যৌথবাহিনী
মধ্যরাতে খুলনায় যৌথবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, আটক ১১, অস্ত্র উদ্ধার
খুলনার সোনাডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা গোলাগুলির পর ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার পর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান।
গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য, নৌবাহিনীর একজন সদস্য এবং চার সন্ত্রাসী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসি আজম খান জানান, আরামবাগ মসজিদের অপর পাশে একটি বিল্ডিংয়ে কালা লাভলু সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে—গোপন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহতও হন।
আরও পড়ুন: ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলি, আহত ৮
পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি চলার একপর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শেষ হয়। এ সময় ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শটগান, একটি কাটা বন্দুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, কয়েক রাউন্ড গুলি ও সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আটক সন্ত্রাসীদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ ছিল। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৩ জন পুলিশ সদস্য ও নৌবাহিনীর একজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ হাসপাতালে এবং নৌবাহিনীর সদস্যকে নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক সন্ত্রাসীরা হলেন— শেখ পলাশ, কালা লাভলু, আরিফুল, ফজলে রাব্বি, শরীফ, ইমরানুজজান, রিপন, ইমরান, সৈকত রহমান, সহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানী।
২ দিন আগে
এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে লুট হওয়া এক হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। তিনি বলেন, পাশাপাশি আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ সময়ে দেশজুড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডিসিদের কি কি নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে আবদুল হাফিজ জানান, ‘দু-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ যেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো কিভাবে তাড়াতাড়ি ধ্বংস করা যায় সেটা সম্পর্কে প্রশ্ন ছিল। আগামী দিনে তাদের কি কি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, যেমন-আমি উল্লেখ করেছি যে, প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি; যেগুলো ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়ে গিয়েছিল। আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরণের গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি, সেগুলো তাদের জেলায় কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।’
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, ‘প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়ে গেছে। ৬ লাখ গুলির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ উদ্ধার করা যায়নি, তার মানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলো পযায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: যুবকদের সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের
আবদুল হাফিজ বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি, স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে একটা অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে। আমি আরও উল্লেখ করেছি, সামনে রমজান আসছে, তখন তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে, দ্রব্যমূল্যের বাজারদর তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় কম রাখতে পারেন। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যেন মোকাবিলা করতে পারেন।’
‘আমি বলেছি সাধারণ মানুষের তিনটা প্রত্যাশা। এটা আকাশচুম্বী নয়। তারা নিরাপদে চলাফেরা করতে চায়, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায় এবং দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে এবং যে সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা; সেটা যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া পেতে পারে। আমি বলেছি, মাঠ পযায়ে যারা আছে, মানুষের জন্য তারাই সরকার,’ যোগ করেন আবদুল হাফিজ।
চলমান অভিযানের বিষয়ে আবদুল হাফিজ বলেন, চলমান অভিযান যেটা আছে সেটা চলবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকার সেখানে ব্যবস্থা নেবে।
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও কিভাবে করা যায় সেটি আলোচনায় এসেছে। যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সেল মিলিটারি ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা যায় কিনা-সেখানে আমাদের যুব সমাজের যারা আছেন তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন। তারা দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
৪১ দিন আগে
কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে এক যুবদল নেতা কামাল হোসেনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার জগতপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা, বুড়িচং সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন ফেন্সি কামাল নামেই পরিচিত। তার সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ও সারদুল ইসলাম নামে আরও দুইজন গ্রেপ্তার হন। এসময় তাদের কাছ থেকে ২১০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ওসি আজিজুল হক মুঠোফোনে জানান, ভোরে ২১০ পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর যৌথবাহিনী তাকেও গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার
১৫৭ দিন আগে
যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫, ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে ৫৩টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
সাম্প্রতিক সময়ে থানা, পুলিশ লাইন, পুলিশ ফাঁড়ি ও অন্যান্য স্থান থেকে লাইসেন্স করা যেসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠন হয়ে, সেগুলো উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে সরকার।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে বেসামরিক নাগরিকদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অবৈধ অস্ত্র, লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, দেশব্যাপী যৌথ অভিযানে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৩টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি রিভলবার, ১৮টি পিস্তল, দুটি রাইফেল, ১১টি শটগান, একটি পাইপগান, ছয়টি শুটারগান, তিনটি এলজি, ৩টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, একটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, একটি এয়ারগান ও তিনটি স্মুথ বোর বা এসবিবিএল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
২০৫ দিন আগে
অস্ত্রসহ বিলাইছড়িতে আটক ৭
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সাতজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
১৫৩৪ দিন আগে