স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’: তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছর পরে দেশে ফিরে ‘প্রত্যাশিত বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে। যদি সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়, এই দেশের প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঞ্চে উঠে ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ বলে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সালাম দিয়ে দেশে ফিরে আসতে পারায় সৃষ্টিকর্তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ৭৫-এর ৭ নভেম্বর আবার সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ৯০-এর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ, খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু তারপরও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।
‘আমরা তার পর দেখেছি, ২০২৪ সালে। ’৭১ সালে এদেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাসহ কৃষক, শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী, পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ দলমত, শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।’
২ ঘণ্টা আগে
গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন জুবাইদা ও জাইমা
১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান সরাসরি রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা দিয়েছেন। তবে ডা. জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান গিয়েছেন তারেক রহমানের বাসভবন ১৯৬ গুলশান অ্যাভিনিউতে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) এক কর্মকর্তা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১টার দিকে তারা গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুযায়ী পুলিশ ও সিএসএফ সদস্যরা তাদের বাসায় পৌঁছে দেন। তারেক রহমান পরিবারের সঙ্গে এই বাসাতেই অবস্থান করবেন।
এর আগে, বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাকায় ফেরেন তিনি।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে প্রথমে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একে একে আলিঙ্গন করেন তিনি। এছাড়া উপস্থিত নেতাদের সঙ্গেও করেন কুশল বিনিময়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর আজ সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে উড়োজাহাজটি সিলেটে অবতরণ করে। সেখানে ঘণ্টাখানেক যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়। এরপর সেটি ঢাকার উদ্দেশে বেলা ১১টা ৪ মিনিটে বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমানবন্দরে অবতরণের প্রায় ১ ঘণ্টা পর বিমানবন্দর ছেড়ে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন তারেক রহমান।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার পর বিমানবন্দর ছাড়ে তারেক রহমান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী গাড়িবহর।
বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে থেকে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত লাল রঙের বাসে চড়ে ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’র মঞ্চের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাসের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন তারেক রহমান। এরপর তিনি উঠবেন গুলশানের বাসায়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে ফিরেই প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন, ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে পৌঁছানোর পর ঢাকায় আসেন তিনি। ঢাকায় ফিরেই তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তারেক রহমান।
দুপুর ১টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই ফোনালাপের একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ফোনালাপে তিনি প্রধান উপদেষ্টার খোঁজখবর নেন এবং বলেন, আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ফোনালাপের শেষে তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দোয়া চান এবং সালাম দিয়ে কথা শেষ করেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমানবন্দরে অবতরণের প্রায় ১ ঘণ্টা পর বিমানবন্দর ছেড়ে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন তারেক রহমান।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার পর বিমানবন্দর ছাড়ে তারেক রহমান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী গাড়িবহর।
বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে থেকে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত লাল রঙের বাসে চড়ে ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’র মঞ্চের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাসের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এর আগে, বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসে লাগোয়া বাগানে খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় তিনি একমুঠো মাটি হাতে তুলে নেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন তারেক রহমান। এরপর তিনি গুলশানের বাসায় উঠবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের পথে তারেক রহমান
হজরত শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমানবন্দরে অবতরণের প্রায় ১ ঘণ্টা পর বিমানবন্দর ছেড়ে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর বিমানবন্দর ছাড়ে তারেক রহমান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী গাড়িবহর।
বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে থেকে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত লাল রঙের বাসে চড়ে ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’র মঞ্চের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাসের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসে লাগোয়া বাগানে খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি একমুঠো মাটি হাতে তুলে নেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন তারেক রহমান। এরপর গুলশানের বাসায় উঠবেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর পর ঢাকায় তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঢাকার মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে পৌঁছানোর পর অবশেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর ১১টা ৪৪ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও দেশে এসেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর আজ সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে উড়োজাহাজটি সিলেটে অবতরণ করে। সেখানে কিছু সময় যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়। এরপর সেটি ঢাকার উদ্দেশে বেলা ১১টা ৪ মিনিটে বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ১৯২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে দেশে আসে। এর মধ্যে ৮৫ জন যাত্রীকে সিলেটে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১০৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে সিলেট থেকে রওনা হয়।
বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে ৩০০ ফিটে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে যাবেন তারেক রহমান। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন তিনি।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে দেশের ক্ষমতা নেওয়া সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বিএনপির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয় এক ডজনের বেশি মামলা। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ভর্তি করা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা ছাড়েন তারেক রহমান।
সে সময়ের সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তার নির্বাসন জীবন শুরু হয়। দেড় যুগের এই নির্বাসনে লন্ডন থেকে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন, দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৩টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ৭২টি মামলা হয়। এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় তাকে। গণমাধ্যমেও তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় আদালতের মাধ্যমে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একে একে সব মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।
৭ ঘণ্টা আগে
সিলেট থেকে উড়াল দিয়েছে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান
সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪ মিনিটে উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি অবতরণ করার সময় নির্ধারিত রয়েছে।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে রওনা হয়ে আজ সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে কিছু সময় যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়।
তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার এই যাত্রায় তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও যুক্তরাজ্য থেক দেশে ফিরেছেন।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে দেশের ক্ষমতা নেওয়া সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বিএনপির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয় এক ডজনের বেশি মামলা। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ভর্তি করা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা ছাড়েন তারেক রহমান।
সে সময়ের সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তার নির্বাসন জীবন শুরু হয়। দেড় যুগের এই নির্বাসনে লন্ডন থেকে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন, দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৩টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ৭২টি মামলা হয়। এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় তাকে। গণমাধ্যমেও তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় আদালতের মাধ্যমে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একে একে সব মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।
এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, আজ তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ১৯২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে দেশে আসে। এর মধ্যে ৮৫ জন যাত্রীকে সিলেটে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১০৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশের মাটিতে তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা ৫৬ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। সিলেটে যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, তারেক রহমান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-১০২ বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ১২টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থল রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট এলাকা) সকাল থেকেই বিএনপির নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সামনে কঠিন পথ’, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশে ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ এ অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে লন্ডন বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, সামনে কিন্তু আমাদের কঠিন সময়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং এই নির্বাচনও কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনারা অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটা এখন বুঝতে পারছেন। এক বছর আগে যা বলেছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে। এখন আমি আবারও বলছি, সামনের সময় কিন্তু খুব সুবিধের নয়। কাজেই সকলকে সজাগ থাকতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হলভর্তি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন?’ কর্মী-সমর্থকরা সমবেত কণ্ঠে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
তখন তারেক বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই আমরা আমাদের এই যে পরিকল্পনার (দেশ গড়ার পরিকল্পনা) কথা বললাম, তা সফল করতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’
যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ব্রিটেনে যে আপনারা আছেন, এই দেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা আছে বলেই এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষ বহু বহু যুগ ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাজেই আসুন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকার কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’
৮ দিন আগে
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সংবর্ধনা হবে নজিরবিহীন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যা অতীতে কোনো নেতা এই দেশে পাননি।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, আমাদের আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যেটা অতীতে কখনো কোনো নেতা বাংলাদেশে পায়নি। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত উদ্বেগের মধ্যে এই সংবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছি। একদিকে আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে এক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে আমাদের সেই নিশ্চয়তার (তারেক রহমান) আলো যিনি আমাদের দেখাচ্ছেন, আমাদের যিনি সামনে পথ দেখাচ্ছেন, সেই নেতা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, জকে বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে নাকি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে থাকবে। আমি মনে করি, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দুইটা শক্তি আছে। একটা উদার গণতন্ত্রপন্থি শক্তি। আরেকটা পিছিয়ে পড়া শক্তি। যারা ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, সেই শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যেভাবে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। তারা এখন এমনভাব দেখাচ্ছে যে, তারা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন ফ্যাসিস্ট আবার জাগতে আমরা দিতে পারি না। পিছিয়ে পড়তে দিতে পারি না। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নুনহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
১১ দিন আগে
তারেক রহমান যেদিন ফিরবেন, দেশ যেন কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘শিগগিরই’ দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের তাকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে দলের মহাসচিব এ কথা জানান।
রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৭ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই কর্মশালায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যেহেতু বাংলাদেশের সব এখানে উপস্থিত আছেন, আমাদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছেন; আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের নেতা খুব শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন।
‘আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন; সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। এই কথাটা আপনাদের মনে রাখতে হবে…পারবেন তো? ইনশাআল্লাহ, সেইদিন আমরা গোটা বাংলাদেশের চেহারাকে বদলে দিতে চাই।’
১৭ বছর ধরে নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমান নভেম্বরে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন বলে দলটির নেতারা বলে আসছিলেন। এর মধ্যে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তারেকের মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হলে তার দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়।
তবে গত ২৯ নভেম্বর তারেক নিজেই ফেইসবুক পোস্টে বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টি তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন’ নয়। তার এমন বক্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, প্রগতির দিকে এগোতে চাই। বাংলাদেশকে একটা মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের নেতার যে চিন্তাভাবনা, তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেদে ভাষণ দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ এসেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠনের সুযোগ এসেছে, যা বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু এই সবগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনোদিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।’
বিএনপিকে জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের দল ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দল হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আর অন্য কোনো কিছু আপনাদের সাফল্য দেবে না। আপনাদের সাফল্য দেবে আপনাদের মধ্যে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য এবং আপনাদের যে চেতনা সামনের দিকে যাওয়ার, যে জাতীয়তাবাদী দর্শনে আমরা দীক্ষিত হয়েছি, যে গণতন্ত্রের দর্শনে দীক্ষিত হয়েছি, সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার এই চেতনা।’
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর বিএনপি ছয় দিনের এই কর্মশালার ঘোষণা দেয়। এতে ছাত্রদল, কৃষকদল, ওলামাদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নির্বাচনপূর্ব প্রচারের জন্য প্রস্তুত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেশন রাখা হয়েছে।
আজ কর্মশালার পঞ্চম দিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিএনপি নেতারা অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন। কর্মসূচিতে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৪ দিন আগে