আসামি খালাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামি খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ১২ জানুয়ারি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আসামিদের খালাস দেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে টেকে না। রায়ে বলা হয়েছে, যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন; তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বাবরসহ ১৯ জনকে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেয়েছেন তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেয়েছেন তারা হলেন- শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এই ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়। ওই হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য রক্ষা পান।
২৬২ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ আসামিসহ সাজাপ্রাপ্ত ৪৭ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি আসামিদের মধ্যে ২৫ জন যাবজ্জীবন এবং ১৩ জন ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। সাজাপ্রাপ্ত সবাই বিএনপির নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিচারিক আদালতের ওই রায় ছিল প্রতিহিংসাপরায়ন সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই রায় দিয়েছিলেন। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মী। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে সবাইকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিন্ময়কে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
জানা যায়, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
পরে মামলাটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা। এই ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ও আপিলের ওপর গত ৩০ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট সেদিন রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
৩০৪ দিন আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অভিযোগপত্রও অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এর আগে মামলাগুলো রায় (সিএভি) অপেক্ষমাণ রেখে গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ করেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) মামলা দুটি রায়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একটি মামলার রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে ২০১৮ সালে মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্স এবং এ সংক্রান্ত আপিলের জন্য শুনানি সাধারণত একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের সমন্বয়ে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে বলে ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে।
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকতর তদন্তে তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অতিরিক্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
৩৭০ দিন আগে
পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি হাইকোর্টে খালাস
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)- ঢাকার শাহজাহানপুরে পানির পাম্পের পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় চার আসামির সাজা বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
২১২৩ দিন আগে
সিপিবি’র সমাবেশে বোমা হামলা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রায় দুই দশক আগে রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলা মামলার রায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২১৪৭ দিন আগে
ফটিক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ ৬ আসামি খালাস
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চানপুর গ্রামের ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
২১৮৭ দিন আগে