নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও কোনো অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কুণ্ঠাবোধ করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, সেভাবে উপজেলাও হবে। কোনোভাবে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে নিচে নামার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আওতায় কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেটি সবাই দেখবে। উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের মতো দলীয় প্রার্থী থাকছে না এবং দলীয় প্রতীকও নেই। আশা করছি ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। এবং নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা এবারও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া- নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। যেখানেই কোনো অনিয়ম হবে, কারচুপি বা অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে কেউ চায় না নির্বাচন খারাপ হোক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিভিন্ন বক্তব্যে বিষয়টি উল্লেখও করেছেন। ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু করার জন্য যা যা দরকার সব করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী