ক্যাব নেতারা বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) দেখিয়েছে যে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করা হলে ৮ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে হবে আর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলছে ৭ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার ঘাটতি হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব সভাপতি ড. গোলাম রহমান বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ১০ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকার অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হয়েছে। তাদের গবেষণা ও বিশ্লেষণে ক্যাব দাবি করেছে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করা গেলে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক এএসএম শামসুল আলম, বিশিষ্ট স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং এনার্জি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমামসহ অন্যান্য নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, ক্যাব তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য বিইআরসিকে আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিইআরসি যদি আমাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তবে কি কারণে প্রত্যাখ্যান করা হবে তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।’
ক্যাবের লিখিত বিবৃতি পাঠ করে শামসুল আলম বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিটি গণশুনানিতে ক্যাব যুক্তি তুলে ধরেছে।
‘তবে বিইআরসি আমাদের যুক্তি বিবেচনা নেয়ার পরিবর্তে সরকার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর স্বার্থ কার্যকর করছে,’ বলেন তিনি।
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বাড়ায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
‘২০০৯ সালের আগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৯০ শতাংশে গ্যাস ব্যবহৃত হত আর বর্তমানে ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন উচ্চমূল্যে আমদানি করা কয়লা, এলএনজি এবং ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে যা সামগ্রিক ব্যয়কে বাড়িয়ে দিচ্ছ,’ তিনি বলেন।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, এটা খুব অবাক করার মতো বিষয় যে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা বিরোধে জিতেছে, কিন্তু গত ৫-৬ বছরে ওই এলাকায় কোনো গ্যাস অনুসন্ধান করা হয়নি।
তিনি বলেন, যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় তবে তা অর্থনীতিতে একাধিক প্রভাব ফেলবে যা বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে।