বহুমুখী
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বহুমুখী করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে বহুমুখী করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যে বিদেশি ক্রেতাদের আকর্ষণ আনতে আগামী মেলায় সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- ২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বাড়াতে দেশের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এ আয়োজনে বিদেশি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করব বলে আশাকরি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন রপ্তানি পণ্য বাড়াতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বর্ষপণ্য হস্তশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মেলা চলাকালীন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৮ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ এর উদোধন করেন। এবার মেলায় দেশি-বিদেশি তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ইতোমধ্যে, মেলা থেকে ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকা মূল্যের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
ওয়াশিংটনের বিস্তৃত ও বহুমুখী সহযোগিতা কামনা ঢাকার
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সহযোগিতা চাইবে এবং আগামী ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে শনিবার রাতে (আজ রাতে) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সফরের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে ড. মোমেন জানান, আমরা এ বিষয়টা উত্থাপন করব (র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা)। তারা (র্যাব সদস্যরা) অত্যন্ত দক্ষ ও কার্যকর; সর্বোপরি তারা দুর্নীতিমুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত।
বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও শান্তিপ্রিয় দেশ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা দ্রব্য ও সরঞ্জাম কিনতে তেমন আগ্রহী না। কিন্তু জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা এ বিষয়ে সম্পৃক্ত হতে চাই।
আরও পড়ুন: মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সাম্প্রতিক সফরের সময় ঢাকায় এক যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের বলেন,আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী যে আমরা সমস্যাটির নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হব। যাতে আমরা একসঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে আরও কিছু করতে পারি।
নুল্যান্ড ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এ বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু বিষয়ে নতুন করে সম্পৃক্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু মৌলিক প্রতিরক্ষা চুক্তি শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে আমরা (মার্কিন প্রস্তাবগুলো) বাদ দিইনি, আবার গ্রহণও করিনি। আমরা এখনও বিবেচনা করছি।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং শান্তিপ্রিয় দেশ। এ দেশের সঙ্গে তার সব প্রতিবেশীর খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশ নিজে কোনো অস্ত্রাগার তৈরি করতে চায় না, তার প্রয়োজনও নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনই কোনো চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করেন না। যা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে, তিনি এমন কাজই করেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র কার্যকরে সব দলের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, তারা বোঝেন এটি (অস্ত্র বিক্রি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় ব্যবসা। তবু তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্র ছাড়াও অন্য ক্ষেত্রগুলোতে সম্পৃক্ততা তৈরি করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সহযোগিতার অনেক নতুন ক্ষেত্র রয়েছে যেমন- প্রযুক্তি হস্তান্তর, ওষুধ, সুনীল অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়গুলোতে মার্কিন পক্ষ এগিয়ে আসতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে ইচ্ছুক। দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে মার্কিন বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টিও উত্থাপন করবে এবং তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাবে।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুও উঠে আসবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেনের সফরে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ দেশের পরিবহন ও কৃষি উৎপাদন খরচকে প্রভাবিত করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এর লক্ষ্য এমন একটি অঞ্চল তৈরি করা যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, চীন, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের আসন্ন সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং আমাদের সকল জনগণের সুবিধার জন্য মার্কিন বিনিয়োগকারীদের নতুন সেক্টরে প্রবেশে সহায়তা করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, তারা একটি ব্যাপক ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করছে। যার মধ্যে মূল ক্ষেত্রগুলোতে জলবায়ু এবং পরিষ্কার শক্তি, ন্যায্য বাণিজ্য সুবিধা, স্থিতিস্থাপক সরবরাহ চেইন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
২ বছর আগে
বহুমুখী পাটপণ্য মেলার শেষ দিনে ব্যাপক জনসমাগম
বহুমুখী পাটপণ্য মেলার শেষ দিনে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এর আগে রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রোডাক্ট সেন্টার (জেডিপিসি) এর প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার ছিল এ আয়োজনের শেষ দিন।
মেলায় ৩৩টি স্টলে বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২টি পণ্য প্রদর্শন করেন। আর ৩৩ জন উদ্যোক্তার মধ্যে তিনজন সেরা ডিসপ্লে পুরস্কার পেয়েছেন।
হোলি ক্রাফট অ্যান্ড ফ্যাশনের সিইও মো. কামরুল হোসেন প্রথম পুরস্কার জিতেছেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে সুসং ফ্যাশনের মো. জাকিরুল ইসলাম ওকুল এবং ‘ক্র্যাফট ভিশন’-এর ইব্রাহিম খলিল।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
তিনি বলেন, ‘এটা মাত্র শুরু। পাটের বহুমুখী পণ্য ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন শহরে এ ধরনের আরও মেলার আয়োজন করা হবে।’
আরও পড়ুন: নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
মোহাম্মদ আবুল কালাম বিদেশি ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করতে উদ্যোক্তাদের পণ্যের গুণগতমান উন্নত করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেডিপিসি একটি শিল্প প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে। শিল্পীরা সেখানে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বিভিন্ন থিম আঁকেন।
শিল্পী রাশিদুল ইসলাম প্রথম, মনিরুল আলম দ্বিতীয় এবং এস এম মিজানুর রহমান তৃতীয় পুরস্কার পান।
টুইঙ্কল ক্রাফট ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী মরিয়ম নার্গিস ইউএনবিকে বলেন, ইউরোপে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন শুরু করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
মানিকগঞ্জে আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধার মিলন মেলা
২ বছর আগে
রপ্তানি বহুমুখী করতে পিআইএফআইসি কর্মসূচি চালু হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
দেশের রপ্তানি বহুমুখী করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কন্সট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি) কর্মসূচি চালু করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
৩ বছর আগে