ভোক্তা
সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এসময় তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে কীভাবে সাশ্রয়ীমূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায় সে চেষ্টাই করতে হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আরও পড়ুন: ঢাকার খালগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা ডিম আমদানি করতে চাই না। ডিম আমদানির সঙ্গে সে দেশের রোগ-জীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে। এর ফলে পোল্ট্রিশিল্প টিকতে পারবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদন কমে গেছে, কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। তাই গ্রাহক পর্যায়ে ডিম ও মুরগি সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্প, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পোল্ট্রিশিল্পের অবদান কোনো অংশে কম নয়। এ সেক্টর ডিম ও মাংসের বিশাল চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোনো ক্রীড়া সংস্থায় একই পদে দুই মেয়াদের বেশি কেউ থাকতে পারবেন না: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
পোল্ট্রিশিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দৈনিক খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হয় এ শিল্প থেকে। একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে অন্যদিকে সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে পোল্ট্রিশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের আহ্বান
২ মাস আগে
রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, সংকটে ভোক্তারা
সরকার লাগাম টেনে ধরার পরও রোজার মাস রমজানে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজার জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এই প্রতিবেদক দেখেন, সম্প্রতি সরকার যেসব পণ্যে ভ্যাট-করের হার কমিয়েছে, সেগুলোও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রীর মতো কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক গত কয়েক মাসে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির চিত্র দেখতে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) এসব বাজারে দেশি রসুনের কেজি ২৫০ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৫০ টাকা।
দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি, যা দুই মাস আগে ছিল ২৪০ টাকা। আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি, যা গত বছরের চেয়ে ৮০ টাকা বেশি। দেশি আদা পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ২০০ টাকা।
খুচরা বাজারে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। ভালো মানের মসুর ডাল নভেম্বরে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নভেম্বরে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা এবং ফেব্রুয়ারিতে এসে সেটি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসে খোলা (লুজ) সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ টাকায়। নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নভেম্বর মাসে তিউনিসিয়ার খেজুর ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ফেব্রুয়ারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
নভেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া নভেম্বর মাসে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা ছিল ১৮৫ টাকা। তবে নভেম্বর থেকে গরুর মাংসের দাম কমছে। সে সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হতো। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ টাকায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কেজিতে লাফিয়ে ওঠে ৮০-৮৫ টাকায়। একইভাবে বেড়েছে মাংস, মুরগির মাংস, সয়াবিন তেল, ডিমসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম।
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল বছরে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা গত অক্টোবরে এই দশকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেশি।’
বিশ্বব্যাংকের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ পরিবার খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে সীমিত বা কমিয়ে দিচ্ছে।
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় জনসংখ্যার একটি অংশকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সবাইকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, বাজার মনিটরিং, ওএমএস, টিসিবি কার্ড ইস্যু এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মতো পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন আমদানিকারকরা ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে মার্কিন ডলার পাবেন এবং মুদ্রা ছাপানোর পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেরিতে উদ্যোগ নিচ্ছে এবং সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নেও বিলম্ব হচ্ছে। ফলে অর্থনীতি সংক্রান্ত নীতি কাজ করছে না।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও।
তিনি বলেন, আয় না বাড়লেও সব শ্রেণির মানুষের ব্যয় বাড়ছে।
ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘যৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বেড়েছে কি না তা সংশ্লিষ্টদের দেখতে হবে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়া উচিত।’আরও পড়ুন: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রমজানকে সামনে রেখে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা
ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সরকার আগামী ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স'-এর সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানান।
এখন পর্যন্ত বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১৭৩ টাকা। আসন্ন সমন্বয়ের ফলে দাম কমে দাঁড়াবে ১৬৩ টাকায়। এছাড়া খোলা (ঢিলেঢালা) সয়াবিন তেলের দাম কমে ১৪৯ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
