হতাশ
রাজনীতিতে ফিরবেন না শেখ হাসিনা: ছেলে সজীব ওয়াজেদ
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার মা শেখ হাসিনা কোনো রাজনীতিতে ফিরবেন না, কারণ তিনি খুবই ‘হতাশ’।
সোমবার (৫ আগস্ট) পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা জয় বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে একথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগার ভাঙল দুর্বৃত্তরা, ৫০০ বন্দির পলায়ন
জয় বলেন, তার মা রবিবার থেকে পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন এবং পরিবারের চাপে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছেড়েছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালে মায়ের সাফল্যের সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, 'তিনি বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র মনে করা হতো। এটি একটি দরিদ্র দেশ ছিল। আজ পর্যন্ত এটি এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান বাঘ হিসেবেেই বিবেচিত হতো। তিনি খুবই হতাশ।’
বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জয় বলেন, 'গতকাল ১৩ জন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে উন্মত্ত জনতা যখন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে, তখন পুলিশ কী করবে বলে আপনি আশা করেন?
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৬
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ
কুড়িগ্রামে এ বছর পাটের ভালো ফলন হলেও দাম কমে যাওয়ায় হতাশাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। এমনি পরিস্থিতিতে আগামী মৌসুম থেকে পাট চাষ ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন অনেকে।
চাষিরা জানান, মৌসুমের শুরুতে পাটের দাম ভালো থাকলেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পাট চাষীরা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা এই অঞ্চলে পাট চাষের স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ অনেকে এই গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল চাষ অব্যাহত রাখার অর্থনৈতিক কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাটে বসেছে পাটের বাজার। সপ্তাহে দু’দিন বসে এ হাট। দূর দূরান্ত থেকে নৌকা, সাইকেল, ঘোড়ার গাড়িতে করে পাট বিক্রি করতে এসেছে চাষিরা। তবে হাটে এসে পাটের দাম শুনে মন খারাপ সবারই। গত হাটের চেয়ে পাটের দাম প্রতি মণে কমেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। পরিবহন খরচ আর আবাদের খরচ মিলিয়ে তাদের লাভের অঙ্ক প্রায় শূন্যের কোটায়।
আরও পড়ুন: পাটের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মো. নুর ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করে সার, পানি, কীটনাশক, আঁশ ছড়ানো মজুরি খরচসহ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিঘায় পাট পাই ৮ থেকে ১০ মন। মোট খরচের হিসাবে আমাদের কোনো লাভই থাকে না।’
আরেক কৃষক মো. হাসানুর বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে পাটের দাম ভালো পাচ্ছি না। বৃষ্টি নাই, খড়া মৌসুমে পাট গাছের জমিতে বাড়তি পানি দিতে হয়। তাই খরচও বেশি হচ্ছে। সে তুলনায় তেমন লাভ নেই।’
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগবতীপুরের পাট ব্যবসায়ী আসলাম মিয়া বলেন, ‘আমি গ্রাম ঘুরে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে পাটগুলো কিনছিলাম। আজকে সেই কেনা দামেই বিক্রি করতে হলো। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, হাটের খাজনা হিসাব করলে লাভ থাকছে না। গত হাটে এই পাটের দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা ছিল। দিন যতই যাচ্ছে পাটের দাম ততই কমছে।’
কুড়িগ্রাম জেলা মূখ্য পাট পরিদর্শকের কার্যালয়ের পরিদর্শক এটিএম খায়রুল হক বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ আগে পাটের দাম ভালো ছিল। এখন পাটের দাম কমছে। কেননা অধিকাংশ ব্যবসায়ী কারখানায় পাট সরবরাহ করে পুরো পাওনা টাকা পায়নি। তাই ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা নাই। ব্যবসায়ীরাও পাট কেনায় আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পাটের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
১ বছর আগে
ভোলায় ২ দিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী অভয়াশ্রমে র্দীঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষে হওয়ার পর গত ২ দিন নদীতে জেলেরা কাঙিক্ষত মাছ পাচ্ছে না। ফলে প্রায় খালি হাতেই ফিরছেন তারা।
তবে জেলেদের আশা আগামী পূর্ণিমার পর হয়তো তাদের জালে ধরা পড়বে প্রত্যাশিত পরিমাণের ইলিশ।
আরও পড়ুন: রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় দুই মাসের জন্য ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ৩০ এপ্রিল রবিবার মধ্যরাত থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে নদীতে নেমেছেন ভোলার সাত উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। তাদের আশা ছিল দুই মাসের অভিযান শেষে নদীতে প্রচুর মাছ পাবেন।
আর তাতে গত দুই মাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। ফিরে পাবেন স্বচ্ছলতা। কিন্তু জালে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছেনা।
ভোলার তুলাতুলি মাছ ঘাটের জেলেরা জানান, নদীতে সারাদিন জাল ফেলে দুই-চারটি যা মাছ ধরা পড়েছে তা আকারে ছোট। কোনো কোনো জেলে সামান্য মাছ পেলেও তা বিক্রি করে তেল খরচও উঠছেনা।
এতে তারা হতাশায় পড়েছেন। তবে মাছ কম পড়ায় দাম বেশ চড়া।
অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় লোকসান গুণতে হয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করলে জমজমাট হবে তাদের ব্যবসা।
এ ছাড়াও বিগত দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে নিবেন তারা। কিন্তু মাছ কম পাওয়ায় তারা হতাশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশা মাছ ঘাটের মৎস্য ব্যাপারী শাহাবুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মাছের পরিমাণ আরও কমে গেছে। এতে তারা বিপাকে রয়েছে। সামান্য মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেক বেশি।
এদিকে এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মাঝারি সাইজের সাত থেকে আট হাজার টাকা দরে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত দুই মাসে ভোলার সাত উপজেলায় ৪০৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৬২জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। ৪৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জন জেলেকে ছয় লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আটককৃত বাকিরা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, তাদের দুই মাসের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া ইলিশ মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে জেলেরা প্রচুর মাছ শিকার করে দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে আবার ঘুড়ে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
১ বছর আগে
নোরার ঢাকা সফরে হতাশ ভক্তরা
বলিউড তারকা নোরা ফাতেহির ঢাকায় আসা নিয়ে বেশ জল ঘোলা হয়েছিল। তার এই সফরের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকায় এলেন নোরা। এতদিন ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন নোরাকে এবং তার নৃত্যের ঝলকানি দেখার।
অপেক্ষা শেষ হলো মঞ্চে নোরা ওঠার পর। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত ‘উইমেন অ্যামপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজনে অংশ নেন তিনি।
সবারই ধারণা ছিল পারফরম্যান্স করবেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ হলেন সবাই। মঞ্চে উঠে ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ করেন নোরা ফাতেহি।
আরও পড়ুন: মঞ্চ তৈরি, অপেক্ষা নোরা ফাতেহির
এর আগে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে নোরা ফাতেহি মঞ্চে ওঠেন। দর্শকদের উদ্দেশে হাতের ইশারায় চুমু ছুঁড়ে দেন নোরা।
এরপর দর্শকদের উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলেন তিনি।
নোরা বলেন, 'দ্বিতীয়বারের মত ঢাকায় এসে আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। বাংলাদেশে আমি বারবার আসতে চাই।'
নোরার নৃত্য দেখা না গেলেও মঞ্চ মাতান বাংলাদেশের তারকারা।
নোরা ফাতেহি অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হলেও মঞ্চ মাতিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পীরা।
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান দিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন দেশের একঝাঁক তারকা। পরবর্তীতে ফ্যাশন শো’তে দেশি মডেলরা র্যাম্পে হাঁটেন। যেখানে দেখা যায় চিত্রনায়িকা পূজা চেরিকে। মঞ্চে নববধূ রূপে দেখা যায় তাকে।
তবে অনুষ্ঠান শেষে হতাশা প্রকাশ করেন ভক্তরা। ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টিকিট কেটে তারা এসেছিলেন নোরার নাচ দেখতে। নোরাকে এক ঝলক দেখায় মন ভরেনি তাদের।
তবে নোরার ঢাকায় সফরে আসার যে শর্তগুলো ছিল সেখানে পারফর্মেন্সের কোনোকিছু উল্লেখ ছিল না। তাই সফরে নিয়মের বাইরে কিছু করে বিতর্ক তৈরি করতে চাননি তারা।
আরও পড়ুন: অবশেষে বাংলাদেশে আসার অনুমতি পেলেন নোরা ফাতেহি
জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে ঢাকায় আসছেন নোরা ফাতেহি
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগ, বিএনপি মানুষকে হতাশ করেছে: জিএম কাদের
দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষকে হতাশ করেছে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
৩ বছর আগে