বড়দিন
এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
বড়দিনকে উদযাপন, প্রতিফলন ও ঐক্যের সময় হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই উদযাপন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ঐক্যের সার্বজনীন মূল্যবোধের স্মারক হিসেবে কাজ করে, যা মানুষকে একত্রিত করে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বড়দিন প্রেম ও উপলব্ধির চেতনায় বিভিন্ন পটভূমির মানুষদের একত্রিত করে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানোর সময় আমাদেরকে এই উৎসবের সময়ে শান্তি ও সহানুভূতির তাৎপর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উপলব্ধি করে মোমেন বলেন, ফিলিস্তিনে খ্রিস্টানরা যে মর্মস্পর্শী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তা উপেক্ষা করা যায় না।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং গাজায় আনুমানিক ৫০ হাজার খ্রিস্টান ফিলিস্তিনি বাস করেন।
মোমেন বলেন, ‘এই বড়দিনে আমরা ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা যেসব অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘যীশু খ্রীস্টের জন্মকে স্মরণ করার সময় আসুন আমরা তার প্রেম ও সহানুভূতির শিক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি। বড়দিনের চেতনা আমাদের এমন একটি বিশ্বের দিকে পরিচালিত করুক যেখানে বোঝাপড়া ও একতা বিরাজ করে।’
মোমেন উল্লেখ করেন, ‘প্রতিকূলতার মধ্যেও আশার আলো আমাদের পথকে আলোকিত করুক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করুক। অভাবগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ও আশার বীজ বপন করতে বড়দিনের চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।’
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
১১ মাস আগে
উৎসব ও শান্তির বার্তায় বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন
বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে বিশ্বের সঙ্গে ২০২৩ সালের বড়দিন ঐতিহ্যগত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করছে। এবারের উৎসব দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষ্য বহন করছে।
বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।
উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে: রঙিন আলোয় সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি এবং ক্রিসমাস ক্যারল এবং স্তোত্রের আনন্দময় শব্দে ভরা বাতাস, বিশেষত গির্জার বিশেষ প্রার্থনার সময়। এই প্রাণবন্ত উদযাপন কেবল বিশ্বাসেরই প্রদর্শন নয়, সম্প্রদায়ের বন্ধনকে শক্তিশালী করার একটি উপায়ও।
আরও পড়ুন: সোমবার বড়দিন
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, যেখানে বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও পেশাদার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হবে একদল গায়কের পরিবেশনা, যার সমাপ্তিতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ক্রিসমাস কেক কাটবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে জাপা চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্রিস্টান মিশনের প্রতিফলন ঘটিয়ে অভাবগ্রস্তদের জন্য তার আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ী অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহরুখের ‘ডানকি’ বনাম প্রভাসের ‘সালার’: মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনে
১১ মাস আগে
বড়দিন ও নববর্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আহ্বান আইজিপির
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর রাত উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায় ২৫ ডিসেম্বর তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন করবে এবং সারা দেশের মানুষ বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদযাপন করবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর রাত উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জের ডিআইজি এবং জেলা পর্যায়ের পুলিশ সুপার (এসপি) ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাকে ধরবেন। ধরতে না পারলে চিনে রাখুন। তারপর পুলিশ তাদের আটক করবে।’
প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করতেও অনুরোধ করেছেন আইজিপি।
আইজিপি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সাইবার মনিটরিং ও টহল বাড়ানো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুযোগ নেয় তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ প্রধান।
তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
সভায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জনসেবক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে: আইজিপি
খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন পালিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন, পিএইচকিউ-এর অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও এবং খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে: আইজিপি
১ বছর আগে
বাংলাদেশে চলছে বড়দিন উদযাপন
খ্রিস্টান সম্প্রদায় রবিবার সকালে উৎসব ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও বড়দিন উদযাপন করছে।
খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে উদযাপিত হয়।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এটি এমন একটি সময় যখন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা বাড়িতে সজ্জিত রঙিন আলো ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে দিনটি উদযাপন করতে একত্রিত হয়।
গির্জাগুলোতে প্রার্থনার আগে ও পরে বড়দিনের বিশেষ স্তুতি গান গাওয়া হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বড়দিন উদযাপনের সময় জরুরি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য সংস্থার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব ইতোমধ্যেই সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য অফুরন্ত আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক। সকলের জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষে আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এক অভ্যর্থনার আয়োজন করবেন।
বাংলাদেশের আর্চবিশপ, রাষ্ট্রদূত, বিদেশি মিশনের প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের সঙ্গে এক চা পার্টিতে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: বড়দিনকে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আইজিপি
রবিবার শুভ বড়দিন
১ বছর আগে
বড়দিনকে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আইজিপি
