ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)
কুষ্টিয়ায় ইবি শিক্ষকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক সহযোগী অধ্যাপকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের পুলিশ লাইন স্কুলের পিছনে কমলাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত নূর জাহান পারভিন মিনু (৪০) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামের মৃত জোবাইর হোসেনের কন্যা এবং ইবির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জননী ছিলেন। স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে মিনু কুষ্টিয়া শহরের পুলিশ লাইন স্কুলের পিছনে কমলাপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় ১৭ বছর আগে মিনুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মিনুকে মারধর করতেন মাদকাসক্ত স্বামী নজরুল। ছেলে-মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে সংসার করেতেন মিনু।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে সাম্পান উল্টে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
নিহতের বড়ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মিলন বলেন, সোমবার দুপুরের দিক থেকে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তাকে ডেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮টার দিকে দরজা ভেঙে দেখি মেঝেতে তার লাশ পড়ে আছে। ওই ঘরের দুটি দরজা রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, মিনুর স্বামী ইবি শিক্ষক নজরুল তাঁর বোনকে নির্মমভাবে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য ওই ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিনি দাবি করেন, তাঁর বোনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
মিলন আরও জানান, নজরুল একজন মাদকাসক্ত। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
ইবিতে ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি!
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্ধশত অব্যবহৃত পুরাতন কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম পরিষ্কারের কথা বলে এস্টেট অফিস প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান ও তার সহযোগী উকিল উদ্দীন ও সাবু পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করেন। বিক্রি করা জিনিসের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, মনিটর, লোহার পাইপ, জানালার গ্রিল, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার ও অন্যান্য কাগজপত্র।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে এইচএসসির প্রবেশপত্র সরবরাহ হচ্ছে কম্পিউটার দোকানে!
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যবহৃত পুরাতন জিনিস বা কোন কিছু বিক্রি করতে হলে উপচার্যের অনুমোদন নিয়ে বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে নিলামে তুলে সেগুলো বিক্রি করা হয়। এজন্য ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে নিলাম কমিটির আহ্বায়ক করে উপাচার্য চার সদস্যের একটি কমিটি করে দেন। তবে কমিটির কেউই এই জিনিস বিক্রি সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এস্টেট অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রায় একশ পুরাতন কম্পিউটার, ১২টি ফটোকপি মেশিন ও প্রিন্টার, ১০ মণ রড, জানালার পুরাতন গ্রিল, পুরাতন ব্যবহারযোগ্য লোহার পাইপ ও প্রায় সাড়ে চারশ কেজি কাগজ বিক্রি করা হয়েছে। টিপু তার সহযোগী সাবু ও উকিলের সহযোগিতায় শুধু গেট পাস করে জিনিসগুলো বিক্রি করেছে।
অভিযুক্ত উকিল উদ্দীন বলেন, আমি শুধু মাপামাপির সময় গেছিলাম। পরে চলে আসছি। আমি এসব কিছু জানি না।
বকুল হোসেন বলেন, আমাকে টিপু স্যার হিসাব রাখা এবং মাপ ঠিক আছে কি না এটা দেখার জন্য পাঠিয়েছিল। আমি হিসাবগুলো লিখেছি।
তবে তিনি প্রতিবেদককে ৪৩টি পুরাতন কম্পিউটার ৫০ টাকা করে, তিনটি বড় লোহার পাইপ (বাইশ থেকে তেইশ কেজি), সিপিইউ (ওজনে) এবং প্রায় ৪৫০ কেজি কাগজ বিক্রির হিসাব দেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীকে ফেলে তার কম্পিউটার নিয়ে চলে গেল বাস, ৯৯৯ এ ফোন কলে উদ্ধার
অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত টিপু সুলতান বলেন, অনুমোদনের বিষয়টা অনেক সময় মেইনটেইন করা হয় আবার অনেক সময় মৌখিক অনুমোদন নেয়া হয়। বিক্রিত বেশির ভাগ জিনিসই কাগজ ছিল। রুমটা পরিষ্কার করার দরকার ছিল তাই ট্রেজারার স্যারের মৌখিক অনুমোদন নিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন বলেন, স্টোর রুমের জিনিস বিক্রির বিষয়ে আমাকে জানালে আমি বলেছিলাম, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো জিনিস মুখে মুখে অনুমোদন হয় না। তারা কার অনুমোদন নিয়ে জিনিস বিক্রি করেছে, ছুটি শেষে দেখব।
২ বছর আগে
ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯০ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রবিবার শিক্ষক সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম আব্দুস ছোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন শনিবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ৪২৭ নম্বর কক্ষে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম আব্দুস ছোবহান জানান, নির্বাচন সু্ষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
২ বছর আগে
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মেসে আটকে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৬টায় লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বাস।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরবে ইবি শিক্ষার্থীরা
বাসগুলোর মধ্যে তিনটি ঢাকা এবং দু’টি বাস খুলনা বিভাগে যাবে বলে জানিয়েছেন ইবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেনন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। কোনও সমস্যা যেন না হয় সেজন্যে গাড়ির চালক ও তার সহযোগীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও আগামী ১৮ তারিখ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় আরও ছয়টি বাস দিবে প্রশাসন। ওইদিন তিনটি করে বাস রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
এর আগে, গত ৭ জুলাই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভাগীয় শহরে পৌঁছানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করার নির্দেশনা দেন।
৩ বছর আগে
নতুন প্রক্টর পেল ইবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৩ বছর আগে
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ইবি শিক্ষকদের অসন্তোষ
শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসির সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গৃহীত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে গত ১ ডিসেম্বর তিনি একমত পোষণ করেন বলে জানা গেছে।
৩ বছর আগে