পরমাণু
পরমাণু আলোচনায় গ্যারান্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আবারও বলেছেন যে গ্যারান্টি বিষয়টি ইরানের জন্য ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার আলোচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান মার্কিন ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) এর সঙ্গে এক সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এনপিআরকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ট্রাম্পের মতোই, গত কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক আলোচনায় পরোক্ষ অংশগ্রহণের সময়েও ইরানের বিরুদ্ধে মাসে গড়ে এক বা দুটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি কূটনীতিই সমাধান এবং একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমরা আন্তরিক ও অটল।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে পাঠানো চুক্তির খসড়াটিতে প্রচুর পরিমাণে অস্পষ্টতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরান ‘একটি চুক্তির বিষয়ে আন্তরিক। তবে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকান পক্ষের বাস্তবিক ইচ্ছা ও সাহস আছে কিনা তা আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তেহরান মনে করে যে বিষয়টি পারমাণবিক চুক্তি থেকে আলাদা এবং এটি সম্পূর্ণ মানবিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকান পক্ষ তাদের প্রস্তুতি প্রকাশ করলে আমরা বন্দী বিনিময় করতে প্রস্তুত।’
উল্রেখ্য, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। এসময় দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অপসারণের বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে ইরান সম্মত হয়।
এরপর ওয়াশিংটন চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং তেহরানের ওপর পুনরায় একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার ফলে পরবর্তীতে চুক্তির কিছু শর্ত ভঙ্গ করে ইরান।
জেসিপিওএ-চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেটি স্থগিত করা হয়। পাঁচ মাস বিরতির পর অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে সর্বশেষ পরমাণু আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
৮ আগস্ট জেসিপিওএ- চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে খসড়া সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে ইইউ। পরে পরোক্ষভাবে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইইউ’র প্রস্তাবের ওপর এক প্রক্রিয়ায় মতবিনিময় করেছে, যা এখনও পর্যন্ত কোন ইতিবাচক ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থিরতার মধ্যে ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর ইরানের হামলা
হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
২ বছর আগে
বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
ইউক্রেনের যুদ্ধ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক হুমকি এবং অন্যান্য অনেকগুলো কারণের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, ‘মানব জাতি পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে।’
আন্তোনিও গুতেরেস পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং একটি পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের লক্ষ্যে দীর্ঘ বিলম্বিত এনপিটি রিভিউ’ সম্মেলনের উদ্বোধনী ব্ক্তব্যে এই ভয়ানক সতর্কবাণী দিয়েছেন।
পাঁচ বছর অন্তর ‘পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তি বা অ-প্রফ্লফ্রেশন চুক্তি (এনপিটি) রিভিউ’ সম্মেলনে ঐতিহাসিক এই চুক্তির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধের পাশাপাশি এই চুক্তির আওতায় পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও তরান্বিত করা হয়। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে নির্ধারিত সময়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয় নি। বাধ্য হয়ে সম্মেলনের দিনক্ষণ ২০২২ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হয়েছিল।
ক্রমবর্ধমান পরমাণু হুমকি ও পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রধান এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতারা এনপিটি সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে এ চুক্তির অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের জন্য নেয়া ভবিষ্যতের পদক্ষেপ সম্পর্কে পর্যালোচনা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তার সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে; ইরান তার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিটি গ্রহণ করতে ‘হয় অনিচ্ছুক বা অক্ষম’ এবং রাশিয়া ‘ইউক্রেনে বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র দেখিয়ে আস্ফালন করছে।’
আরও পড়ুন: কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বলা সতর্কবাণীর কথা উল্লেখ করেন। যেখানে পুতিন বলেন, ‘আপনারা কখনও চিন্তাও করেননি এমন পরিণতি’ ঘটবে।’
পুতিন জোর দিয়ে বলেন,তার দেশ ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু শক্তিগুলোর মধ্যে একটি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, পুতিনের এই ধরনের কথা ১৯৯৪ সালে সোভিয়েত যুগের পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার সময় ইউক্রেনকে দেয়া তার সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার আশ্বাসের পরিপন্থী।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ২০১৫ সালে শেষ এনপিটি সম্মেলনের পর থেকে বিশ্বে বিভক্তি আরও বেড়েছে।
কিশিদা আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি ‘বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়াকে ১৯৯৪ সালে ইউক্রেনকে দেয়া আশ্বাস ‘নিষ্ঠুরভাবে লঙ্ঘন’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, দুর্বল প্রতিবেশিকে আক্রমণের পর থেকে মস্কোর ‘বেপরোয়া পরমাণু হুমকি ’ ‘এনপিটির পাঁচ দশকে অর্জন করা সমস্ত কিছুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।’
সোমবার এনপিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে এর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিনকেও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে সতর্কতার কথা বলতে দেখা যায়।
পুতিন বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে পারমাণবিক যুদ্ধে কোনোদিন জয়লাভ করা যায় না এবং কখনই এই লড়াই করা উচিত নয় এবং আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের জন্য সমান ও অবিচ্ছেদ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাবো।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পুতিন বলেন, তার দেশ এনপিটি’র ‘প্রতিটি অক্ষর ও চেতনা মেনে চলে’ এবং তিনি আশা করেন যে সব পক্ষই তাদের প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলবে। এবং বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এই সম্মেলনে ‘গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গিকার’ করবে।
সম্প্রতি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়া জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করেছে এবং এটিকে ইউক্রেনীয়দের ওপর আক্রমণের জন্য একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন,‘তারা (রাশিয়া) জেনেশুনেই এটা করছে। তারা জানে ইউক্রেন এখানে পাল্টা গুলি ছুঁড়তে পারবে না, কারণ তাদের (ইউক্রেনের সেনারা) আঘাত দুর্ঘটনাক্রমে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকা পারমাণবিক চুল্লিতে আঘাত করতে পারে।’
যদিও এনপিটি-তে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল সোমবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে ব্লিঙ্কেনের এই যুক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
বিবৃতিতে তারা জানায়, রাশিয়া জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টকে একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে না এবং শুধুমাত্র ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে সীমিত সংখ্যক সার্ভিসম্যান আছে।’
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, ইউক্রেনের সংঘাত ‘এত গুরুতর যে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনার ভীতি আবার ভয়ঙ্কর করে জাগিয়ে তুলেছে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক প্ল্যান্টে ‘পরিস্থিতি দিন দিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে’।
এছাড়াও তিনি আইএইএ’র সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটি দল নিয়ে ওই প্ল্যান্টে তাকে পরিদর্শনে যেতে সাহায্য করার জন্য সব দেশকে অনুরোধ করেন।
গুতেরেস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হলে জড়ো হওয়া অনেক মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের বলেন, ‘কোল্ড ওয়ারের পর থেকে সর্বোচ্চ পরমাণু সংকটের সময়ে মাসব্যাপী পর্যালোচনা এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সম্মেলনটি ‘কিছু নির্দিষ্ট বিপর্যয় এড়াতে ও মানবতাকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দারুণ সুযোগ।’
গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।’ বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৩ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং ‘মিথ্যা নিরাপত্তা’ চাওয়ার অজুহাতে অস্ত্রধারী এসব দেশ ‘ধ্বংসকারী এসব অস্ত্রের’ জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু ব্যবহারের হুমকি কিমের
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সতর্ক করে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষে তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির ৬৯তম বার্ষিকীতে বুধবার এক বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা এ হুঁশিয়ারি দেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোন সঙ্কটে সাড়া দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। পাশাপাশি দেশের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধও তার মিশন অনুযায়ী সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে তার পূর্ণ শক্তি একত্রিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি উত্তর কোরিয়াকে তার শত্রুতামূলক নীতির ন্যায্যতা দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পৈশাচিক’ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বৈত আইন’ যা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত রুটিন অ্যাকশনকে ‘উস্কানি’ এবং ‘হুমকি’ হিসাবে উপস্থাপন করে।
কিম দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ‘একজন দ্বন্দ্বের পাগল’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ইউন সুক ইওলে অতীতের দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের চেয়ে আরও এগিয়ে গেছেন।
মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইউন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিউলের সামরিক জোটকে শক্তিশালী করতে এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে নিরপেক্ষ করার জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত স্ট্রাইক সক্ষমতা সহ তার ক্ষমতাকে আরও জোরদার করতে চেষ্টা চালিয়ে নিচ্ছেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের জাতির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা বলা, যাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে যেগুলো তারা সবচেয়ে বেশি ভয় পায়, এটি অযৌক্তিক এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। এই ধরনের বিপজ্জনক প্রচেষ্টা অবিলম্বে আমাদের শক্তিশালী বাহিনীর দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে এবং ইউন সুক ইওল সরকার এবং তার সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করা হবে।’
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডকে দ্বৈত মানের এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ‘শত্রু নীতি’ বলে অভিযুক্ত করছে।
পড়ুন: জাপানে নারীরা অবমূল্যায়িত: জাপানি মন্ত্রী
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
২ বছর আগে
লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিজ্ঞানীরা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বলেন, দেশের দুই মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ত, যেখানে বছরে একটি ফসল হয়। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে ও ভবিষ্যতে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা লবণাক্ত, হাওরসহ প্রতিকূল এলাকায় বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। পূর্ণাঙ্গ জিনোম উন্মোচনের ফলে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ সহজতর হবে।
আরও পড়ুন: ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রীসংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিনা ও বাকৃবির যৌথ এ গবেষণায় বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মিউট্যান্ট সৃষ্টি করে তা থেকে নানামুখী পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এমসিক্স জেনারেশনে তিনটি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত মিউট্যান্টগুলো প্যারেন্ট অপেক্ষা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং ৮ ডেসিমেল মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু।এ গবেষণালব্ধ তত্ত্ব-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিনা ও বাকৃবি’র বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছে।সম্মেলনে আরও জানানো হয়,জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও লবণাক্ততা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকরী উপায় হচ্ছে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন। এ লক্ষ্যে বিনার ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফাতেমা’ জাতের ধানে বিঘায় ৫০ মণ ফলন
২ বছর আগে
পরমাণু সক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন পাস করল ইরান
ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়াতে এবং পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে জাতিসংঘের পরিদর্শন বন্ধ করতে সংসদে নতুন আইন পাস করেছে ইরান।
৩ বছর আগে