এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল গ্রহণ করে মঙ্গলবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শরীফ এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত জামিল, সোলেমান, নূর মোহাম্মদ, সাদেক ও আলমগীর।
রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, ডাকাতদের ধরিয়ে দেয়ার কারণে আসামিরা সম্মিলিতভাবে ঈদের আগের দিন ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিককে হত্যা করে। এ হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত শরীফকে মৃত্যুদণ্ড বাকি পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এ মামলায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। এছাড়া আসামিরা আপিল করেন। পরে শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ে আদালত ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে আসামিদের আপিল অনুমোদন করেছে। ফলে শরীফের আর মৃত্যুদণ্ড হবে না। সে বেকসুর খালাস। যারা যাবজ্জীবন তারাও খালাস। সব আসামি বেকসুর খালাস, বলেন তিনি।
খালাসের বিষয়ে ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, কারণ হচ্ছে প্রসিকিউশন বা বাদীপক্ষ এ মামলাটিতে সঠিকভাবে সাক্ষী দিতে পারেনি। একজন আসামি আলমগীর সে স্টেটমেন্ট দিয়েছিল, সেটা এক্সকালপেটরি ইন নেচার (তিনি নিজেকে না জড়িয়ে বক্তব্য দেন)। সেটাও আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
মামলা সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চানপুর গ্রামে ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিককে বিগত ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে অপহৃত হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৮ অক্টোবর চানপুর এলাকার ফাইন ফুড ফিসারি থেকে তার মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ফটিকের ভাই মইন উদ্দিন কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর ২০১৪ সালের ২৯ জুন বিচারিক আদালত মামলায় রায় দেন।