অবহেলা
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না বলে হঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসা এমন একটি বিষয়, এখানে গাফিলতি করলে মানুষের জীবন চলে যায়। সুতরাং এখানে দুইবার চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক সুনাম ধরে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
রবিবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে সিলেটে কয়েকজনকে কর্মস্থলে না পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
কর্মস্থলে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে যাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আমার পরিকল্পনা আছে ঢাকার বাইরে কিছু হাসপাতালে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুশকিল হলো কোনো না কোনোভাবে সবাই জেনে যায় আমি আসব! কারণ একজন মন্ত্রী যখন কোথাও যায় তার প্রটোকল এমন থাকে...আমি বলছিলাম দরকার হলে আমি সিএনজি করে চলে যাই। তাও যাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমি একটা কাজ করব। ধরুন আমি রংপুর যাব। রংপুর গিয়ে প্রথম দিনই হাসপাতালে যাব না। হঠাৎ করে হাসপাতালে যাব।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
চিকিৎসায় অবহেলায় ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ইউনাইটেড গ্রুপ পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
এছাড়া শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাখিল করা তদন্ত প্রতিদবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপতালে চিকিৎসা করাতে এসে এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে সেদিন মৌখিক আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
একইসঙ্গে রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের সব অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল ক্লিনিকের তালিকা ১ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
ওই আদেশ অনুযায়ী রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ান চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য আয়ানকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া লাগত। সুন্নতে খতনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনের মতামত অংশে আরও বলা হয়, শিশু আয়ানের অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপপরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আদালত প্রতিবেদনটি এফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন এবং শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান। এরপর গত ৯ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে শিশু আয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের ডাক্তারি সনদ বাতিল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোটের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। পরে শিশু আয়ানেরর বাবা রিটে পক্ষভূক্ত হন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
১০ মাস আগে
নাটোরে চিকিৎসকের অবহেলায় সাপে কাটা ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের
নাটোরের লালপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাহাবুব (২৭) উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, লালপুর উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাহাবুব (২৭) গত রাতে বাসায় ফিরে বাড়ির উঠানের নলকূপে হাত-মুখ ধোয়ার সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাপের কামড়ের শিকার হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা করে রোগীর শরীরে কোনো বিষ নেই জানিয়ে পায়ের বাঁধন খুলে দেন। এরপরই মাহবুবের অবস্থার অবনতি হয় বলে উল্লেখ করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
তারা আরও বলেন, বমি করতে করতে এরপর মাহাবুবের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, রোগীর রক্ত পরীক্ষা করেও বিষক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাকে রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ঘুমন্ত মা-মেয়ের মৃত্যু
ধানখেতে কাজ করার সময় সাপের ছোবলে কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ইন্টার্ন ও স্বজনদের সংঘর্ষে আহত ১০
ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- মৃতের স্ত্রী হালিমা বেগম (৮৫); নাতি আলমগীর বিশ্বাস (২৮), তৌহিদ বিশ্বাস (২৫), আলিফ খান (১৪) ও হামজা খান (১২) এবং মেয়ে জেসমিন (৪২), সাবিনা ইয়াসমিন (৫০) ও রেবেকা সুলতানা মনি (৩৫)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নয়ন খান নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ডাক্তার ও স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নয়ন খানের নাতি আলমগীর বিশ্বাস বলেন, রাত ১২টার দিকে তার নানার শ্বাসকষ্ট হলে নার্সদের জানাই। তারা ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসককে জানাতে বলেন। এরপর ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসককে রোগীকে ওয়ার্ডে গিয়ে একটু দেখার জন্য এবং পরে ন্যূনতম একটু অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থাই নেননি। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি আমার নানা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় ডাক্তারদের সঙ্গে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আমার মা আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে একটি বাথরুমে আটকে রাখেন। এরপর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো এসে বাথরুম থেকে বের করে আমার উপর হামলা চালায়।
পরে হামলায় তৌহিদ বিশ্বাস, আলিফ খান, হামজা খান, জেসমিন, সাবিনা ও রেবেকা সুলতানা মনিসহ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, লাশের সঙ্গে ডাক্তার অবরুদ্ধ
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দায়িত্বে অবহেলা এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
অভিযুক্ত মো. রুহল্লাহ চৌধুরী জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১ নম্বর চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম–১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর শ্যালক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমীন প্রধান এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এক স্কুলের ১৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি!
প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করা ও অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সম্পদের ক্ষতি করায় স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে এসব অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে সরকার মনে করে। তার দ্বারা অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে সাতকানিয়ার চরতীতে মোবাইল কোর্টে জব্দকৃত বালু ও অ্যাস্কেভেটর চুরির ঘটনায় জিম্মাদার ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি।
বালু নিলাম কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে সুপারিশসহ ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ ঘরে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও সংঘর্ষ: দুই মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি
১ বছর আগে
সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে গত ১০ জুন ‘ভুল চিকিৎসা’ ও ‘অবহেলায়’ নবজাতকের মৃত্যুর পর এবার প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন। রবিবার (১৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জানান, আঁখি গত কয়েকদিন ধরে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং দুপুর ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু, আহত বাবা
এর আগে, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৫ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন- ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না। তারা উভয়ই ধানমন্ডি এলাকার গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক।
ওসি পারভেজ বলেন, আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে ১০ জুন ৬ জন চিহ্নিত ব্যক্তি এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাযর পর ওই দুই চিকিৎসককে বেসরকারি হাসপাতালটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, আঁখি গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তার অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
এর আগে ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আঁখির পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করবেন। গত ১০ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আঁখি।যদিও ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ভর্তির সময় উপস্থিত ছিলেন না।
তার সহকারী বলেছিলেন যে তিনি অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছিলেন।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকেরা ডেলিভারি পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং জরুরি বিভাগে অসন্তোষজনক পরিষেবার কারণে ১৬ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালকে তার অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটিতে কোনও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘মারধরে’ মায়ের মৃত্যু, ছেলে গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুটির অবস্থা প্রথমদিকে খারাপ দেখে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা করতে চায়নি। পরে পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ভর্তি হওয়ার দুই ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল আমিন রকিব বলেন, সাড়ে ৫ টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তার শারীরিক অবস্থা এত খারপ ছিল যে লাইফ সার্পোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে সেই ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু ওই শিশুটির পরিবার জোর করে এখানে ভর্তি করে শিশুটির চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে।
এখানে তার সেবা সঠিকভাবে চলছিল বলেও তিনি জানান।
পরিবারের সদস্যরা নার্সদের ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা.কামরুজ্জামানের কাছে আপত্তি জানিয়েছেন।
পরিচালক তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।
যদি তারা দোষী হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায়’ শিশু মৃত্যু: চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের দাবিতে নাটোরে মানববন্ধন
ফুটবল খেলতে গিয়ে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
অবহেলায় ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়ি, সংরক্ষণে উদ্যোগ নেই
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি। বর্তমানে বাড়িটি দেখে বোঝার উপায় নেই এখানেই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বসবাস করতেন। এটি এখন ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি, এতে ভাষা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
২০১০ সালে তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বাড়িটি পরিদর্শনে এসে এখানে ‘ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও গত প্রায় ১২ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা যায়, ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে সোচ্চার হন। তিনি অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গণপরিষদে যে কার্যবিবরণী লেখা হয় তা ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় লিপিবদ্ধ হয়। সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। অধিবেশনে ইংরেজি ও উর্দুর সঙ্গে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে চলছে ইউপি কার্যক্রম
তখনকার পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এতে ক্ষিপ্ত হন। এতে ধীরেন্দ্রনাথ তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের রোষাণলে পড়ে কয়েকবার কারাবরণ করেন।
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য আগে থেকেই টার্গেটে ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ। আর সে কারণেই ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়ের এই বাড়ি থেকে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে ধরে নিয়ে যায় কুমিল্লা সেনানিবাসে। সেখানে ৮৫ বছর বয়স্ক এই দেশপ্রেমিক রাজনীতিককে অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে বাবা-ছেলে দুজনকেই হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে তাদের মরদেহের সন্ধানও পায়নি পরিবার।
এরপর থেকে এ বাড়ির অবকাঠামো ক্রমেই ভেঙে পড়তে থাকে। এই বাড়ি দেখে এখন আর বোঝার উপায় নেই, এখানে এক সময় অবিভক্ত পাকিস্তানের এক প্রথিতযশা বর্ষীয়ান রাজনীতিক বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩১ লাখ টাকার সেতু
গবেষক ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহসানুল কবির বলেন, ধীরেন্দ্রনাথের বাড়িটি শুধু কুমিল্লাবাসীর না, এটি দেশের মানুষের অহংকারের জায়গা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় আজ বাড়িটি জীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িটিকে কেন্দ্র করে আরও আগেই অনেক কিছু হতে পারতো। কেন হয়নি এটি না ভেবে, এখনই রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়িটি সংস্করণে যদি আইনগত কোনো বাধা না থাকে প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করে এখানে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে একটি জাদুঘর করা হোক। যেটি দেখে শত শত বছর বাংলা ভাষা-ভাষি মানুষ অনুপ্রাণিত হবে।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নাজমুল বারী চৌধুরী বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রস্তাবক ও ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতি রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আমরা আন্দোলন সংগ্রামসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। জেলা প্রাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। আমাদের দাবি এখানে ধীরেন্দ্রনাথের নামে একটি ভাষা জাদুঘর স্থাপন করা হোক।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা: শীতেও ভবদহ অঞ্চলে ভোগান্তি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সবকিছু করা সম্ভব নয়। ইতোপূর্বে আমরা ২২ লাখ টাকা খরচ করে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে স্টেডিয়ামের মূল গেটটি নির্মাণ করে দিয়েছি। ধীরেন্দ্রনাথ পরিবারের লোকজন বাড়িটি সংস্কারের দাবি তুললে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় দ্রুত সেটা করে দেবে। যেমনভাবে কুমিল্লায় শচীন দেববর্মণের বাড়িটি সংস্কার করা হয়েছে।’
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে হাসপাতালের ফটকে সন্তান প্রসব
কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এক নারীর সন্তান প্রসব ও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ বছর আগে