মির্জা ফখরুল ইসলাম
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংকটময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই বিএনপি নেতারা দায়িত্বহীনভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নানা মিথ্যাচারে লিপ্ত।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশ ও জনগণের প্রতি প্রতিটি বিরোধী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তার দলের নেতারা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তির স্বাভাবিক রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা তাদের শাসনামলে জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিটও বিদ্যুত যোগ করতে পারেনি, তারা আজকের সঙ্কট নিয়ে বিবেকহীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য করা আন্দোলনে জনগণের ওপর গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিশ্ব এখন একটি অপ্রত্যাশিত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলোও মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশও সংকটের মুখে রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ভুলে যায়নি যে দলটি তার শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে তাদের গণবিরোধী নীতি ও জনগণের তহবিল লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সংকট কাটাতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান কাদের। শেখ হাসিনার গৃহীত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সময়ে ভারত সফরের প্রাপ্তি কী, আয়নায় দেখতে বললেন ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আট দিন পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, শনিবার বিএনপি মহাসচিব করোনা টেস্ট করেছেন এবং তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ফখরুল ইসলাম করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার থেকে দলের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিএনপি নেতা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলের ত্রাণ কমিটির এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ফখরুল।
২৫ জুন, বিএনপি নেতা দ্বিতীয়বারের মতো করোনা আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
২ বছর আগে
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পাওয়ায় জনগণের আশা-আকাঙ্খার জায়গা হলো বিচার বিভাগ। দুর্ভাগ্যবশত, তারা (সরকার) বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মামলার রায় জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রায়াল কোর্টের দুর্নীতির একটি 'মিথ্যা' মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পথ পরিষ্কার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা বৈধ নয়। আমরাও মনে করি বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে... তাই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।’
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যাতে ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পথ পরিষ্কার হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের আড়ালে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাই তারা একে একে সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগই সেই জায়গা, যাতে তারা প্রথমে হস্তক্ষেপ করেছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘অবৈধ’ ও ‘দখলকারী’ সরকার গণতন্ত্র ও সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বলে সারা দেশে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিন বছর আগে তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি জনকে হত্যা করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার বিকল্প নেই।
গুমের শিকার বিএনপি নেতাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
২ বছর আগে
দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খারাপ সময়ের কথা বলে দেশের মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে খারাপ সময় নেই; বিএনপির রাজনীতিতেই খারাপ সময় চলছে।
‘বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না সরকার: ওবায়দুল কাদের
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, তাদের দলের ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন উদ্দেশ্যহীন পথিক। তারা এখন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্বের হাত থেকে রেহাই পেতে চায়। বিএনপি আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে চায় মানুষ।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। সেটা বুঝতে পেরে বিএনপি এখন ভুগছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বারবার বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে ইস্যু নিষ্পত্তি করেছে তা উত্থাপনের কোনো মানে হয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমি বিএনপিকে বলবো আপনারা যদি নির্বাচনে বিশ্বাস করেন, জনগণের প্রতি আস্থা রাখেন, তাহলে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির জয় হবে।’
২ বছর আগে
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিরোধী দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে নিয়ে দুদক কার্যালয়ে যান এবং চিঠিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতির বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দুদক আমলে নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
২ বছর আগে
জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে: বিএনপি
দেশে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা বলেন, জনগণের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ফখরুল বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা মনে করছেন যে, সরকার সমর্থিত বিভিন্ন সিন্ডিকেটের বাজার কারসাজি এবং সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ: বিএনপি
তিনি বলেন, তাদের নীতিনির্ধারকরা দেখেছেন যে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াও পণ্যের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।
বৈঠকে ফখরুল আরও বলেন, দেখা গেছে সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ীদের লোভ ও দুর্নীতির কারণে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, শাকসবজি, মাছ-মাংস-গ্যাস, জ্বালানি তেল ও পানিসহ সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক, শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দুই কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় । দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির তীব্র সংকটের কারণে সেচ ব্যবস্থা না থাকায় তারা আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে ‘নেতৃত্ব সংকট’ নেই, কাদেরকে ফখরুল
এর আগেও এখানে কৃষকরা আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা অভিযোগ করেন, দুর্নীতি ও রাজনীতিকরণের কারণে সরকার কৃষকদের কৃষি উপকরণ, সেচ, সার ও বীজ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বৈঠকে এলপিজির দাম বাড়ানোর সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন মন্ত্রী এবং (প্রধানমন্ত্রীর) উপদেষ্টাদের জন্য ব্যবসা এবং লাভের সুযোগ তৈরি করতেই অযৌক্তিক উপায়ে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল।’
বৈঠকে সরকারের কাছে অবিলম্বে এলপিজির দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানানো হয়।
২ বছর আগে
ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ তৈরিতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনাকে নতুন ‘ড্রামা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল আয়োজিত সমাবেশে ফখরুল বলেন, ইসির সংলাপের প্রথম দিনে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জন আমন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যোগ দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, আপনারা (ইসি) প্রহসন করছেন কেন? নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। এটা আমার নয়, একজন শিক্ষকের মন্তব্য।’
যাদের বিচক্ষণতা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে, তারা ভালো করেই বোঝে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন জনগণের সরকার খুবই প্রয়োজন। এ ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আওয়ামী লীগের অধীনে এটা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ করছেন মন্ত্রীরা: বিএনপি
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান শাসনকে উচ্ছেদ করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে তুমুল আন্দোলন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায়, দেশ এখন নীরব দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, ‘প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি।’
মাথাপিছু আয় বেড়েছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রীরা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘একজন যখন মাসে এক হাজার কোটি টাকা আয় করে, আরেকজন তখন ১৫ হাজার টাকা আয় করে। তাহলে দুটো কি সমান হতে পারে? মাসিক এক হাজার কোটি টাকা আয়ের সঙ্গে সাধারণ মানুষের গড় আয় মিলিয়ে, সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখতে এসি রুম ছেড়ে রাস্তায় নামার জন্য মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আ’লীগ জড়িত: ফখরুল
দেশে নীরব ‘দুর্ভিক্ষ’ চলছে: বিএনপি
২ বছর আগে
জেনে শুনে ও বুঝে মিথ্যাচার করা বিএনপির স্বভাব: কাদের
জেনে শুনে ও বুঝে মিথ্যাচার করা বিএনপির স্বভাব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৪ বছর আগে