গোলাবারুদ
ইউক্রেনে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা সরবরাহ করবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন। যাতে পাল্টা আক্রমণে দেশটির রাজধানী কিয়েভ টিকে থাকতে পারে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সামনের সারির সৈন্যরা প্রশিক্ষিত রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই গোলাবারুদের প্যাকেজে থাকছে হাই-মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস) এবং প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ছোট কামান ও ট্যাংকের জন্য গোলাবারুদ, জ্যাভলিন রকেট, মাইন-ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম, ১২ মিলিয়ন রাউন্ড ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদ এবং ধ্বংসাত্মক গোলাবারুদ।
নাম প্রকাশের ওই দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সহায়তার বিষয় এখনও জনসমক্ষে ঘোষণা করা হয়নি।
ইউক্রেনের জন্য নির্ধারিত মার্কিন তহবিলের প্রায় পুরোটাই ব্যয় হয়ে গেছে এবং বাইডেন প্রশাসন এই সমর্থন অব্যাহত রাখতে কংগ্রেসের কাছ থেকে পরিপূরক সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজের জন্য অনুরোধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
গত বছর রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা পেয়েছে। এসব তহবিলের মাধ্যমে রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ছোট কামান ও লাখ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদসহ নানা অস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করা হয়েছে। রক্তক্ষয়ী তীব্র এই যুদ্ধে সহায়তার বেশিরভাগ গোলাবারুদ ও অস্ত্র ইতোমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বুধবার তার অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে সামনের সারিতে অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণে একদিনের মধ্যে ‘একাধিক পরিবর্তন’ঘটে।
বাইডেন প্রশাসন দুটি কর্মসূচির মাধ্যমে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থায়ন করছে। যার একটি হলো প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটি বা পিডিএ, যা বিদ্যমান মার্কিন মজুদ থেকে অস্ত্র সরবরাহ করে। অন্যটি হচ্ছে ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্স ইনিশিয়েটিভ বা ইউএসএআই, যা ট্যাংকের মতো বড় আকারের অস্ত্র ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে অর্থায়ন করে। উভয় তহবিল চলতি অর্থবছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ ও দুর্যোগে ২০২২ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৭১ মিলিয়ন: প্রতিবেদন
পেন্টাগন ইতোমধ্যেই এই তহবিল নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। কারণ, কংগ্রেস অতিরিক্ত তহবিল অনুমোদন না করা পর্যন্ত সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পিডিএ অর্থে প্রায় ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট রয়েছে। এই অবশিষ্ট থেকেই ২০০ মিলিয়ন ডলারের সর্বশেষ সহায়তার প্যাকেজটি দেওয়া হচ্ছে।
পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারব। আমি কংগ্রেসের কাছে কোনো সম্পূরক বা অতিরিক্ত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কিছুতেই এগিয়ে যাচ্ছি না।’
এ ছাড়াও চলতি অর্থবছরে ইউএসএআই তহবিলে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
১ বছর আগে
অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসছে। অবৈধ অস্ত্র অভিযান চালিয়ে ধরা হবে। যে এরিয়াতে চোরাকারবারী থাকবে, শুধু সেখানেই অভিযান চালানো হবে। শুধু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হবে।’
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ: মোজাম্মেল হক
এসময় তিনি বলেন, অনেকে বন্দুকের জাল লাইসেন্স বানিয়ে নিয়েছে। এসব ফেক লাইসেন্স যাচাই বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের বিষয়টি দেখা হবে। তাদের স্টাফদের বেতন দেয়ার বাইরে অর্থ দিয়ে কি করছে। অভিযোগ রয়েছে উগ্রপন্থী ও টেররিস্টদের অর্থায়ণ করা হচ্ছে। উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করার বিষয়টি সঠিক কি না দেখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এ দেশ থেকে যেতে চায় না। এজন্য তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি ক্যাম্পে যে মারামারি-হানাহানি সৃষ্টি হয় সেসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। এজন্য এমটিএমসির সদস্যদের মিটিংয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কত টাকা পেলো তার স্টেটমেন্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে কত টাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করে এবং কত টাকা কর্মকর্তাদের জন্য ব্যয় হয় সে হিসেব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কতো টাকা আসলো সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে দেখি। সেখানে একজন রোহিঙ্গা ১২ ডলার করে পায়। এরপর কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাদে কিছু খরচ করে কিনা। কারণ অভিযোগ আছে তারা উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করে। সেটা পরিস্কার হওয়ার জন্য এটা লাগবে। আইনানুগভাবে যেটা সম্ভব তাদের হিসেব পত্র জানতে চাওয়া।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা ফান্ডিং করে তাদের কাছে হিসাব চাওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমাদের সচেতনার জন্য আমরা তাদেরকে জানিয়েছি যে, যেসকল টাকা দেয়া হয় তার সঠিক ব্যবহার হলে সবাই উপকৃত হবে। যে ফান্ড আসে সেটা ১২ লাখ দিয়ে ভাগ দিলে বেরিয়ে যায়। এরমধ্য থেকে ২৫ শতাংশ তাদের (এনজিওগুলোর) বিভিন্ন ব্যয় রয়েছে সেটা বাদ দেন, তাহলেতো মূল কতো টাকা দেয়া হচ্ছে তা বেরিয়ে যাবে। বাকি ৭৫ ভাগ টাকা রোহিঙ্গাদের কাজে ব্যয় হয় কিনা সেটা তদন্ত করে দেয়ার জন্য হিসাব চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যর্থ। আইনশৃঙ্খলা কমিটি বার বার চেষ্টা করেছে। যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা চ্যানেলকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে তারা তেমন কোন সাড়া দেয় না। তার প্রধান কারণ হিসেবে আমরা ধরেছি, তাদের কোন হেড অফিস না থাকাতে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ সেভাবে করতে পারি না।
তিনি বলেন, তাই আমরা চাই এইসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক। যাতে আমরা প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে মিথ্যাচার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে এসব চ্যানেলের অফিস আছে, সেখানে কোন অন্যায় হলে জবাবদিহি করতে হয়। অথচ আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। যদি তাদের অফিস থাকতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা চাই এইসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক।
মাদক গোটা জাতির জন্য শঙ্কার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী ও পাচারকারীদের তালিকা করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। সেসকল তালিকা ক্রস চেক করা হবে। তারপর আমরা একটি স্থায়ী তালিকা করবো। সব সংস্থা আলাদা আলাদা তালিকা করবে, পরে সমন্বয় করা হবে। তবে এই তালিকা প্রকাশ করা যাবে না।
২১ ফেব্রুয়ারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। এখানে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসারে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য সেফটি সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কমিশনারকে বলা হয়েছে। তারা যাকে সুন্দরভাবে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারেন। এসময় যেন অতিরিক্ত ভিড় না হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে। এজন্য আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য মারমুখী হয়ে থাকবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এরপ্রেক্ষিতে আমরা বলেছি এগুলোর প্রমাণসহ জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। এবিষয়ে তাদেরকে সচেতন করে দেয়া হয়েছে। তারা যাতে এমন কোন কিছু না করে যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে ‘জেএমবি’র চার সদস্য গ্রেপ্তার: অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জিএমবির) সদস্য সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪। শনিবার ভোরে নগরীর খাগডহর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
ময়মনসিংহের র্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার উইং কমান্ডার রুকনুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জেএমবি ‘সদস্য’ আটক: র্যাব
তিনি বলেন, শনিবার ভোরে র্যাব-১৪ এর একটি দল ময়মনসিংহ শহরের খাগডহর এলাকায় অভিযান চালায়। এলিট ফোর্সের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবি সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে সংক্ষিপ্ত গুলি বিনিময়ের পর জঙ্গিদের পরাজিত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তারা।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৮৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩: র্যাব
কেরানীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২: র্যাব
৩ বছর আগে
গাজীপুরে ধ্বংস করা হবে গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য
রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের সেন্ট্রাল অ্যামিউনিশন ডেপো (সিএডি) গাজীপুরের শ্রীপুর থানার শিরিশগুড়ি গ্রামে সিএডি ডেমোলিশন গ্রাউন্ডে অকেজো গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি ধ্বংস করবে।
৪ বছর আগে