ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার তার আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী জামিন আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ওই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তার আবেদনটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৯০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। মঙ্গলবার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
ওইদিনই মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।
পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৭ আগস্ট একটি এবং ২১ সেপ্টেম্বর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর