নিজস্ব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, প্রতিটি দেশের শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্কের সময় তিনি বলেন, 'এত শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করছে তার জন্য প্রশংসা করা উচিত।’
ক্যামেরন বলেন, স্পষ্টতই সেখানে বিশাল চাপ রয়েছে- শিবিরের পরিস্থিতি এবং পর্যাপ্ত খাদ্য আছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে - তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ এক মিলিয়ন লোকের দেখভাল করছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আর এ কারণেই আমরা এটিকে যতটুকু পারছি সমর্থন করছি। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিটি দেশের শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’
২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৩৭৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মিয়ানমারের মানবিক সংকটের জন্য অতিরিক্ত ৭ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দিয়েছি।
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনসহ সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়েও যুক্তরাজ্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না: বিএনপি
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর