরকারি কিছু পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রস্তুত করা ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ড ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সংস্কার করা হবে: ব্রিটিশ মন্ত্রীকে ড. ইউনূস
‘বন্যার ফলে চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও দাম যাতে স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে।’
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই। মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি রোধে উচ্চ সুদহার নির্ধারণসহ একাধিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে- শস্য আমদানিতে এলসি সীমা অপসারণ ও সরবরাহ চেইন সংক্ষিপ্ত করা।’
তিনি আরও জানান, সামান্য হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। গণ শুনানি ছাড়া নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম না বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব পদক্ষেপ বাজারে পণ্যমূল্য কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার করব: অধ্যাপক ইউনূস
১ মাস আগে
খরায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা; বাজারেও সংকট
দেশে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। দাম বাড়ছে ক্রমবর্ধমান গতিতে। এর মধ্যে তীব্র খরায় মানিকগঞ্জে কমে গেছে কাঁচা মরিচের উৎপাদন। এ অবস্থায় ব্যাপক লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপাদন হয়। এই দুই জেলায় উৎপাদিত মরিচ দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণের পর দেশের অন্য জেলাসহ বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে হরিরামপুর ও শিবালয়ে মরিচের ক্ষেতে কোনো মরিচ নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৩ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৭৬ হেক্টর বেশি। প্রতি বছর এখানকার উৎপাদিত মরিচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। দুই বছর আগেও এ অঞ্চল থেকে শত কোটি টাকার মরিচ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। তবে এ বছর প্রচণ্ড গরম ও সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এই ফলন বিপর্যয় বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
প্রায় সব জমিতেই মরিচ গাছের পাতাগুলো কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে। আসছে না নতুন ফুল। ফলনও নেই। হতাশায় পড়েছেন মরিচচাষিরা। তারা জানান, অতি খরায় মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। মরিচ গাছ মরে যাচ্ছে।
হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা উজানপাড়া গ্রামের কৃষক সামছুদ্দিন বলেন, দুই বিঘা জমিতে এবার মরিচ লাগিয়েছিলাম। শুরুতে গাছে ফলন ভালো ছিল। তখন ফলন বেশি থাকায় বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে দাম ছিল না। সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করেছি। এর কিছুদিন পর অতি খরায় মরিচ ক্ষেত নষ্ট হতে থাকলে বাজারে মরিচের সংকট তৈরি হয়। তখন বাজারে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করেছি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। ধীরে ধীরে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে ফলন কমে যায়। দুই বিঘা জমিতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। খরচ বাদ দিলে হাজার বিশেক টাকা লাভ পেয়েছি। এখন অতি খরায় মরিচ ক্ষেতগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছি।
একই গ্রামের মরিচ চাষি নূর হোসেন বলেন, এই অঞ্চলে মরিচের আবাদ ভালো হওয়ায় এবার ৩০ হাজার টাকা ধার-দেনা করে সাড়ে চার বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করি। কিন্তু এমন বিপর্যয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ানো রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছের মাথা থুবরে গেছে। শুধু আমার অবস্থাই এমন না, আশপাশের সব কৃষকের একই অবস্থা। সব কৃষকের মাথায় হাত।’
উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের মরিচ চাষী আবদুর রহমান ব্যাপারী বলেন, তীব্র খরায় অধিকাংশ মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যায়। কয়েক বার সেচ দেওয়ার পর সামান্য ভালো হয়। দ্বিতীয় দফায় আবার তীব্র খরায় একই অবস্থা হয়। পরে অনেক গাছ মরে যায়। তবে যে গাছগুলো আছে তাতে ফুল এলেও মরিচ ধরছে না।
এদিকে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল গ্রামের কৃষক আফসার উদ্দিন জানান, দুই বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করতে চারা, সার, কীটনাশক, সেচসহ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এই সময়ে প্রতিদিন জমি থেকে দুই আড়াই মণ মরিচ হওয়ার কথা থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে প্রতিদিন দুই কেজিও মিলছে না। সার, কীটনাশক, সেচ দিয়েও সুফল পাননি তিনি।
একই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, এ বছর অতি খরার কারণে মরিচ ক্ষেতে মাটি ফেটে যাওয়ায় গাছ মরে গেছে। আবার অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় গাছের গোড়া পঁচে গিয়ে গাছ মরে গেছে।
চাষিরা বলছেন, ফলন বিপর্যয়ের কারণে বাজারে খুব অল্প মরিচ উঠছে। এর প্রভাবে গত বছরের মতো এবারও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে চলছে। বিভিন্ন আড়তে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মানিকগঞ্জের মরিচের উৎপাদন না থাকায় এখন পাইকারি মোকামগুলোতে মরিচের চালান আসে দেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গাসহ কয়েকটি জেলা থেকে। এছাড়া এলসির মাধ্যমে ভারতীয় মরিচ আমদানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের পাইকারি আড়ৎগুলোতে।
মানিকগঞ্জের বড় একটি পাইকারি আড়ৎ জাগীর বন্দর ধলেশ্বরী পাইকারি আড়ৎ।
সোমবার সকালে এই আড়তে ভারতীয় এলসির কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকায়।
পাইকাররা জানান, দেশীয় মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কোনো মরিচ এখন আড়তে আসছে না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছু মরিচ আসলেও দাম বেশি।
মানিকগঞ্জ জাগীর বন্দর ধলেশ্বরী পাইকারি বাজারের আড়তদার আবদুস সাত্তার জানান, ‘এখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মরিচ নিয়ে যায় পাইকাররা। ভারতীয় আমদানি করা মরিচ একদিন আসা বন্ধ থাকলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাছাড়া এলসির মরিচ অর্ধেক পঁচা বের হচ্ছে। এতে ঘাটতি পূরণ করতে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে, পাইকারি বাজারে বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নুর আহমেদ বলেন, ‘টানা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাছাড়া সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এই ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যেহেতু বছরে একাধিকবার মরিচের আবাদ করা হয়, তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলে কৃষকরা আগের মতো ফলন পাবেন। আর পাতা কুঁকড়ানো রোগের সমাধানের জন্য বগুড়ার মসলা গবেষণাকেন্দ্রে যোগাযোগ করেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন তা কৃষকদের জানানো হয়েছে।’
২ মাস আগে
আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্যে দুর্ভোগে মাগুরাবাসী, বাজার না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে ঘরে
মাগুরায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে অনেককে বাজার না করেই ফিরতে হচ্ছে ঘরে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের দুর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের আক্ষেপ, আগের মতো বেচাকেনা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি হাট-বাজারে শাক-সবজিসহ সব কাঁচা বাজারের দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই বাজারে এসেও কাঁচা বাজার না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন।
মাগুরার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচ, ডিম ও সবজির দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা।
জেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি প্রায় ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মাঝারি লাউ প্রতিটি ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০, শসা ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম।
প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্য ১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি হালি ডিমের দাম ৬০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১৫০ টাকা। যার প্রতি হালি বিক্রি হতো ৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েকদিনে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
গরু, ছাগল এবং দেশি ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম না বাড়লে মাছের দাম ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারগুলোতে ছোট মাছ নেই বললেই চলে। যেগুলো আছে সেগুলো সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আবার বড় মাছের দামও অনেক বেশি। ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এছাড়া বেড়েছে সব ধরনের চাল ও তেলের দাম।
তবে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বিক্রিও কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়লেও তাদের উপার্জন বাড়েনি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি যে বাজারে যেতেই ভয় হয়। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে হু-হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সামুনুল ইসলাম জানান, অধিক পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় ও পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিনই কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পরিবহন খরচও বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়েই দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
২ মাস আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা: ফখরুল
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) গত ১৫ বছরে দানবের মতো দেশ শাসন করে শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা কী? কোনো বাড়িতেই শান্তি নেই।’
সোমবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, শাকসবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বেড়েছে প্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করাও এখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষ এখন বাচ্চাদের জন্য দুধ এবং ডিম কিনতে পারে না। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা এবং লাউ ১২০ টাকা। অবিশ্বাস্য অবস্থা।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীনতা হারাবে: মির্জা ফখরুল
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তারা গরুর মাংস কিনতে পারছে না, ইলিশ মাছ তো দূরের কথা, এমনকি দাম বেশি হওয়ায় তারা ভালো মানের সবজিও কিনতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে সয়াবিন তেল বা পাম তেলের দাম অনেক বেশি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি এবং এক কঠিন সময় পার করছি। পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে গত ১৫ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’
দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির মহিলা শাখার নেতাকর্মীদের সোচ্চার হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে নিজেদের সংগঠিত করার। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং নির্যাতন ও কারাবাসের শিকার হচ্ছি। আমাদের মা-বোনেরা বারবার জেলে যাচ্ছেন, কিন্তু আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হলে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নিজেদের মধ্যে যে ছোটখাটো ভুল ও ভুল বোঝাবুঝি থাকে তা দূর করুন। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।'
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ বিএনপির
এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে তিনটি 'প্রহসনমূলক' জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীনরা দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে ৬৪ দলের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগ- সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে আ. লীগ: মির্জা আব্বাস
৬ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি তারা যেন প্রতি মাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করে। যাতে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক পুলিশের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে সিটি মেয়রদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকরা তেমন কোনো কথা বলেননি। তারা মাদকদ্রব্য নিয়ে কথা বলেছেন। জেলখানায় কয়েদিদের আরও একটু ভালো খাবার দেওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, অচল বন্দিদের কীভাবে আরও একটু ছাড় দেওয়া যায় এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট বাংলাদেশের সব জায়গায় চালু করা যায় কি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে জঙ্গিদের আনা নেওয়ায় রিস্ক থাকে। এই ধরনের কয়েদিদের ক্ষেত্রে সভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে কাজ করা যায় কি না সেটা নিয়ে তারা বলেছেন। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখব বলে জানিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সচিবরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে জেলা পর্যায়ে যে কোর কমিটি রয়েছে। তারা যেন প্রতি মাসে একটি সভা করে। যাতে সবার সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক থাকে এবং কোনো অসুবিধা হলে সেগুলো যেন দ্রুত সমাধান করতে পারেন।
তিনি বলেন, নদী পথে যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করে সে বিষয়েও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন থাকবে। যখন আপনাদের প্রয়োজন হবে নিরাপত্তা বাহিনী পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত বিচার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে: পিলখানা হত্যা মামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
৯ মাস আগে
রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, সংকটে ভোক্তারা
সরকার লাগাম টেনে ধরার পরও রোজার মাস রমজানে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজার জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এই প্রতিবেদক দেখেন, সম্প্রতি সরকার যেসব পণ্যে ভ্যাট-করের হার কমিয়েছে, সেগুলোও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রীর মতো কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক গত কয়েক মাসে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির চিত্র দেখতে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) এসব বাজারে দেশি রসুনের কেজি ২৫০ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৫০ টাকা।
দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি, যা দুই মাস আগে ছিল ২৪০ টাকা। আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি, যা গত বছরের চেয়ে ৮০ টাকা বেশি। দেশি আদা পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ২০০ টাকা।
খুচরা বাজারে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। ভালো মানের মসুর ডাল নভেম্বরে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নভেম্বরে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা এবং ফেব্রুয়ারিতে এসে সেটি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসে খোলা (লুজ) সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ টাকায়। নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নভেম্বর মাসে তিউনিসিয়ার খেজুর ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ফেব্রুয়ারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
নভেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া নভেম্বর মাসে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা ছিল ১৮৫ টাকা। তবে নভেম্বর থেকে গরুর মাংসের দাম কমছে। সে সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হতো। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ টাকায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কেজিতে লাফিয়ে ওঠে ৮০-৮৫ টাকায়। একইভাবে বেড়েছে মাংস, মুরগির মাংস, সয়াবিন তেল, ডিমসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম।
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল বছরে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা গত অক্টোবরে এই দশকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেশি।’
বিশ্বব্যাংকের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ পরিবার খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে সীমিত বা কমিয়ে দিচ্ছে।
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় জনসংখ্যার একটি অংশকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সবাইকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, বাজার মনিটরিং, ওএমএস, টিসিবি কার্ড ইস্যু এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মতো পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন আমদানিকারকরা ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে মার্কিন ডলার পাবেন এবং মুদ্রা ছাপানোর পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেরিতে উদ্যোগ নিচ্ছে এবং সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নেও বিলম্ব হচ্ছে। ফলে অর্থনীতি সংক্রান্ত নীতি কাজ করছে না।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও।
তিনি বলেন, আয় না বাড়লেও সব শ্রেণির মানুষের ব্যয় বাড়ছে।
ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘যৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বেড়েছে কি না তা সংশ্লিষ্টদের দেখতে হবে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়া উচিত।’আরও পড়ুন: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের অর্থ লুটপাটে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটগুলো। চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাকসবজি, মাছ ও মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য এই পিক মৌসুমে এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
মাছ-মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলেও আক্ষেপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দরিদ্র মানুষ এখন মাংস ও অন্যান্য মাছকে মেন্যুর বাইরে রেখে বাজার থেকে কাটা পাঙ্গাস মাছের টুকরো কিনছেন। ‘নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা আজ কী ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ দিয়েছি। মানুষ খাওয়ার জন্য মুরগির চামড়া ও পা কিনছে।’
রিজভী আরও বলেন, সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা না করে অবৈধভাবে কয়েকবার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির উপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় ফেলে বাড়িওয়ালারা জ্যামিতিক হারে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
১০ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই এ নিয়ে সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। বিএনপি যখন কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
‘আমি মনে করি, সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই।
রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংস কর্মসূচি কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সব দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন, এতদিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতদিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না। কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।’
বিরোধী দল কারা হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
১০ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বেশি মুনাফার লোভ না করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো খাদ্যমন্ত্রী হওয়ায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছেন দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার। এজন্য মজুতদাররা যেন মজুদ করতে না পারে বা কোনো ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে বেশি মুনাফা লাভের আশায় জনগণকে কষ্ট না দেয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
এখনো একটি মহল ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতিকে না বলে দেশটাকে ভালোবেসে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে এক সপ্তাহ আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি।
তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।
তিনি বলেন, এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। আমাদের দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হব।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১১ মাস আগে