মিলন মেলা
ফরিদপুরে পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসবে মানুষের মিলন মেলা
আবহাওয়া ছিল বৈরি, আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতা ছিলো বেশ। তবুও উৎসাহে ভাটা পড়েনি ঘুড়ি প্রেমিকদের মনে।
ইংরেজি বছরের শেষ শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেন ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় পদ্মা পাড় এলাকার ঘুড়ি প্রেমিকরা। উৎসবটি শেষ হয় সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজি পুড়িয়ে।‘চলো হারাই শৈশবে’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে ফরিদপুরের ফেসবুক পেজ ‘ফরিদপুর সিটি’।
এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাগান ও পৌর মেয়র অমিতাব বোস।
এ উৎসবে শতাধিক ঘুড়ি উড়ানো হয়েছে আকাশে। এর মধ্যে রয়েছে বাহারি রঙয়ের, বিভিন্ন আকারের ঘুড়ি।
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
৮৫৪ দিন আগে
কালী পূজা: দুই বছর পর লালমনিরহাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা
কালী পূজা উপলক্ষে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে মঙ্গলবার সকালে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উদ্যোগে দুই বছর পর এই মিলন মেলা হয়।
দুই বাংলার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দু-পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সকাল সাড়ে ৯ টায় দীপালী রানী নামে এক নারীর তার খালাতো বোনের ছেলে জয়ধর বাবুর সঙ্গে দেখা হয়। দেখা হলেও ভাগ্নেকে জড়িয়ে ধরে আদর করেতে পারেননি তিনি। কারণ তাদের মাঝে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে কাঁটাতার।
ভাগ্নের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে দীপালী রানী জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় তার খালা-খালু ভারতে চলে যায়। সেই সময় ছোট খালা দুই বোনের সঙ্গে শেষ দেখা হয়। কয়েক বছর আগেও একবার খালাতো বোনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর তার সেই খালাতো বোন মারা গেলেও যেতে পারেননি তিনি। আজ তার ভাগ্নেদের কাছে পেলেও ছোঁয়ে দেখতে পারেননি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই লক্ষ্মীপূজা, জমে উঠেছে প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি
দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে কালী পূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে দুই বাংলার এ মিলন মেলা বসে।
শুধু দীপালী রানী নয়, তার মত শত শত মানুষ সীমান্তে ছুটে এসেছে রক্তের টানে। দীর্ঘদিন পর কাছের লোকজনদের দেখতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে অনেকই প্রাণের টানে ছুটে এলেও আত্মীয়দের দেখা না পেয়ে মন খারাপ করেও ফিরে গেছেন।
মিলন মেলায় আসা সফিকুল ইসলাম ও রবিন্দ্র নাথ জানান, বছরে একটা দিন আমরা কালী পূজা উপলক্ষে আমাদের আপন জনের দেখা করার সুযোগ পাই, তা যেন অব্যাহত থাকে। আইনের জটিলতা দিয়ে যেন এ মিলন মেলা বন্ধ না হয়।
তারা আরও বলেন, বছরে এমন একটি মিলনমেলা আমাদের মানবিক পৃথিবী তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল হক মিরন বলেন, এ সীমান্তে প্রতিবছর কালী পূজা উপলক্ষে দুই বাংলার মিলন মেলা বসে। এতে অনেকেই তাদের পুরাতন আত্মীয় স্বজনের দেখা করতে পেয়ে বেশি খুশি মনে বাড়ি ফিরেন। এটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পূজার ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম শুরু
৯২১ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে এবার হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মহামারি করোনার কারেণ পাথর কালী জিউ পূজাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গোন্দিপুর গ্রামে শুক্রবার দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা এবার হয়নি।
১৬১০ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা
পাথরকালী পূজা উপলক্ষে হরিপুর উপজেলার চাপসার ও কোচল সীমান্তে দুই বাংলার হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৬৮ দিন আগে