দ্রব্যমূল্য
দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি তারা যেন প্রতি মাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করে। যাতে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক পুলিশের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে সিটি মেয়রদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকরা তেমন কোনো কথা বলেননি। তারা মাদকদ্রব্য নিয়ে কথা বলেছেন। জেলখানায় কয়েদিদের আরও একটু ভালো খাবার দেওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, অচল বন্দিদের কীভাবে আরও একটু ছাড় দেওয়া যায় এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট বাংলাদেশের সব জায়গায় চালু করা যায় কি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে জঙ্গিদের আনা নেওয়ায় রিস্ক থাকে। এই ধরনের কয়েদিদের ক্ষেত্রে সভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে কাজ করা যায় কি না সেটা নিয়ে তারা বলেছেন। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখব বলে জানিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সচিবরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে জেলা পর্যায়ে যে কোর কমিটি রয়েছে। তারা যেন প্রতি মাসে একটি সভা করে। যাতে সবার সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক থাকে এবং কোনো অসুবিধা হলে সেগুলো যেন দ্রুত সমাধান করতে পারেন।
তিনি বলেন, নদী পথে যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করে সে বিষয়েও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন থাকবে। যখন আপনাদের প্রয়োজন হবে নিরাপত্তা বাহিনী পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত বিচার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে: পিলখানা হত্যা মামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, সংকটে ভোক্তারা
সরকার লাগাম টেনে ধরার পরও রোজার মাস রমজানে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজার জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এই প্রতিবেদক দেখেন, সম্প্রতি সরকার যেসব পণ্যে ভ্যাট-করের হার কমিয়েছে, সেগুলোও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রীর মতো কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক গত কয়েক মাসে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির চিত্র দেখতে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) এসব বাজারে দেশি রসুনের কেজি ২৫০ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৫০ টাকা।
দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি, যা দুই মাস আগে ছিল ২৪০ টাকা। আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি, যা গত বছরের চেয়ে ৮০ টাকা বেশি। দেশি আদা পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ২০০ টাকা।
খুচরা বাজারে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। ভালো মানের মসুর ডাল নভেম্বরে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নভেম্বরে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা এবং ফেব্রুয়ারিতে এসে সেটি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসে খোলা (লুজ) সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ টাকায়। নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নভেম্বর মাসে তিউনিসিয়ার খেজুর ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ফেব্রুয়ারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
নভেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া নভেম্বর মাসে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা ছিল ১৮৫ টাকা। তবে নভেম্বর থেকে গরুর মাংসের দাম কমছে। সে সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হতো। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ টাকায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কেজিতে লাফিয়ে ওঠে ৮০-৮৫ টাকায়। একইভাবে বেড়েছে মাংস, মুরগির মাংস, সয়াবিন তেল, ডিমসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম।
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল বছরে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা গত অক্টোবরে এই দশকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেশি।’
বিশ্বব্যাংকের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ পরিবার খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে সীমিত বা কমিয়ে দিচ্ছে।
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় জনসংখ্যার একটি অংশকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সবাইকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, বাজার মনিটরিং, ওএমএস, টিসিবি কার্ড ইস্যু এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মতো পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন আমদানিকারকরা ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে মার্কিন ডলার পাবেন এবং মুদ্রা ছাপানোর পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেরিতে উদ্যোগ নিচ্ছে এবং সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নেও বিলম্ব হচ্ছে। ফলে অর্থনীতি সংক্রান্ত নীতি কাজ করছে না।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও।
তিনি বলেন, আয় না বাড়লেও সব শ্রেণির মানুষের ব্যয় বাড়ছে।
ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘যৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বেড়েছে কি না তা সংশ্লিষ্টদের দেখতে হবে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়া উচিত।’আরও পড়ুন: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের অর্থ লুটপাটে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটগুলো। চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাকসবজি, মাছ ও মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য এই পিক মৌসুমে এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
মাছ-মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলেও আক্ষেপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দরিদ্র মানুষ এখন মাংস ও অন্যান্য মাছকে মেন্যুর বাইরে রেখে বাজার থেকে কাটা পাঙ্গাস মাছের টুকরো কিনছেন। ‘নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা আজ কী ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ দিয়েছি। মানুষ খাওয়ার জন্য মুরগির চামড়া ও পা কিনছে।’
রিজভী আরও বলেন, সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা না করে অবৈধভাবে কয়েকবার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির উপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় ফেলে বাড়িওয়ালারা জ্যামিতিক হারে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই এ নিয়ে সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। বিএনপি যখন কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
‘আমি মনে করি, সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই।
রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংস কর্মসূচি কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সব দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন, এতদিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতদিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না। কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।’
বিরোধী দল কারা হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বেশি মুনাফার লোভ না করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো খাদ্যমন্ত্রী হওয়ায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছেন দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার। এজন্য মজুতদাররা যেন মজুদ করতে না পারে বা কোনো ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে বেশি মুনাফা লাভের আশায় জনগণকে কষ্ট না দেয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
এখনো একটি মহল ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতিকে না বলে দেশটাকে ভালোবেসে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে এক সপ্তাহ আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি।
তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।
তিনি বলেন, এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। আমাদের দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হব।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের বোঝা রয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সরকার এসব পণ্যের মূল্য সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা বাস্তবায়িত হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতীয় উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেন এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'অনেক সংশয় থাকা সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আমরা আরও চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছি, আমরা নির্ভীক এবং তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে হয়ত শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের সফলতা রয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিসিবিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। যার জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসিতে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটি সত্যি।
এছাড়া দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ ভূমিকা মুখ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা তার চেয়ে প্রায় ৭-৮ লাখ টন ঘাটতি থাকে। যেটা আমরা ভারত থেকে আমদানি করে থাকি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পারমিশন দেওয়ার জন্য বলা হলেও কৃষকের কথা ভেবে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, পরে যখন আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো— তখন ভারত আমদানির ওপর ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করল। এর কিছুদিন পরেই ভারত আবার প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানি ৮০০ ডলার করে, যে কারণে সরকারের পক্ষে নির্ধারিত দাম ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলেও সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আমরা যেটা পারি, সেটি হলো শুল্ক কমাতে।
যেমন— চিনির দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনির দামে কোনো প্রভাব পড়েনি বরং বেড়েছে। ফলে এর সুফল ভোক্তা পায়নি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মন্ত্রিসভা কমিটি, মনিটরিংয়ের নির্দেশ
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ব্যবস্থা নিতে সরকারি সংস্থাকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটা ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি; সেটা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের সরকারি যেসব সংস্থা আছে, তারা যাতে মনিটরিং করে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যারা উৎপাদন করে, প্রান্তিক চাষি তারা কিন্তু এ মূল্য পায় না, পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। যারা এটা তৈরি করে তারা কিন্তু যে দাম পায় বাজারে আমরা যখন কিনি বা ভোক্তারা যখন কেনে সেখানে অনেক তারতম্য থাকে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মজুতদারিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আইনেই বলা আছে। আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করে তাদের যেন আইনের আওতায় আনতে পারি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ না আনায় বেড়েছে দাম
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। আবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। এতে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার ছিল নবীর (সা.) জন্মদিন। এ দিবস উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটি। আর অন্যদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে দুই দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
তবে শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। বিকালে বন্দরের মোকামে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমতে পারে।
এদিকে বুধবার আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরের পাইকারি মোকামে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বন্ধের কারণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, ভারতে বন্যা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। আবার ছুটি থাকায় গত দুই দিন ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ ছিল। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়েছে। শনিবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বিকালের পর দাম কমে আসবে।
আরেক আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা কমে আগের দামে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হবে। ধীরে ধীরে আরও দাম কমবে।
বন্দরের কাস্টমস কার্যালয়ের তথ্যমতে, ছুটির দিন ব্যতীত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৪০টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা