রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপদ আশ্রয়ের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে জামায়াত কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগিরকের আয়-রোজগারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। রাষ্ট্রই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণ খান পশ্চিম থানা জামায়াতের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির রাজনীতিক জনগণের ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার বনে যান। তারা নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ ও জনগণের ওপর জুলুম করার জন্যই মাস্তান পোষেন। মানুষ তাদের পেছনে দৌঁড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেদিন শেষ হয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, অপরাজনীতি বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই চলবে না। এদেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রেখেই করতে হবে। এক টাকার ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও জনগণকে কষ্ট দেওয়ার অশুভ বৃত্ত থেকে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের বিপরীতে জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আমরা জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে সক্ষম হবো। তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচারকে ব্যসায়িক পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। পতিত স্বৈরাচারের আমলে ব্যাপকভাবে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এমনকি বই, খাতা, কলমসহ শিক্ষা উপকরণের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম- শোষণের হাতিয়ার হিসাবে। তাই সেই অশুভ রাজনীতির কালো থাবা থেকে বেড়িয়ে এসে আমাদেরকে জনকল্যাণের রাজনীতি শুরু করতে হবে।
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
দেশের সকল নাগিরক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সকলে মিলে সে পরিকল্পনা গ্রহণ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দারিদ্র বিমোচন ও বেকার সমস্যার সমাধনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দেশে ব্যাপকভিত্তিক শিল্পায়ন হওয়া দরকার। তাহলেই দেশ আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে।
থানা আমির আবু সাঈদ শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন।
উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো. মামুন, সেক্রেটারি আলী হোসাইন মুরাদ, কাউন্সিলর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম ভূঁইয়া, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আইয়্যুব আলী, মো. আশরাফুল আলম, সিরাজুল ইসলাম মামুন, নূরুল কবির ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।