গীতিকার
গীতিকার, সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন আর নেই
চট্টগ্রামের প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন (মহি আল ভাণ্ডারী) আর নেই।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
তার নামাজের জানাজা বাদ জোহর নগরীর কাতালগঞ্জ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টায় নেওয়া হয় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।
সংগীতশিল্পী ও তার ছাত্র আলাউদ্দিন তাহের জানান, শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে দাফন করা হবে।
সৈয়দ মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের একজন খ্যাতনামা গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। তিনি মহি আল ভান্ডারী নামেও পরিচিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ডিসি হলে এক অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেদিন তিনি ক্রেস্ট ও সনদ নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে বাম হাত ও বাম পা ভেঙে ফেলেন। কাতালগঞ্জে আনিকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন ভাড়া করা একটি সেমিপাকা গৃহে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করতেন।
সৈয়দ মহিউদ্দিন ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আমির হোসেন এবং মা সৈয়দা আনোয়ারা বেগম। গানের মাধ্যমে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি গ্রামে বসবাসকালীন অধ্যক্ষ হেম মজুমদারের কাছে সংগীত চর্চা শুরু করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় ওস্তাদ সুরেন দাশের কাছে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীত তালিম নেন। দেশ হানাদারমুক্ত হলে গান রচনা ও সুর চর্চায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আধুনিক গান রচনার পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গান রচনায় হাত দেন।
সৈয়দ মহিউদ্দিন ১৯৭৮ সালে দৈনিক আমার বাংলা পত্রিকায় কাজ করার জন্য ঢাকায় চলে যান। তিনি দৈনিক আমার বাংলায় ঢাকায় ১ বছর কাজ করেন। এরপর ঢাকায় দেশের প্রথম সংগীত পত্রিকা মাসিক সংগীতের সঙ্গে জড়িত হন। পত্রিকাটির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ৩ বছর।
তার রচিত ও সুরারোপিত জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য চাটগাঁইয়া গান-‘মেজ্যান দিয়ে মেজ্যান দিয়ে ঐতারত’, ‘সাম্পান মাঝি সাম্পান বায় আগর মতো পেসিঞ্জার ন পায়’, ‘অউডা ক অছে ভাইপুত ক্যেনে বলে ম্যাট্টিক পাশ গল্লি’, ‘আঁরা এই সংসারত মিলিমিশি আছি দুয়া জাল’, ‘গর্কি তুয়ান বন্যা খরা মহামারি ঘূর্ণিঝড়’, ‘তালাকনামা পাঠাই দিলাম চিঠির ভিতরে’, ‘আইচ কাইল ঢেঁইর ঘরত কম দেখা যায় ধান’, ‘আঁই কারে কইলাম কি তুঁই কি হুনিলা কি’ প্রভৃতি।
৮ মাস আগে
'হোক কলরব' খ্যাত গীতিকার রাজীব আশরাফ আর নেই
শ্রোতাপ্রিয় গান ‘হোক কলরব’ খ্যাত গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজীব আশরাফ মারা গেছেন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজীবের বড় ভাই আশরাফুল আলম বাবু এবং তার বন্ধু ও সংগীতশিল্পী সিনা হাসান গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
সিনা বলেন, রাজীব কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন এবং গতকাল রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে রাজীবের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর মিরপুর-১১ জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা এবং তার ঘনিষ্ঠজনরা বিখ্যাত এই গীতিকারের অকাল মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের শহুরে সঙ্গীতের আধুনিক যুগের অন্যতম প্রতিভাবান এবং বহুমুখী গীতিকার হিসেবে রাজীব আশরাফ সঙ্গীতশিল্পী অর্ণবের সঙ্গে করা তার কাজের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
অর্ণবের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাক ‘হোক কলরব’ দিয়ে রাজীব তার গানের জন্য সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই
এই জুটি তখন ‘প্রকৃত জল’, ‘নাম ছিল না’, ‘ঘুম’, ‘ধূসর মেঘ’, ‘রোদ বলেছে হবে’, ‘প্রতিধ্বনি’, ‘একটা মেয়ে’ সহ কয়েকটি দর্শকপ্রিয় গানে কাজ করেছিলেন।
রেদোয়ান রনির চলচ্চিত্র ‘আইসক্রিম’ এর জন্য তার লেখা ‘মন খারাপের একটা বিকেল’ ও ‘বোকা চাঁদ’ গানগুলোও প্রশংসিত হয়।
তিনি সেলুলার কোম্পানি এয়ারটেল-এর নির্মিত টেলিফিল্মের জন্যও গান লিখেছেন।
যার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু গান হলো-‘জলকণা উড়ে যায়’, ‘ভালবাসি তাই ভালবেসে যাই’ প্রভৃতি।
এছাড়াও তিনি বাংলালিংক, মোজো ও সেভেন আপসহ বিভিন্ন কোম্পানির জন্য জিঙ্গেল লিখেছেন।
বাণিজ্যিক ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকিং ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব রাজীব বিভিন্ন সৃজনশীল সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশ গেমসের উপর একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন।
রাজীব আশরাফ আশুতোষ সুজনের ‘টিনের তলোয়ার’, অনিমেষ আইচের ‘হলুদ’, নুরুল আলম আতিকের ‘মজিদের টেলিভিশন’ এবং অমিতাভ রেজার ‘একটা ফোন করা যাবে প্লিজ’সহ বিভিন্ন নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন।
এই বছরের আগস্টে রাঙা সকাল’ টক শোর অংশ হিসেবে তার শেষ টেলিভিশন সাক্ষাৎকারটি মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই
অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
১ বছর আগে
মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার
কিংবদন্তি গীতিকার, পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় তাকে নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। পরবর্তী সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
গতকাল রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃতদেহ। তার মেয়ে দিঠি আনোয়ারের জন্য অপেক্ষার আজ ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে’র উদ্যোগে শহীদ মিনারে প্রয়াত কিংবদন্তিকে আনা হয়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নেয়া হয় বিএফডিসির প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ জোহর গাজী মাজহারুলের প্রথম জানানজা পড়ানো হয়। এতে দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। জানা যায়, এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে মা খোদেজা বেগমের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
এর আগে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে। এরপর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গাজী মাজহারুল আনোয়ার এদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পথিকৃৎ। প্রায় ২০ হাজারের মতো গান লিখেছেন তিনি। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে তার লেখা তিনটি গান। এই কিংবদন্তির ছিল একাধিক প্রতিভা। শুধু গান লেখা নয়, তিনি একাধারে একজন সফল সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।
আরও পড়ুন:কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন
পাঁচবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পেয়েছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ২০০২ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘একুশে পদক’ পান। ২০২১ সালে সংস্কৃতিতে অর্জন করেন ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ পান এই কিংবদন্তি।
আরও পড়ুন:গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
কন্যা সন্তানের মা হলেন ন্যান্সি
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মনিরা ন্যান্সির কোলে এলো আরও এক সন্তান। বুধবার (২৯ জুন) বিকালে তিনি এক কন্যার জন্ম দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।ন্যান্সির মা হওয়ার খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। মা ও নবজাত দুজনই সুস্থ্ আছে বলে জানান তিনি।
এর আগে রোদেলা ও নায়লা নামে তার আরও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।২০২১ সালের আগস্ট মাসে গীতিকার ও অনুপম মিউজিকের সিওও মহসিন মেহেদীকে বিয়ে করেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মনিরা ন্যান্সি। উল্লেখ্য,এর আগে ২০০৬ সালে ব্যবসায়ী আবু সাঈদকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ন্যান্সি। সেই ঘরের প্রথম সন্তান রোদেলা। বিচ্ছেদের পর ২০১৩ সালে বিয়ে করেন নাজিমুজ্জামান জায়েদকে। আট বছরের এই সংসারে জন্ম নেয় তার দ্বিতীয় সন্তান নায়লা।
আরও পড়ুন: ব্রিটনিকে স্টকিংয়ের অভিযোগে তার প্রাক্তন স্বামীর বিচার শুরু
বলিউডে ‘কিং খান’ শাহরুখের ৩০ বছর
২ বছর আগে
এক দশক পর আবার প্লেব্যাকে গাইবেন লুৎফর
গায়ক, গীতিকার ও জনপ্রিয় লেখক লুৎফর হাসান দীর্ঘ এক দশক পর আবারও সিনেমার প্লেব্যাকে গান গাইবেন।
সম্প্রতি এই গায়ক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
লুৎফরের শেষ প্লেব্যাক ছিল বাংলাদেশের প্রখ্যাত পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘টেলিভিশন’ সিনেমার জন্য। সেই গানের শিরোনাম ছিল ‘ভাবনার রেলগাড়ি’। সেই গানটির সুর করেছিলেন প্রয়াত সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু।
লুৎফর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমাকে কেউ ফোন করেনি।’
আরও পড়ুন: ইত্যাদির দেশের গানে ৫ সংগীত তারকা
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এখন আমি গান করার জন্য একটি দুর্দান্ত লিরিক পেয়েছি। আশা করছি গানটি সঙ্গীতপ্রেমীদের ভালো লাগবে।’
লুৎফর যে সিনেমার জন্য গেয়েছেন তার নাম ‘নাকফুল’।
গানটির কথা লিখেছেন ফেরারি ফরহাদ এবং সুর করেছেন জাবেদ আহমেদ কিসলু। অলোক হাসান পরিচালিত সিনেমাটির গল্পও লিখেছেন ফেরারি ফরহাদ। তবে কবে নাগাদ সিনেমাটি মুক্তি পাবে, তা স্পষ্ট নয়।
লুৎফর তার প্রথম অ্যালবাম ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’- দিয়ে আলোচনায় আসেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী সংঘের সদস্যদের সেবা প্রদান করবে ১১ প্রতিষ্ঠান
শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব
২ বছর আগে
কাওসার আহমেদ চৌধুরী: একজন গীতিকার ও জ্যোতির্বিদের কথোকতা
গীতিকার ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে সারা দেশ জুড়ে খ্যাতি পেলেও কাওসার আহমেদ চৌধুরী নামের মানুষটির নিভৃত বিচরণ ছিলো আধুনিক বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে। শত গুণের অধিকারি এই জীবন যোদ্ধা হাজারো প্রাপ্তির সীমানা ছাড়িয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাড়ি জমালেন পরপারে। ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট কোন একটি শাখায় কখনো তিনি নিজেকে আবদ্ধ রাখতেন না। সব সময় চেষ্টা করে যেতেন নতুন কিছুতে নিজের সাক্ষর রাখার। এই নিভৃতচারী বিনোদনকর্মীকে নিয়েই আজকের ফিচার।
নানা পরিচয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর পরিচিতি
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তাঁর গান লেখার হাতেখড়ি।
পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়ে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই যোগ দেন সরকারি চাকরিতে। কবিতা লেখার দক্ষতা তাঁর ছোটবেলা থেকেই ছিলো। তাঁর প্রকাশিত একমাত্র কবিতার বইয়ের নাম ‘ঘুম কিনে খাই’। শুধু কবিতা আর গানই নয়; তিনি একাধারে বিচরণ করেছেন চিত্রনাট্য রচনা, ছবি আঁকা এবং চলচ্চিত্র পরিচালনাতে।
আরও পড়ুন: বাপ্পি লাহিড়ী: বলিউড সাম্রাজ্যে ডিস্কো সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ
তিনি বেশ কিছু বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে স্বনামধন্য কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতার বই ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ এর প্রচ্ছদ অন্যতম।
সরকারি প্রজেক্ট পরিবার পরিকল্পনার ওপর বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই তাঁর নির্মিত বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র আছে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের কাজও করেছেন তিনি। তাঁর রচিত চিত্রনাট্যের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা বিটিভিতে প্রচারিত কমেডি নাটক ‘ত্রিরত্ন’।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে- তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে তিনি গুপ্তচর হয়ে হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেন। ছবি আঁকার হাত ছিলো বিধায় পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানার পথের নকশা এঁকে মুক্তিযোদ্ধাদের রুদ্ধঃশ্বাস অভিযানগুলোতে সাহায্য করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত কাওসার আহমেদ চৌধুরী
২ বছর আগে
জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী আর নেই
প্রখ্যাত গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী (৭৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি ক্লিনিকে তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজি শাতিলা আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমার চাচা, গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, আমীন।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ধানমন্ডি ক্লিনিকে নেয়া হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
কাওসার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা ও রক্তের সংক্রমণসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘আপনার রাশি’ নামে রাশিফল গণনার মধ্য দিয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া তিনি এলআরবি, মাইলস, সামিনা চৌধুরী, লাকী আখন্দ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো অনেক বিখ্যাত গায়ক ও ব্যান্ডের জন্য বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গানের কথা লিখেছেন।
‘কবিতা পড়ার প্রহর’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘রূপালী গিটার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’ প্রভৃতি তার জনপ্রিয় কিছু গান।
আরও পড়ুন: গীতিকার-জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী আইসিইউতে
২ বছর আগে
গীতিকার-জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী আইসিইউতে
রাজধানীর গ্রিন রোডের ধানমন্ডি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে জনপ্রিয় গায়ক-সুরকার বাপ্পা মজুমদারের শেয়ার করা এক ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, ৭৫ বছর বয়সী কাওসার আহমেদের একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। তার চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন।
কাওসার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা ও রক্তের সংক্রমণসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনামুক্ত হয়ে আইসিইউ থেকে কেবিনে সোহেল রানা
দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘আপনার রাশি’ নামে রাশিফল গণনার মধ্য দিয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া তিনি এলআরবি, মাইলস, সামিনা চৌধুরী, লাকী আখন্দ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো অনেক বিখ্যাত গায়ক ও ব্যান্ডের জন্য বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গানের কথা লিখেছেন।
‘কবিতা পড়ার প্রহর’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘রূপালী গিটার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’ প্রভৃতি তার জনপ্রিয় কিছু গান।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে কাজী হায়াৎ
আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
২ বছর আগে
গীতিকার রাসেল ও’নিলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর নিজ বাসা থেকে রাসেল ও'নিল নামে পরিচিত বিশিষ্ট গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪৭ বছর।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগানের নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতের খাবার খেয়ে রাসেল তার রুমে যায় এবং পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে ফোন করে জানায় রাসেল দরজা খুলছে না। পরে পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসায় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে যাতে বোঝা যায় এটি আত্মহত্যা। তবে পুলিশ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে। শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল এবং সফল গীতিকার রাসেল ও'নিল দলছুট ব্যান্ডের অনেক জনপ্রিয় গান এবং গায়ক বাপ্পা মজুমদারের জন্যও গান লিখেছেন। যেমন 'মন ছুঁয়েছো', 'জোছনাবিহা‘, 'দিন বাড়ি যায়, 'সুর্য স্নানে চল' ইত্যাদি।
উল্লেখ্য সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন রাসেল। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপন শিল্পে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ২৬ হলে মুক্তি পেল ‘রাত জাগা ফুল’
সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
২ বছর আগে
‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে ‘বেসবাবা’ সুমনের প্রত্যাবর্তন
জনপ্রিয় বাংলাদেশি গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীতজ্ঞ এবং রক ব্যান্ড 'অর্থহীন' এর ফ্রন্টম্যান সাইদুস সালেহীন খালেদ, যিনি 'বেসবাবা' সুমন নামেই বেশি পরিচিত, তার নতুন একক ‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে সঙ্গীতে আবারও একটি গৌরবময় প্রত্যাবর্তন করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার ইউটিউবে চ্যানেল মুক্তি পায় গানটি।
থাইল্যান্ড এবং দুবাইয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ‘সুখ একটি পছন্দ এবং জীবন সুন্দর’ এই স্লোগানে এই গানটি নিয়ে ফিরে আসেন তিনি।
বেসবাবা সুমনের লেখা ও সুরে, গানটিতে একক গিটারবাদক এবং সংগীত প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন গিটারবাদক মহান ফাহিম। সুমনের ছেলে আহনাফ সালেহীনও তার শিসের সুরে গানটিতে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন ও তার ছেলে করোনায় আক্রান্ত
গানটি এবং এর পেছনের আবেগময় যাত্রা বর্ণনা করে সুমন বুধবার তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন-‘গানটিতে কোন একক বেইস সোলো নেই, কোনো ভয়ংকর লিড নেই। মহানের খুব সুন্দর বাজানো অ্যাকোস্টিক গীটারের উপর নির্ভর একটি গান এটি।এটি আমার ধীরে ধীরে বয়স বেড়ে যাবার গান, এটি আমার গত দুই বছরের প্রায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পরে থাকার গান,এটি আমার অন্ধকারে ডুবে যাবার গান, এটি আমার রাতের পর রাত প্রচন্ড ব্যাথায় চিৎকার করার গান, পরিশেষে…এটি আমার সব বাঁধা অতিক্রম করে আলোয় ফিরে আসার গান। ‘হঠাৎ দেখি, এ জীবনটা যে নতুন গানে, মুচকি হাসে…মুচকি হাসে’।
সুমনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘বেসবাবা সুমন’ এবং ইউটিউব চ্যানেল ‘বেসবাবা সুমন অ্যান্ড অর্থহীন’ -এ মুক্তি পেয়েছে, ‘বয়স আমার হলো’। গানটির মিউজিক ভিডিও শুট করা হয়েছে বান্দরবানে।
মিউজিক ভিডিওটি সুমন নিজেই পরিচালনা করেছেন, আর বান্দরবানের সুরম্য ও নির্মল প্রকৃতির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন আরেক জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘বে অব বেঙ্গল’ এর ভোকাল বখতিয়ার হোসাইন।
সুমন চিকিৎসার জন্য ১১ মার্চ ব্যাংককে যান এবং তাকে সমিতিজ সুখুমভিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর জার্মানিতে মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি ভ্রমণ করতে পারেননি।
তিনি গত বছর সেপ্টেম্বরে ছেলে আহনাফের সাথে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে তাঁর পাকস্থলীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘ যুদ্ধের পর তিনি ২০১৩ সালে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে, কয়েক বছর ধরে তাকে বিদেশে একাধিক অপারেশন এবং চেক-আপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানসপটে সালমান শাহ ও কিছু বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি বনে যাওয়া
২০১৭ সালে ব্যাংককে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে ব্যাপক আঘাত পান সুমন। তাঁর সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল ২০২০ সালে জয় বাংলা কনসার্টে।
‘বয়স হলো আমার’ এর পর, তিনি নতুন একক বাদ দেবেন এবং আগামী মাসে অর্থহীনের প্রত্যাবর্তন ট্র্যাকটি সম্পূর্ণ করবেন।
৩ বছর আগে