আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪২তম বার্ষিকী আলোচনা সভা, দোয়া ও ত্রাণ বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে।
১৯৮১ সালের এই দিনে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ এবং দলকে বিজয়ী করে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ২১ বছরের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন শুরু করতে ভারতের নয়াদিল্লিতে ছয় বছরের নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন এবং এ দিনই তাদের পিতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ঢাকার ধানমন্ডি-৩২ এর বাসভবনে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
এরপর থেকে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত না হওয়া এবং লাখো উল্লাসিত সমর্থকদের স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক দিনে দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত দুই বোনকে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল।
১৭ মে বৃষ্টি ভেজা বিকালে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণের পর শেখ হাসিনা মানিক মিয়া এভিনিউতে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন এবং সেখানে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার জীবন উৎসর্গ করার এবং বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ পূরণ করার অঙ্গীকার করেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন তার প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য ও কীভাবে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ও উন্নয়নের দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন তা তুলে ধরে আলোচনা ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আরেকটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান খান নিখিল।
আরও পড়ুন: দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে: কাদের
এছাড়া সংগঠনটি কর্মসূচি চলাকালীন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পোশাক, হুইল চেয়ার ও সাদা ছড়ি বিতরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেশব্যাপী মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়, সকাল সাড়ে ৯টায় মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার মন্দিরে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর-১০ এর সেনপাড়া পর্বতার ওয়াইএমসি গির্জায় খ্রিস্টান সম্প্রদায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।