বর্ণবাদ
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
২ সপ্তাহ আগে
সনকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে অভিযুক্ত ক্লাব সতীর্থ
ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় কিংবা সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঘটনা বিরল নয়। তবে টটেনহ্যাম হটস্পারের দক্ষিণ কোরিয়ান অধিনায়ক হিউং মিন-সন নিজ ক্লাব সতীর্থের কাছ থেকেই বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন।
ঘটনাটি গত জুন মাসের। উরুগুয়ের টেলিভিশন প্রোগ্রাম ‘পর লা কামিসেতা’য় স্প্যানিশ ভাষার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর। ওই অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বেন্তাঙ্কুরের কাছে টটেনহ্যাম খেলোয়াড়দের কোনো একজনের জার্সি চেয়ে বসেন সঞ্চালক রাফা কোতেলো।
সঙ্গে সঙ্গে বেন্তাঙ্কুর বলে ওঠেন, ‘কার সনির (সনের ডাকনাম)? অবশ্য ওর চাচাতো ভাইয়ের শার্ট দিলেও চলে, কারণ ওরা সবাই দেখতে তো একইরকম।’
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ: ব্রাজিল পুলিশের তদন্তে নির্দোষ আন্তোনি
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ তুলে বেন্তাঙ্কুরের সমালোচনায় সরব হয় সোশ্যাল মিডিয়া।
এরপর নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ওই মন্তব্যকে ‘খুবই বাজে রসিকতা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী দাতব্য সংস্থা কিক ইট আউট সে সময় জানিয়েছিল, বেন্তাঙ্কুরের বর্ণবাদী মন্তব্য নিয়ে তারা ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ অভিযোগ পেয়েছে। এটি ‘পূর্ব এশীয় ও ওই অঞ্চলের বৃহত্তর সম্প্রদায়কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে এমন একটি বড় ইস্যুতে’ পরিণত হয়েছে।
সে সময় সন অবশ্য এ বিষয়টি দুজনে মিটিয়ে ফেলেছেন বলে জানান। তিনি বলেছিলেন, সে (বেন্তাঙ্কুর) বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে শুনানি শুরু সোমবার
জুন মাসেই সন বলেন, ‘আমি লোলোর (বেন্তাঙ্কুরের ডাকনাম) সঙ্গে কথা বলেছি। সে একটা ভুল করেছে- এটা সেও জানে এবং তার জন্য (আমার কাছে) ক্ষমাও চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘লোলো কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে আপত্তিকর কিছু বলতে পারে না। আমরা ভাই ভাই, (তার ওই মন্তব্যের কারণে দুজনের সম্পর্কে) কিছুই বদলায়নি।’
‘বিষয়টি অতীত। আমরা এখন ঐক্যবদ্ধভাবে ক্লাবের জন্য লড়াই করব।’
তবে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।ভ
এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ফুটবলার রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুরের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অসদাচরণের পরিপ্রেক্ষিতে এফএর আইন ই৩ ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ রুখতে স্পেনের ফুটবলে নতুন আইন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তিনি যা বলেছেন, তা স্পষ্টতই জাতিবিদ্বেষের দোষে দোষী। কোনো জাতি, সম্প্রদায় বা উপজাতি নিয়ে প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে এ ধরনের মন্তব্য আইনের লঙ্ঘন।
আইন অনুসারে তাকে ৬ থেকে ১২ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিতে বৈষম্যমূলক কাজের নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে সুপারিশ করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে এফএ।
অবশ্য এ বিষয়ে নিজের পক্ষে সাফাই দিতে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে বেন্তাঙ্কুরকে।
২ মাস আগে
বর্ণবাদ রুখতে স্পেনের ফুটবলে নতুন আইন
বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে বিশ্বকাপ আয়োজন সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সম্প্রতি গোটা স্পেনজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। ওই মন্তব্যের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হলেও বর্ণবাদ রুখতে এবার লা লিগা ও স্পেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন আইন চালু করছে দেশটি।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও লা লিগা বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রেফারিদের জন্য নতুন আইন চালু করা হবে। খেলা চলাকালে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটলে মাঠ থেকেই এ বিষয়ে সংকেত দিতে পারবেন রেফারি।
চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে বর্ণবাদবিরোধী ‘ক্রস-আর্ম’ অঙ্গভঙ্গির অনুমোদন পায়। এবার সেই আইনটি গ্রহণ করতে চলেছে স্পেন।
আইনে বলা হয়েছে, রেফারিরা সরাসরি কোনো বর্ণবাদী আচরণ প্রত্যক্ষ করলে কিংবা খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অভিযোগ দিলে, এমনকি মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরাও এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে প্রধান রেফারি সংকেত দেবেন। তিন ধাপের সংকেত পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ম্যাচ থামাতে, স্থগিত করতে, এমনকি পরিত্যক্ত পর্যন্ত করতে পারবেন রেফারি।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফুটবলে যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে বর্ণবাদী মনোভাব ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের অঙ্গীকারে দৃঢ় থাকতে এই আইন বাস্তবায়ন করবে।’
গত কয়েক মৌসুম ধরে ভিনিসিউস জুনিয়র বেশ কয়েকবার বর্ণবাদী আচরণ ও মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে এই ফুটবলারের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে ঘরের মাঠের তিন সমর্থককে চলতি বছর কারাদণ্ডও দিয়েছে দেশটির আদালত।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের আয়োজন স্পেন থেকে সরিয়ে নিতে সম্প্রতি প্রস্তাব করেন ভিনিসিউস। তার মন্তব্যের পর স্পেনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে ফুটবল পাড়ার মানুষ- সবাই তার বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকি তার ক্লাব সতীর্থদেরও তার মন্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
ভিনির মন্তব্যের সমালোনা করলেও দেশ থেকে বর্ণবাদ নিশ্চিহ্ন করতে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন মাদ্রিদের মেয়র। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ও লা লিগা থেকে এই ঘোষণা এল।
২ মাস আগে
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
বর্ণবাদ ইস্যুতে স্পেনকে কাঠগড়ায় তোলায় এবার ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ক্ষেপেছে তারই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড ক্লাবের আদর্শও ধারণ করছে না বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে স্পেন। তবে দেশটিতে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম হন ভিনিসিউস।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
ভিনিসিউস বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
ভিনির ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক দানি কারভাহালও এ বিষয়ে তার সমালোচনা করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে অসন্তোষের কথা জানা গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসের ওই মন্তব্যে মোটেও খুশি নয় রিয়াল মাদ্রিদ, বরং এই ফরোয়ার্ডের ওপর তারা ধৈর্য্য হারাতে শুরু করেছে।
ক্লাবটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের কাছে যে ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়, ভিনিসিউস তা ধারণ করে না বলেই বিশ্বাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া মাঠেও তার আচরণ উত্তেজনাকর।
স্পোর্ত বলছে, যদি এসব চলতে থাকে, তবে আসন্ন ব্যালন দ’রের জয়ের অন্যতম ফেভারিট এই তারকাকে ছেড়ে দিতেও পিছপা হবে না রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা সত্যি হলে বার্সেলোনার টার্গেট নিকো উইলিয়ামসের দিকে নজর দিতে পারে তারা।
এদিকে ভিনিকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে সৌদি প্রো লিগ। তাকে দলে পেতে গত দলবদলের মৌসুমেও সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
অবশ্য সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস এও স্পষ্ট করেছিলেন যে, তার এই বক্তব্য কিছু সংখ্যক সমর্থকের উদ্দেশে।
ভিনি বলেন, ‘স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই বর্ণবাদী নয়। তবে এমন একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এমন একটি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি। স্পেনকেও ভালোবাসি আমি। পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ হয় না।’
‘তবে (আপত্তিকর) বিষয়গুলোর ব্যাপারে দেশটি আরও বিকশিত হতে পারে। ইতোমধ্যে তারা অনেক বিকশিত হয়েছে, কিন্তু উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে, যেমন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে বর্ণবাদী ঘটনা ও বর্ণবাদ কমাতে পারে এবং সেটিই হওয়া উচিত।’
২ মাস আগে
বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
বর্ণবাদ ইস্যুতে উন্নতি না হলে স্পেন থেকে ২০৩০ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র।
ক্যারিয়ারে অসংখ্যাবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। মাদ্রিদে আসার পরও বিপক্ষ দলের সমর্থকদের কাছ থেকে বারবার হেনস্তার শিকার হন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত জুনে ভ্যালেন্সিয়ার তিন সমর্থককে আট মাসের কারাদণ্ড দেয় স্পেনের একটি আদালত।
স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো যৌথভাবে আয়োজন করবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ। গত সপ্তাহে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
২ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের কোনো ধরনের আপত্তিকর ও বৈষম্যপূর্ণ স্লোগান দেওয়া থেকে বিরতে থাকতে অনুরোধ করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হতে পারে বলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভক্তদের সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান কোপা আমেরিকা ও বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। রিভারপ্লেটের এস্তাদিও মাস মনুমেন্তালে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। তার আগে সমর্থকদের এই সতর্কতামূলক বার্তা দিল এএফএ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টের মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আক্রমণাত্মক বা বৈষম্যমূলক স্লোগান দেওয়া হলে ঘরের মাঠে আয়োজিত আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি কমানোর শাস্তি দেবে ফিফা।’
আরও পড়ুন: মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা
চিলির বিপক্ষে যদি কোনো ধরনের আপত্তিকর বা বর্ণবাদী স্লোগান শোনা যায়, তাহলে আগামী ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে বুয়েনস এইরেসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে শাস্তি আরোপ করা হবে। তাই আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার না দলকে সমর্থন করার ওপর জোর দিয়েছে আর্জেন্টিনা।
গত জুনে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার পর দলের উদযাপনের একটি ভিডিও শেয়ার করেন আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেস। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্রান্সের আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবাদী স্লোগান দিচ্ছেন চেলসি মিডফিল্ডার।
ওই ঘটনার পর ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও ফিফা।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার রেকর্ড
তবে ব্যাপক সমালোচনার পরও ঘরোয়া ফুটবলে বারবার ওই স্লোগানটি গেয়েছেন দেশটির সমর্থকরা। তাই বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর আগেই ভক্তদের সতর্ক করল এএফএ।
ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। চিলি ম্যাচের পর আগামী মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কলম্বিয়ার মাঠে খেলতে যাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
২ মাস আগে
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড: করোনা বিরতির পর আবার বিচার শুরু
জর্জ ফ্লয়েডের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক তিন মিনিয়াপোলিস পুলিশ অফিসারের বিচার সোমবার আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে আসামিদের একজনের করোনা শনাক্ত হলে এই বিচার কাজ হঠাৎ স্থগিত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, জে. আলেকজান্ডার কুয়েং, থমাস লেন ও টু থাও।
ঘটনার সময় অফিসার ডেরেক চৌভিন যখন ফ্লয়েডকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় নির্যাতন করছিলেন তখন তারা তাকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: গভীর কুয়ায় আটকা পড়া মরক্কোর শিশুটি মারাই গেল
কুয়েং ও থাওকে হত্যাকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদ ও পুলিশি ভূমিকার পুনর্বিবেচনার জন্য প্রতিবাদের সূত্রপাত করে।
বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার দু’সপ্তাহের মাথায় গত বুধবার করোনা শনাক্তের কারণে তা স্থগিত করা হয়। তবে তিন আসামির মধ্যে কার করোনা শনাক্ত হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েডকে জাল নোট রাখার অভিযোগে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। বর্ণবিদ্বেষ থেকেই ফ্লয়েডকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন অনেক কৃষ্ণাঙ্গরা।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
২ বছর আগে
শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা রবিবার এক বিবৃতিতে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দারিদ্রতা, বর্ণবাদ, যৌনতা ইত্যাদি বিরোধী প্রচারণায় ডেসমন্ট টুটুর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
ডেসমন্ট টুটু ১৯৩১ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপ জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে ১৯৬২-৬৬ সালে ধর্মতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করলেন তিনি। তারপর দক্ষিণ আফ্রকায় ফিরে আসেন এবং ধর্মতত্ত্ব পড়াতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন টুটু।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নিরসনে ভূমিকার জন্য ডেসমন্ট টুটু ১৯৮৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে সিডন শান্তি পুরস্কারসহ ২০০৭ সালে গান্ধী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বড়দিনে ব্রাজিলে গোলাগুলিতে নিহত ৫
দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
২ বছর আগে
দ্য ব্ল্যাক স্টোরি ওয়েবিনারে ‘দক্ষিণ এশিয়া ও অভিবাসীদের মধ্যে ব্ল্যাকনেস বিরোধ দূরীকরণ’ নিয়ে আলোচনা
জাতিগত অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে কসমস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গ্যালারি কসমস আয়োজিত চলমান ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী 'দ্য ব্ল্যাক স্টোরি' সম্প্রতি একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে।
৩ বছর আগে
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে একাত্মতা জানাল টাইগাররা
হাঁটু গেড়ে বসে মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখিয়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৩ বছর আগে