আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
রাখাইনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থবহ সম্পৃক্ততা চান মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা জোরদারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থবহ সম্পৃক্ততা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান।
মোমেন উল্লেখ করেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের কারিকুলামে চলমান শিক্ষা এবং বহনযোগ্য দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম প্রত্যাবাসন উদ্যোগের পরিপূরক হওয়া উচিৎ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) আয়োজিত রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হিসেবে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের কথা উল্লেখ করেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
গ্র্যান্ডি বলেন, ‘এটি একটি মানবিক সংকট, যা ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং সমাধান অন্বেষণ করতে হবে।’
ব্যাংককে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তায় ইউএনএইচসিআরকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকার ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
১ বছর আগে
২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে আমরা চাই... ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাক।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে প্রতিহত করতে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নে ঢাকায় গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ করে।
পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাও এই রাতে প্রত্যক্ষ করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই ‘ক্ষত’(গণহত্যা) নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তারা বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভয়াবহ ভাবে হামলা চালিয়েছে এবং দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মানুষ হত্যা করেছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে এবং তিন কোটি মানুষ জোরপূর্বক গৃহহীন হয়েছে। তারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় এবং এক কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়।
তিনি বলেন, রাস্তায় লাশ পড়ে ছিল এবং শেয়াল-কুকুর লাশ খেয়েছে। দেশের মানুষ তা দেখেছে।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, 'নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, তাদের সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধে বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে একটি দেশ গড়ে তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তার তিন বছর সাত মাসের শাসনামলে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতিও পেয়েছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, শহীদদের রক্ত কখনও বৃথা যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হাইজারকে রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সকল অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বিশেষ করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন।
রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান নেতৃত্বসহ সকল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুযোগ দেয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ প্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা যেমন: খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরত্বারোপ করেন।
তিনি বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিনিময়ে বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পরে মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ২২ থেকে ২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট ভুলে যাওয়ার নয়: ইইউ উচ্চ প্রতিনিধি
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এলডিসিতে প্রকৃত কাঠামোগত রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করতে হবে: দোহা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কাঠামোগত রূপান্তরের অঙ্গীকার পূরণ ও নবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেহেতু দেশগুলো ‘চ্যারিটি’ দাবি করে না।
রবিবার জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য আশার আরেকটি নিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রকৃত কাঠামোগত রূপান্তরের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তালিকা থেকে উন্নীত করার লক্ষ্যে পারফরম্যান্সের জন্য কিছু প্রণোদনা থাকা উচিত এবং তাদের বর্ধিত সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা উপভোগ করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের উৎপাদনশীল সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য তাদের বর্ধিত বিনিয়োগ ও জ্ঞান প্রয়োজন। তাদের জন্য কিছু উদ্ভাবনী এবং ক্রান্তিকালীন অর্থায়ন ব্যবস্থা থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: এলডিসি-৫ সম্মেলন: দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি উন্নত দেশগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোও দরকষাকষিতে তাদের পক্ষ নেবে। এই দেশগুলো দান-খয়রাত চায় না; আমরা যা চাই তা হল আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির অধীনে আমাদের পাওনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বৈশ্বিক বাণিজ্যে তাদের অংশ দ্বিগুণ করার জন্য টেকসই সহায়তা প্রয়োজন এবং উন্নত দেশগুলো থেকে এলডিসির জন্য ওডিএ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দাবি রাখে।
তিনি দাবি জানান, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঋণের স্থায়িত্বকে সমর্থন করার উপায় রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে নমনীয় ও অনুমানযোগ্য করতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তি হস্তান্তর বাস্তব ও অর্থবহ হতে হবে।’
তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য সুরক্ষা প্রয়োজন। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ২২ কোটি ৬০ লাখ তরুণকে আমরা ব্যর্থ করতে পারি না।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মহামারি ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসব দেশের অধিকাংশ দেশে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু সংকট এবং কিছু স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব।
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান ছাড়াই কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং এখন ২০২৬ সালে উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে রওনা হবেন শনিবার
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা আবশ্যক: হেগে বক্তারা
রোহিঙ্গাদের টেকসই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও রোম সংবিধির রাষ্ট্রপক্ষগুলোকে দৃঢ়তার সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে হবে। বক্তারা শুক্রবার হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) ২১তম বার্ষিক সমাবেশ চলাকালীন একটি ইভেন্টে একথা বলেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস, গাম্বিয়া সরকার ও নো পিস উইথআউট জাস্টিস যৌথভাবে ‘রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার’ শিরোনামের একটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত শামীম খান, বার্মা রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকে এর প্রেসিডেন্ট তুন খিন, রাখাইন রাজ্যের উপদেষ্টা কমিশনের সাবেক সদস্য ল্যাটিশিয়া ভ্যান ডেন অ্যাসুম ও গাম্বিয়ান সলিসিটর জেনারেল হুসেইন থমাসি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ল্যাভরভের আসন্ন সফরে জ্বালানি সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সংকটের ওপর ফোকাস দিবে ঢাকা
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বলেন, টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের নতুন ফেডারেল কাঠামোর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক গোষ্ঠী, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, আসিয়ান অঞ্চলের নেতাদের এই অঞ্চলের যৌথ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে দেশটির পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়া দরকার। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাধানে সমানভাবে নজর দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
রোহিঙ্গা নেতা থুন খিন রোহিঙ্গাদেরকে স্থান দেয়া ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আর্জেন্টিনার আদালতে চলমান মামলার ওপর আলোকপাত করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত খান রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের আইসিসি মামলার তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
গাম্বিয়ান সলিসিটর জেনারেল বলেন, গাম্বিয়া নিজেই দুই দশকের স্বৈরাচারী শাসনের শিকার হয়েছে। তাই তারা গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছে।
রাষ্ট্রদূত ল্যাটিশিয়া আসুম বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে দুই বছর ধরে মিয়ানমারের স্থল পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ আসিয়ান দেশের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থল সীমানা নেই। তাই তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর যে বোঝা তা যথাযথ বোঝে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
১ বছর আগে
মানুষের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তাদের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, মানুষের জীবনযাপনের সুযোগ থাকতে হবে।’
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে পায়রা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন করা অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আটটি জাহাজ, ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশসহ গোটা বিশ্ব তীব্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, ‘এর প্রভাব আমরাও ভোগ করছি। কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে হঠাৎ করেই সবকিছুর দাম বেড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পর্যবেক্ষণ থেকে বলেন, জনসাধারণ এর ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তারা যন্ত্রণায় কাতর। আমি জানি না কে মুনাফা করছে... যারা অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবসা করছে তারাই হতে পারে। কিন্তু শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল।
অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দরের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পায়রা বন্দর পরিদর্শন
পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া সরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মতে, ২২ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ক্যাম্প নং ৯, ক্যাম্প নং ৮ই এবং ক্যাম্প নং ৮ ডাব্লিউ-তে প্রায় ১০,১০০টি বাসস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১
কোরিয়ান সরকারের এই সহযোগিতা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ এবং এলপিজি বিতরণ, ল্যাট্রিন এবং স্নান ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র ও বাসস্থান পুনঃনির্মাণে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
২০১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের প্রাদুর্ভাবের পরে, মানবিক সহায়তাস্বরূপ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রজাতন্ত্র কোরিয়া ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, আইওএম, ডব্লিউএফপিএবং আইএফআরসি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বার্ষিক চার থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
প্রজাতন্ত্রের কোরিয়া দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড় সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিক সঙ্কট এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা স্থানান্তরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে ঢাকার আহ্বান
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে সরকারের প্রকৃত প্রচেষ্টাকে দুর্বল বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে শুক্রবার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
৩ বছর আগে