যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন পরিকল্পিতভাবে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) শার্শা থানার কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের পরদিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে নিহত জামাল হোসেনের পিতা আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এএসপি নাহিয়ান বলেন, মাদক বাহন ও মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে জামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে কৌশলে পিটিয়ে হত্যা হয়েছে। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে জামাল হোসেন সড়ক দুর্ঘটনার মারা গেছে—এমন নাটক সাজায় হত্যাকারীরা।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শার্শা উপজেলার উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
নিশাত আল নাহিয়ান আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তকালে আসামি আমানত উল্লাহ ও জাহিদ হোসেনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় জাহিদ হোসেন ভিকটিম মৃত জামাল হোসেনের বাড়িতে এসে মিন্টুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে জামাল হোসেন ও জাহিদ হোসেন জনৈক শফির ভাটা সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় উপজেলার শিবনাথপুর (বিলপাড়া) গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জাহিদুল (৩৫) এবং উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবুর রহমান তবির ছেলে আলাউদ্দিন (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে হাফিজুর (৪০) মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও খালেকের ছেলে জুম্মান (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন। জাহিদুল নামে এক যুবক বাশ দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করেছিল। পরে অন্যরা তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জৈনক শফির ভাটার পাশ থেকে পুলিশ জামাল হোসেনের (২৫) লাশ উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী জামাল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাদপুর এলাকার আয়ুব হোসেনের ছেলে।