শিশু উদ্ধার
চট্টগ্রামে ৯ ঘন্টার মাথায় অপহৃত শিশু উদ্ধার, যুবক আটক
চট্টগ্রামে অপহরণের ৯ ঘন্টার মাথায় দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৭।
আটক মো. জুয়েল মিয়া (২৪) সিলেটের বালাগঞ্জ থানার গোয়াইলজুরা বাজার এলাকার মৃত কাশের মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদের জালালাবাদ এলাকায় ভাড়া ঘরে থাকতেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপহৃত মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ (৪৪) একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বায়েজিদ বোস্তামির জালালাবাদ এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের। প্রতিবেশি জুয়েলের সঙ্গে পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে-মেয়েদেরও সখ্যতা তৈরি হয়। তারা জুয়েলকে ভাই বলে ডাকতো। সেও বিভিন্ন সময় ওই শিশুদের দোকান থেকে চকলেট-চিপস কিনে দিত।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিদিনের মতো অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল পিয়ার মোহাম্মদের এক বছর ৯ মাস বয়সী মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা। এসময় মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে পরে পিয়ার মোহাম্মদ জানতে পারে, তার মেয়েকে প্রতিবেশি জুয়েল কোলে করে দোকানের দিকে নিয়ে যায়। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও জুয়েল এবং তার মেয়েকে কোথাও দেখতে না পেয়ে আতঙ্কিত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জুয়েল ফোন করে জানায়, পিয়ার মোহাম্মদের মেয়ে তার হেফাজতে আছে এবং মেয়েকে সুস্থ পেতে চাইলে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করে জুয়েল। একইসঙ্গে দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। আর টাকা তাড়াতাড়ি না পাঠালে তার মেয়েকে আর ফেরত দিবে না এবং হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দিবে।
পরে অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ বিষয়টি র্যাবকে জানালে শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণকারী জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত ওই শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী নাটোরে উদ্ধার
রাতভর পুলিশের অভিযান, অপহৃত তিন শ্রমিক উদ্ধার
১ বছর আগে
সাভার থেকে অপহরণের ৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
সাভারে অপহরণের তিনদিন পর কুষ্টিয়া থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার আলাউদ্দিননগর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহৃত মাসুম মোল্লা রিপন (১২) সাভার পৌর এলাকার নামা বাজার এলাকার আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন দক্ষিণ কাঠপট্টি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে। সে সাভারের অধরচন্দ্র স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার দেবনগর গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে গোলাম আজম সাবু (৪৫)। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের এক আত্মীয়ের পরিচিত বলে জানা গেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার গোলাম আজম সাবু অপহৃতের বাবার ভায়রা ভাই নাসিরের পরিচিত হওয়ার সুবাদে কুদ্দুসের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে যান গোলাম আজম সাবু। পরে রিপনকে তার বাবার দোকান নামাবাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন। কিন্তু রিপনকে নামাবাজারে না নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান সাবু। পরে শিশু রিপনের পরিবারকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর পুলিশ তাকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:সাভারে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই )সজল খান বলেন, ‘বুধবার থেকে আমরা তাকে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার কথা বলি। তিনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার আলাউদ্দিননগর চড়াইকোল রেলস্টেশনের পাশে টাকা নেয়ার কথা জানান। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে টাকা নিতে এলে সাবুকে গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও জানান, ‘তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অপহরণ, খুন ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:সাভারে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাভারে ৩ বছর মেয়াদি চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্প শুরু
২ বছর আগে
যশোরে চুরি হওয়া শিশু মাগুরায় উদ্ধার
যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া আট দিন বয়সী এক শিশুকে মাগুরার সীমাখালী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে শালিখা থানা পুলিশ।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম জানান, এক নারী যশোর থেকে ছেড়ে আসা বাসে শিশুটিকে নিয়ে মাগুরা জেলার শতখালী যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাসটি সীমাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাশে থাকা অপরিচিত এক নারীর কাছে শিশুটিকে রেখে পানি খাওয়ার কথা বলে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাসটি ছেড়ে গেলে অপরিচিত ওই নারী শিশুটিকে তার মায়ের কাছে তুলে দিতে নেমে পড়েন।
কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করে মা পরিচয় দেয়া ওই নারীকে না পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুনরায় ওই মহিলার জিম্মায় রাখে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অপহৃত শিশু উদ্ধার, কিশোর আটক
এদিকে যশোর পুলিশের তথ্য পেয়ে জানা যায় যে, সেখানে একটি শিশু হারানোর বিষয়ে জিডি হয়েছে। এরপর যশোর থানা পুলিশ এসে শতখালী থেকে শিশুটিকে নিয়ে তার প্রকৃত মা-বাবার কাছে তুলে দেয়।
তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি বিশারুল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচ শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যশোর শিশু হাসপাতালে ওই শিশুটির জন্ম হয়। ৬ মার্চ সেখান থেকে এক নারী শিশুটিকে চুরি করে পালিয়ে যায়। শিশুটির বাবার নাম মেহেদি হাসান ও মা আসমা খাতুন। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ পৌর এলাকায়।
২ বছর আগে
অপহরণের ১ মাস পর রাজধানীতে শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
অপহরণেরর এক মাস পর অপহৃত শিশু উদ্ধার ও অপহরণকারীকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব-২।
শনিবার র্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. আবুল কালাম (৩০) কুমিল্লা জেলার মো. আ. বারেকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ট্রাক জব্দ
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ মে অনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে মো. আল আমিনের নাবালিকা মেয়ে মীম আক্তার (১২) বাসার সামনের খেলতে যায় এবং দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও, আর বাসায় ফিরে আসেনি।
পরে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন মো. আবুল কালামসহ দুজন মিলে তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অপহৃতের বাবা-মা মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় র্যাব-২ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-২ এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি মো. আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে, ওইদিন রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে থেকে শিশু মীম আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবেদ জানা যায় যে, সে ও তার ভাই যোগসাজশে ভিকটিমকে অপহরণ করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাদে ফুলের টবে গাঁজা চাষ: ১৯০টি চারাসহ আটক ১
৩ বছর আগে
চুরি হওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন কলেজ শিক্ষার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আহমদ মেডিকেল থেকে চুরি হওয়া ৪৭ দিনের শিশু ওবায়েদকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন নূর জাহান নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হালদারপাড়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থী শিশুটিকে পেয়ে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসেন।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম শিশুটির মা সাবিনা আক্তারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চুরি হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর শিশু উদ্ধার
এর আগে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে নবীনগর উপজেলা সদরের আহমদ মেডিকেল থেকে শিশুটি চুরি হয়।
শিশু ওবায়েদ নবীনগর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকার কাউসার মিয়া-সাবিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিকালে শিশুটিকে জেলা শহরের হালদারপাড়ায় একটি স্কুলের পাশে পড়ে থাকতে দেখে কলেজ শিক্ষার্থী নূর জাহান তাকে উদ্ধার করেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন নূর জাহান। পরে কনস্টেবল তানিয়াকে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে চুরি: সিরাজগঞ্জে জীবিত-মৃত ২ শিশু উদ্ধার
শিক্ষার্থী নূর জাহান জানান, লকডাউনের কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তার বড়বোন সাথী আক্তারের বাসায় বেড়াতে আসেন। রবিবার বিকেলে হালদারপাড়া যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি শিশু চিৎকার করতে দেখেন নূর জাহান। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যান।
শিশু নিখোঁজের বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, রবিবার দুপুরে সাবিনা আক্তার শিশুটিকে কোলে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালটিতে চিকিৎসার জন্য আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে আল্ট্রসনোগ্রাফি কক্ষে ঢোকার আগে সাবিনা আক্তার তার সন্তানকে পাশে বসা এক অপরিচিত নারীর কোলে দিয়ে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাফি কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখেন নবজাতক শিশুসহ অপরিচিত নারী উধাও।
নিজের শিশুকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত মা সাবিনা আক্তার।
আরও পড়ুন: শিশু অপহরণের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
৩ বছর আগে
নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু ৮দিন পর উদ্ধার
নাটোরের গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চুরি হওয়া দুই মাসের তাইবাকে বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে