ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
জামিন পাননি হেলেনা জাহাঙ্গীর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ড. বশির উল্লাহ জানান, তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেসড রিজেক্ট) করেছেন। ফলে তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত সপ্তাহে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। ৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়। ওইদিনই দিবাগত মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে। পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়। এরমধ্যে গত ১৭ আগস্ট একটি এবং ২১ সেপ্টেম্বর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
হাইকোর্টে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার তার আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী জামিন আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ওই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তার আবেদনটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৯০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। মঙ্গলবার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
ওইদিনই মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।
পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৭ আগস্ট একটি এবং ২১ সেপ্টেম্বর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোনের ৫ দিনের রিমান্ড
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে দুই মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ অক্টোবর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন ও ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি মাদক মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসার ২ দিনের রিমান্ড
মুফতি কাজী ইব্রাহীম ২ দিনের রিমান্ডে
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহীমের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের এসআই মো. হাসানুজ্জামান কাজী ইব্রাহীমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
কাজী ইব্রাহীমের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) এর বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দু’দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিল, ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে কাজী ইব্রাহিম নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে ইব্রাহিমকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়।
জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে।
পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথে লুট, ৪ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড
ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঝুমন দাস
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাসকে এক বছরের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলাতানা যুথি ও মো. আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
পড়ুন: শাল্লার হামলার ঘটনায় আরও ৬ গ্রেপ্তার
হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেইসবুকে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়ার অভিযোগ তুলে গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সে সময় গ্রামের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়। হিন্দুদের অন্তত ৯০টি বাড়িতে হামলা হয় সেদিন।
পরে ওই ফেইসবুক পোস্টের জন্য ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ২২ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সেই থেকে কারাগারে বন্দি এ যুবক।
সুনামগঞ্জের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিন না হওয়ায় ঝুমনের আইনজীবীরা জজ আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও জামিন আবেদন নাকচ হয়ে গেলে গত ২২ আগস্ট হাই কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। সে আবেদন শুনে হাইকোর্ট আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে জামিন দেন।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলা: শাল্লার ওসি সাময়িক বরখাস্ত, দিরাই থানার ওসিকে বদলি
শাল্লার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাধীন
ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ঝুমনের করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেপ্তার
হাইকোর্টে ঝুমনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলতানা ও আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন ঝুমন।
১৬ মার্চ ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তার আগে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করা হয়। তাঁকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন
গত ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ মার্চ তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এই মামলায় ঝুমন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে তা ১৮ জুলাই নামঞ্জুর হয়। এরপর দায়রা আদালতে জামিন চান ঝুমন, যা ৩ আগস্ট খারিজ হয়। তারপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ঝুমন। এই আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
তাসনিম-সামিউলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মুশতাককে অব্যাহতি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (সম্পূরক অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন।
একই সাথে লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার চার্জ গঠনের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। লেখক মুশতাক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
অব্যাহতি প্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন-যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার।
এদিকে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে ১৩ জুন ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক আফসার আহম্মদ।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ভাসানচর নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন মিথ্যা ও প্রতিহিংসার অংশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নেত্রকোণায় জাপা নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট, গ্রেপ্তার ১
নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদের বিরুদ্ধে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে ‘ধমীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ’ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন উপজেলা জাপা সভাপতি।
মামলার প্রেক্ষিতে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিন উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের গোজাখালীকান্দা গ্রামের শমেস আলী মিস্ত্রীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সভা চলাকালে আ.লীগের অফিসের মেঝে ধসে আহত ৭
গত শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার গোজাখালীকান্দা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট জাপা নেতা ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ বাদি হয়ে জসিম উদ্দিনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পূর্বধলা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই নিহত
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আইডি থেকে পূর্বধলা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ এবং ধমীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মতো পোস্টও দিয়েছিল। যার ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
গত ৯ জুন ঢাকার বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২৫ (২), ২৯ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ধারায় মামলাটি করেন সাবেক ওই এমপি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে সৈকতকে বিষয়টি অবহিত করার পর পাবনার গণমাধ্যম জানতে পারে।
সৈকত সময় টিভি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাবনা মেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাবনার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর্জা আজাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পাবনার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
এক বিবৃতিতে সাংবাদিকরা বলেন, খন্দকার আরজু যে সংবাদটি উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন, তা প্রকাশের আগে সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে তার বক্তব্য নিয়ে ওই সংবাদটিতে তা প্রকাশও করা হয়েছে। দেশের মূলধারার অধিকাংশ গণমাধ্যমগুলোতে একই সংবাদ প্রকাশিত হলেও সম্পূর্ণ আক্রোশ বশত কেবল পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধেই তিনি মামলাটি করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৮ মার্চ বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং জড়িত দুজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে পরদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে ‘সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর ভাতিজার বাড়িতে অভিযান’ চালানো হয়েছে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় যুগান্তরের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টির বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ এবং এদেশের সরকারের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সময়ে সময়ে সরব আবার অনেক সময় প্রচন্ড নিরব থাকে৷
সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা হারানোর বিষয়ে ড. হাছান বলেন, 'এদেশে শত শত মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে হত্যা-দগ্ধ করার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো বিবৃতি দেয় না, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ হত্যার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সপ্তাহ চুপ থাকে, আবার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দেয়, তখন এই সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা আসলে হারিয়ে গেছে।'
আর পড়ুন: ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে সাংবাদিকরা: তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয় ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই এ আইন। একজন গৃহিণী, সাংবাদিক, রিকশাচালক বা কর্মকর্তা, সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই এই আইন। আগে যখন ডিজিটাল বিষয়টি ছিল না, তখন আইনেরও প্রয়োজন ছিল না। এখন যখন বিষয়টি এসে গেছে, মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইনেরও প্রয়োজন আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কারো চরিত্রহনন করা হলে, অসত্য অপপ্রচার হলে, তাকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য এ আইন এবং সাধারণ মানুষই এ আইনের আশ্রয় নেয়।
বিশ্বব্যাপী এ ধরনের আইনের উদাহরণ তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয় পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুরসহ অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং এনিয়ে বারংবার কথা বলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এসময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের করোনার টিকা গ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ আগে টিকা নিয়ে সমালোচনা করলেও এখন টিকা নেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। মন্ত্রী বলেন, এটা শুভবুদ্ধির উদয় এবং এতে তিনি স্বীকার করে নিলেন যে, টিকা নিয়ে তার পূর্বের অপপ্রচার মিথ্যা ছিল।
আরও পড়ুন: কিছু সংস্থা বিবৃতি বিক্রি করে: তথ্যমন্ত্রী
টিভি সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও বকেয়া বেতন নিশ্চিতের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর