আরও পড়ুন: বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন ইবির ২৬ শিক্ষক
শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতির বিষয়ে ৩৪টি বিভাগের সভাপতির মতামত নেন ভিসি। এতে একটি বিভাগ ব্যতীত সব বিভাগের মতামত অনুযায়ী সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে আগের নিয়মে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু ১ ডিসেম্বর এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ইউজিসির গৃহীত সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন ভিসি। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটির মধ্যে পরীক্ষা নেবে ইবি
শিক্ষকদের দাবি, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ব্যাহত হবে। কেননা কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় শিক্ষকদের গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হয়। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমে যাবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে, যা স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী। এ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদ দেশের একটি স্বতন্ত্র অনুষদ। এর ভর্তি পরীক্ষাও নেয়া হয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে। সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নামে বানান ভুল: ইবি রেজিস্ট্রারকে কারণ দর্শানোর
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ভিসির সম্মতির বিষয়টি আরও সুচিন্তিত হওয়া উচিত ছিল। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি এখনও স্পষ্ট নয়। এ রকম একটি অস্পষ্ট বিষয়ে অংশগ্রহণ করা সমীচীন নয়।’
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন ইবির ২৬ শিক্ষক
যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরাও আগের মতো স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের একটি সিদ্ধান্ত ছিল যে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বা ইউজিসি যদি সমন্বিত পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে আমরা সে পদ্ধতিতে যাবো। তাছাড়া আগামী ২২ ডিসেম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’