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের খ্রিস্টান ভাই ও বোনদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তারা একটি নিরাপদ পরিবেশে ও ধর্মীয় উত্সাহের মধ্যে তাদের বড়দিনের দিনটি উপভোগ করবে এবং আমরা এখানে তাদের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করতে এসেছি। আমরা জানি, ভাগাভাগি করলে সুখ বাড়ে। এই কারণেই আমরা ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে তাদের সুখের মাত্রা বাড়াতে এসেছি। তারা কোনো ধরনের সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
সম্প্রতি দুই জঙ্গির পলায়ন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আখতার, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করতে রবিবার সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করছে।
শনিবার বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
১ বছর আগে
রবিবার শুভ বড়দিন
যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো রবিবার দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবটি হলো যীশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম উদযাপন, একটি নতুন সূচনা, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং আনন্দ বার্তা আদান-প্রদান এ উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
সারা দেশের গীর্জাগুলোতে প্রার্থনা সেশনের আগে ও পরে ক্রিসমাস ক্যারোল ও স্তোত্র গাওয়া হবে।
শনিবার বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বার্তায় বলেছেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য বড়দিন বয়ে আনুক অনন্ত আনন্দ ও কল্যাণ। সকলের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এক সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।
সচিব, সামরিক সচিব এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের সঙ্গে এক চা পার্টিতে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত
বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তায় কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট ও নাচগানের আয়োজন করা যাবে না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, সবসময় এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনের সময় আমরা বসি। আমরা দুর্গোৎসবের সময় বসেছিলাম, আমাদের ধারণা ছিল, ৩১ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ হবে। সেই অনুযায়ী প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি দুর্গোৎসবের পূজামণ্ডপ হয়েছে।
এছাড়া এবার তেজাগাঁও ও রমনাসহ পাঁচ হাজার ৬৮২টি (দু-একটি বেশি-কম হতে পারে) গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
বড় গির্জাগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক পাড়ায় বেশিরভাগ কূটনীতিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে, ভিআইপিদের চলাচলের সময় যেটা করা হয়। ডগ স্কোয়াডও থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবে। প্রতিটি শহরে র্যাবের টহল থাকবে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে র্যাবের টহল জোরদার করা হবে।
এছাড়া কোনো অঘটন ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন দেয়া যাবে। সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, ২৫ ডিসেম্বরের পরে থার্টি ফার্স্ট নাইট হয়ে থাকে। এদিন আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আায়োজন করা যাবে না।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি যাতে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে প্রবেশ সীমিত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে,’ জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অপব্যহাররোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে। যে কোনো নাশকতারোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উৎযাপনে গির্জা ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার ব্যবস্থা থাকবে।
‘৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সব বার বন্ধ থাকবে। দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় উদ্ধার টিমসহ অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সতর্ক থাকবেন।’
মাঠে কনসার্ট করা যাবে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদক কারবারী করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে এই উৎসব উপলক্ষ্যে কোনো থ্রেট (হুমকি) আছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি।
তারপরেও আমরা সবাই সজাগ থাকবো, যাতে কোনো অঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
২ বছর আগে
বড়দিনে ব্রাজিলে গোলাগুলিতে নিহত ৫
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ফোর্তালেজায় শনিবার ভোরে একটি ফুটবল মাঠে বড়দিন উদযাপনের সময় গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত ও ছয় জন আহত হয়েছেন। সিয়েরা রাজ্যের পাবলিক সিকিউরিটি সেক্রেটারিয়েট এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমে অস্থিরতায় গাজা-ইসরায়েল ব্যাপক গোলাগুলি
সংস্থাটির প্রেস অফিস থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সন্ত্রাসী দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মার্কেটে গোলাগুলিতে নিহত ১০
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের একজনের বয়স ২১, অপরজনের ২৬। তাদের বিরদ্ধে অপরাধ সংঘটন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, চুরি ও শান্তি ভঙ্গের মতো অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলার রেকর্ড ছিল।
২ বছর আগে
করোনা মহামারির মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে আরেকটি বড়দিন
যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ শনিবার বাংলাদেশেও উপযাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন বড়দিন হলো পুনর্জন্ম, নতুন শুরু, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্কের নবজীবন দেয়ার উৎসব।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ এবং স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ এ উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। গির্জায় প্রার্থনা শুরু ও শেষের পর গাওয়া হয় বড়দিনের বিশেষ গান ও বন্দনা সংগীত।
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
২ বছর আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫৪ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১৩৭ কোটি টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে সারা দেশের ২৫৪টি খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক কোটি ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে