তিনি বুধবার বাণিজ মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্পের আওতায় পিআইএফআইসি কর্মসূচি চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সম্ভাবনাময় চারটি শিল্প খাত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, হালকা প্রকৌশল ও প্লাস্টিক পণ্য খাত। এগুলো বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইসিফোরজে প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় পিআইএফআইসি কর্মসূচি চালু হরা হলো। এতে করে রপ্তানিকারকরা অনেক উপকৃত হবেন ‘
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইসিফোরজে প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত চারটি শিল্প খাতকে রপ্তানিতে সক্ষম করে তোলার জন্য এ কর্মসূচির আওতায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে এবং বিশ্বব্যাংক আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, লেদার অ্যান্ড লেদারগুডস, ফুটওয়্যার প্রস্তুত কারক ও রপ্তানি কারক সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্লাস্টক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং ওয়াল্ড ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ সোহনা ফেরদৌস সুমি।