তবে আপাতত পাম তেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ব্যবসা খাত থেকে সরকারের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে টিটু বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বড় আকারের শিল্প ও ব্যবসায়ীরা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা করবেন। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমাতে সম্মত হয়েছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কর কমানোর জন্য পরিপত্র জারি করে সরকার। এই পরিপত্র অনুসরণ করেই সয়াবিন তেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি প্রক্রিয়া ও প্রাপ্যতা সহজতর করতেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
টিটু বলেন, 'সাধারণত একটি আমদানি চালান আসতে প্রায় এক মাস এবং গ্রাহক পর্যায়ে ছাড়পত্র ও বিতরণের জন্য আরও দুই মাস সময় লাগে।’
লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ এবং রমজান পর্যন্ত কঠোর সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও, ব্যবসায়ীরা সরকারের বিশেষ অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১ মার্চ থেকে নতুন দাম বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকারের গৃহীত সক্রিয় পদক্ষেপ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহযোগিতামূলক অবস্থান ভোক্তাদের উপর আর্থিক চাপ হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষত পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
১০ মাস আগে
‘ভোক্তা যেন প্রতারিত না হয় তা সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকবে’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসা দর্শনার্থী বা ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারি করা হবে। সেজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মেলায় অভিযোগ বক্স ও হেল্প ডেস্ক খোলা রাখা হবে। অভিযোগ পেলেই যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উপলক্ষে সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এ বছর মেলা প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে আনার জন্য মেলার প্রবেশদ্বার করা হয়েছে কর্ণফুলি ট্যানেলের আদলে। এক পাশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অপর পাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের প্রতিচ্ছবি রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রপ্তানিকে বহুমুখী করার মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো। গার্মেন্টেস খাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা।
এখন পাট ও চামড়া শিল্পের উপরে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই দুই খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, এবার মেলায়, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলায় ই-কমার্স সেবাকে আরও বেগবান করা হবে। যাতে সারা দেশের মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।
মেলায় বিদেশিদের আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশের মিশনে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের এবার আমরা মেলায় নিয়ে আসব এবং পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হবে।
আশেপাশে মানহীন পণ্যের বিক্রি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিবি ও ভোক্তা অধিকারকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে মেলাতে কোনো মানহীন পণ্য বিক্রয় বা প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ করলে বিক্রয় বা প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা ভোক্তা অধিকার নেবে। ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ রাখব না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
১১ মাস আগে
শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের বাজারে শাক-সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনো অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের অসন্তোষ কমেনি।
তারা জানান, কয়েক সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ক্রমান্বয়ে ১৬৫ টাকা হয়েছে। তবে এখন ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য মসলার দামেরও একই অবস্থা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আলাউদ্দিন দেওয়ান নামে এক সরকারি কর্মচারী ইউএনবিকে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ধেক কিনছেন।
স্বল্প বেতন পাওয়া মানুষকে পরিবারের খরচ মেটাতে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই তাকে ডিম, মাছ, মাংস ও অন্য বেশি দামের জিনিস কেনা কমাতে হচ্ছে।
শুক্রবার বাজার করতে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বেসরকারি কোম্পানির নির্বাহী আলমগীর হোসেনের।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ, বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় নিয়মিত খরচের তালিকা থেকে অনেক আইটেম বাদ দিতে হয়েছে। কারণ আমার আয় একই আছে।’
দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। যদিও সবজি ও মাছের দাম বাজারের গুণগত মান ও এলাকাভেদে ভিন্ন।
কারওয়ান বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
১ বছর আগে
ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষকবান্ধব নীতির কারণে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে বহু গুণ। ধান, মাছ, মাংস ও সবজি উৎপাদনে কৃষকের সক্ষমতা বেড়েছে। এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (কারস) মিলনায়তনে ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং এন্ড অ্যাওয়ার্নেস সোসাইটি (ভোক্তা) আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় প্রত্যাশা ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকের মাঠ থেকে ভোক্তার টেবিল সবখানেই খাবার নিরাপদ হতে হবে। এই চেইনের যে কোনো পর্যায়ে খাবার অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে ভোক্তাকে সবার আগে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
ভোক্তার সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মীজানুর রহমান বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে আমাদের দেশের মতো বাজার মনিটরিং নেই। মনিটরিং হতে হবে কত মজুদ আছে, সরবরাহ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা? এসময় তিনি পাঠ্যক্রমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, বাজারে চাহিদা ও যোগানের কোন সংকট নেই। অনেক সময় তথ্যের ঘাটতির কারনে সংকট তৈরি হয়।
সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোক্তার পরিচালক মহসীনুল করিম লেবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান সজল। মূল নিবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উপদেষ্টা এস এম সিদ্দিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী।
আরও পড়ুন: বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে নাকাল ভোক্তারা
আলাউদ্দিন চাকরি করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের পিয়ন হিসেবে। বিয়ে করেছেন বছর দুয়েক হলো। যা বেতন আসে মাসের খরচ বাঁচিয়ে কিছু জমা রাখতেন। কিন্তু গত বছর বাচ্চা হওয়ায় আলাউদ্দিনের খরচ সামাল দিতে টানাটানি লেগে যায়।
এমনতিই জীবন চালানোর জন্য যা দরকার তাই কিনেন সবচেয়ে সস্তা দামে। তার ওপর হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় কপালে ভাজ পড়েছে তের হাজার টাকার এই বেসরকারি কর্মীর। মাসের খরচ কম করে হলেও দুই হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মতো মানুষের যে কি নিদারুণ কষ্ট কেউ বোঝে না। বেতন তো আর বছর বছর বাড়ে না। এমন জীবন সত্যি দুঃসহ।
আরও পড়ুন: বেড়েছে চালের দাম, সবজি ও তেলের দামও বাড়তি
তাইতো টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য নিতে দাঁড়িয়ে আছি যদি কিছুটা খরচ সাশ্রয় করা যায়। যতো বড় লাইন, মনে হয় না আজ পাবো। গতকাল মালিবাগের এই ট্রাকের সামনেই ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে চলে গিয়েছিলাম।
এমন দৃশ্য শুধু আলাউদ্দিনের না, অনেক সীমিত আয়ের মানুষের যাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছু করার নাই।
দফায় দফায় চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ভিড় সামাল দিতে তাই হিমশিম খাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পরিচালিত ট্রাকসেল কার্যক্রমও।
রাজধানী বিভিন্ন স্পটে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ট্রাকের সামনে ৫০ থেকে ৬০ জন করে ক্রেতার লাইন যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিলক্ষিত হয় এই প্রতিবেদকের কাছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চালের দাম বাড়ানোর দাবি চালকল মালিকদের
কোনো কোন জায়গায় ট্রাক আসার আগেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে শহরের এসব উন্মুক্ত বিক্রয় স্থলে।
বিক্রেতারা জানান, আগে ট্রাক সেলে কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে আসতো নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক, গাড়িচালক কিংবা গৃহকর্মী। তবে এখন সেই লাইনে পণ্য কিনতে মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন যা তাদের জন্য বাড়তি চাপও বটে।
টিসিবির ডিলার কামাল যিনি মেরাদিয়া এলাকায় ট্রাকসেল কার্যক্রম পরিচালনা করেন ইউএনবিকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লো মানুষ বেশি ভিড় করে আমাদের কাছে। আমরা সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করি। এখন চিত্র ভিন্ন। সাধারণ বাজার থেকে কম বলে অনেকে ভিড় করছে।
‘আগে আমাদের মালামাল বিক্রি কার্যক্রম শেষ করতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো। এখন তো ঘন্টা দুয়েকের ভিতর সব শেষ হয়ে যায়। আমাদের বরাদ্দ কম বলে অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় অনেক কম,’ তিনি বলেন।
টিসিবির ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে বলেন, ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে টিসিবি এখন ১০ থেকে ১২ শতাংশ পণ্য সরবরাহ করছে যা আগে এটি ছিল মাত্র এক থেকে দুই শতাংশ। চাহিদা বাড়ায় ট্রাকসেল বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবি ডিলারের ৬ মাসের কারাদণ্ড
হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবির পণ্য সারা বছরই বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছরে প্রতি মাসেই বিক্রি হয়েছে। কোনো মাস বাদ যায়নি। পণ্য বিক্রির পরিমাণও পর্যায়ক্রমে বাড়বে।
তবে ক্রেতারা টিসিবির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি দাবি করেছেন সরকারের কাছে। যাতে তাদের খরচ কিছুটা হলেও সাশ্রয় হয়।
টিসিবি কর্মকর্তারা জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ‘ট্রাক সেল’ বন্ধ থাকছে। ট্রাক সেলে সাশ্রয়ী মূল্যে তিনটি পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা এবং মসুর ডাল ও চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হবে।
এক একটি ট্রাকে ৫০০-৮০০ লিটার তেল, ৪০০-৬০০ কেজি চিনি এবং ৪০০-৬০০ কেজি মসুরের ডাল বরাদ্দ থাকে বলে জানান।
আর খোলা বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, চিনি ৭৮ টাকা এবং দুই প্রকারের মসুরের ডাল ১০০ ও ৮০ টাকা করে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্য উদ্ধার
৩ বছর আগে
প্রথমবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করল সরকার
ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস কোম্পানি লি. এর সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি।
সোমবার বিইআরসি চেয়ারম্যান মো আব্দুল জলিল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সৌদির চুক্তি মূল্যের (সিপি) ওপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মূল্য আজ থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে নকল-ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : শিল্পমন্ত্রী
এতদিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সিলিন্ডার প্রতি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিলিন্ডার প্রতি ৭০০ টাকার অধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছিল।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নিজেদের অফিস এবং কার্যক্রম না থাকায় এই মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে জানান বিইআরসি প্রধান।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি ক্যাব নেতাদের
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বর্তমান পদক্ষেপকে অযৌক্তিক ও অন্যায্য দাবি করে রবিবার কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলেছে, অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হলে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিবর্তে হ্রাস করতে পারে।
৫ বছর আগে