দমন
অপরাধ-সন্ত্রাস দমনে অভিযান জোরদারের আহ্বান আইজিপির
সন্ত্রাস, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক সংক্রান্ত অপরাধ, কিশোর গ্যাং ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে চলমান বিশেষ অভিযানে জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় জননিরাপত্তা রক্ষায় এসব অভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
তিনি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
আইজিপি বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের চেকপোস্টের সহায়তায় বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৫০টি চেকপোস্টের পাশাপাশি ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ ২০০ ডাকাত ও চাঁদাবাজ, ১৬ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া, অবৈধ অস্ত্রসহ ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে মাদকদ্রব্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আইজিপি দলমত নির্বিশেষে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই জোরদার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর র্যাবের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা
৩ সপ্তাহ আগে
উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও কোনো অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কুণ্ঠাবোধ করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, সেভাবে উপজেলাও হবে। কোনোভাবে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে নিচে নামার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আওতায় কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেটি সবাই দেখবে। উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের মতো দলীয় প্রার্থী থাকছে না এবং দলীয় প্রতীকও নেই। আশা করছি ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। এবং নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা এবারও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া- নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। যেখানেই কোনো অনিয়ম হবে, কারচুপি বা অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে কেউ চায় না নির্বাচন খারাপ হোক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিভিন্ন বক্তব্যে বিষয়টি উল্লেখও করেছেন। ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু করার জন্য যা যা দরকার সব করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আইসিএমএবির প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
৬ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
১ বছর আগে
আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা একটা কথাই বারবার বলছেন অগ্নিসংযোগ হবে, বিএনপি আবার আগুন নিয়ে খেলবে। তবে এটি একটি পরিকল্পিত বিবৃতি এবং তারা নিজেরাই এই ধরনের কার্যক্রম চালাতে চলেছে।’
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
সোমবার দুপুরে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতাকালে এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল ইতোমধ্যে সহিংসতার কথা বলে কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে, কারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় বিভিন্ন দূতাবাস তাদের নাগরিকদের জন্য সংঘাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সহিংসতা ছড়ানোর অংশ হিসেবে খুলনা, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা ও পটুয়াখালীতে বিএনপির সাম্প্রতিক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। ‘তারা (আ.লীগ) এটা করছে কারণ তারা মনে করে সহিংসতাই প্রতিবাদ থামানোর একমাত্র উপায়। তারা সহিংসতা সৃষ্টি করে জনগণের দাবি চাপা দিতে চায়।’
বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের সভাকক্ষে এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব) ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’-শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, তাদের দল বর্তমান সরকারকে হটিয়ে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ‘অনেক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে... যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।’
আরও পড়ুন: আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
তিনি সকল পেশাজীবীদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ ও ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ‘লুণ্ঠন’ চালিয়ে যেতে আবারও ভোট চাওয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদেরও তাদের অধীনে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়াই আহ্বান জানাচ্ছে। তারা (সরকার) ইতোমধ্যেই আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর খেলা শুরু করেছে।
ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো ‘সাজানো’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং তারা এই ফাঁদে পা দেবে না।
তিনি বলেন, তাদের দল সহিংসতা ও সংঘর্ষে জড়াতে চায় না, কারণ তাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায় করা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্দলীয় (নির্বাচনকালীন) সরকারের জন্য আমাদের দাবি মেনে নিন এবং তারপরে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পদ্মাসেতু তার জলন্ত দৃষ্টান্ত।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, বরং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির হাত ধরেই হত্যা-ক্যু- ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে নির্মূল করার অপরাজনীতি শুরু করা হয়।
এখনো এই চিহ্নিত মহল ক্রমাগতভাবে দেশের স্বার্থ ও জনকল্যাণ বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী এই গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন ও জনগণকে সতর্ক করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীদের তালিকায় তারেক শীর্ষে: ওবায়দুল কাদের
জনকল্যাণমুখী সৎ-সাহসী ও দেশপ্রেমিক নেতা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই একটি জাতিকে পিছিয়ে দিতে পারবে না।
সকল প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে সফলভাবে পদ্মাসেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব ও তাদের নেতারা দুরভিসন্ধিমূলক ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনকি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তথাকথিত হত্যার হুমকি’র বয়ান তৈরি করছে বিএনপি।
গত চার দশকে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, তা একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার বিবৃতিতে আরও বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এগিয়ে যাবে।
কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার অগ্রগতির এই গতিধারা থামাতে পারবে না বলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে: কাদের
২ বছর আগে
বিরোধী দলকে দমনে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার ‘নতুন খেলা’ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে। তারা নির্বাচনের নামে একটি খেলা খেলতে চাইছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী বাধা অতিক্রম করতে চায়।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের দলের নেতা ইশরাক হোসেনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং করতে সরকারের ব্যর্থতার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে দুর্নীতির বিস্তারের কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ব্যর্থ শাসনব্যবস্থা এবং এটি দেশে মারাত্মক ক্ষতি করছে।’
‘বেগুনী’ তৈরিতে বেগুনের বিকল্প হিসেবে কুমড়া ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন,‘এই মাসে একটি শসা ও একটি বেগুন কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। এটা দুঃখজনক যে প্রধানমন্ত্রী কুমড়া দিয়ে ‘বেগুনি’ তৈরির নতুন রেসিপি দেয়।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাল, ডাল, বেগুন, শসাসহ অন্যান্য জিনিসের সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছেন। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষকে ধনী করতে গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে সরকার।
আরও পড়ুন: নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
ঢাকা মহানগরীর বর্তমান ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে এখন ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ‘এখন এত রোগী কেন? কারণ, ঢাকা শহরের প্রতিটি কলের পানি (ওয়াসা সরবরাহ করা) দূষিত। (ওয়াসার) লাইনের পানিতে খারাপ গন্ধ এবং ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এ কারণেই প্রতিদিন ১৪০০-১৫০০ ডায়রিয়ার ঘটনা শোনা হচ্ছে।’
ফখরুল ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের কথা বলেছেন। যিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই পদে রয়েছেন। মির্জা ফখরুল তাকে সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন,তাকে অনেকবার অপসারণের চেষ্টা করা হলেও সরকার প্রধানের প্রিয় ব্যক্তি হওয়ায় তাকে অপসারণ করা যায়নি।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য ব্যক্তিদের রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
চীনকে দমন করতে চাইলে মাথা থেতলে দেয়া হবে: জিনপিং
চীন যেভাবে নিজেদের তৈরি করছে তাতে কেউ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে-এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন কাউকে দমন করে না। চীনকে দমন করতে চাইলে মাথা থেতলে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ারে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক গণ সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে জিনপিং এই হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুনঃ চীন থেকে শিগগিরই আরও ২০ লাখ টিকা আসছে
যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে জিনপিং বলেন, আমরা কাউকে দমন করার চেষ্টা করি না। তাই আমাদের কখনোই কোনো বিদেশি বাহিনী দমন, পীড়ন ও পরাধীন করতে পারবে না। কেউ চেষ্টা করলে চীনের ১.৪ বিলিয়ন (১৪১) কোটি মানুষের গ্রেট ওয়ালে মাথা থেতলে দেয়া হবে।
চীন বরাবর অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।
চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির জাতির পিতা মাও সে তুংয়ের মতো ধূসর রঙের পোশাক পড়ে বিশাল জনসমাবেশে জিনপিং বলেন, চীনের জনগণের আত্মমর্যাদাবোধ দৃঢ়। তারা অতীতে কখনো অন্য দেশের জনগণ দ্বারা দমন, পীড়ন এবং দাসত্বের শিকার হয়নি, বর্তমানেও হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
৭ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে জিনপিং এর এই মন্তব্যে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈশ্বিক ক্ষমতার অবস্থান নিয়ে এবং ভারতের সাথে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত ইস্যুতে আরও গভীরভাবে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়লো।
এ সময় ক্ষমতা এবং জনগণ কমিউনিস্ট পার্টিকে নির্বাচন করছে বলেও মন্তব্য করেন শি জিনপিং।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে চীনের টিকা
যদিও বেইজিং ক্ষমতার অপব্যবহার, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর জনগণকে আটক এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সমালোচিত হয়েছে।
১৯২১ সালে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর ৭২ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট নেতা মাও সেতুং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) গঠনের ঘোষণা দেন।
৩ বছর আগে
ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন হবে: কাদের
ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৩ বছর আগে