পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা জোরদারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থবহ সম্পৃক্ততা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান।
মোমেন উল্লেখ করেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের কারিকুলামে চলমান শিক্ষা এবং বহনযোগ্য দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম প্রত্যাবাসন উদ্যোগের পরিপূরক হওয়া উচিৎ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) আয়োজিত রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হিসেবে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের কথা উল্লেখ করেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
গ্র্যান্ডি বলেন, ‘এটি একটি মানবিক সংকট, যা ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং সমাধান অন্বেষণ করতে হবে।’
ব্যাংককে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তায় ইউএনএইচসিআরকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকার ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন