চট্টগ্রাম টেস্ট
চট্টগ্রাম টেস্ট: জাকির অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেও সমস্যায় বাংলাদেশ
বাঁ-হাতি ব্যাটার জাকির হাসান চট্টগ্রামে ভারতের বিরুদ্ধে চলমান টেস্টে তার অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গে তার অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্যারিয়ারের একটি অসাধারণ সূচনা তার।
তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। তাদের হয় পঞ্চম দিনের পুরোটা সময় মাত্র চার ইউকেটে ব্যাট করতে হবে। অথবা একটি অসম্ভাব্য জয় ছিনিয়ে আনতে আরও ২৪১ রান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টেও অনিশ্চিত তাসকিন
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ ছয় উইকেটে ২৭২ রানে ব্যাট করছে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত আছেন ৪০ ও ৯ রানে।
নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির জুটি ১০০ রানের একটি চিত্তাকর্ষক ওপেনিং স্ট্যান্ড তৈরি করেন। তারা চট্টগ্রামে পুরো সকালের সেশন জুড়ে ব্যাটিং করে ভারতের বোলারদের পরিশ্রম করায়।
প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের শিকার হওয়া শান্ত এবার ৬৭ রান করেন। উমেশ যাদব শান্তকে সরিয়ে দিলে ভারত প্রথম সাফল্য পায়। শান্তর আউটের পর ইয়াসির আলীকে দ্রুত হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ রান করতে মাত্র ১২ বল খেলেন তিনি।
লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনেই ভালো শুরু করলেও দুজনই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। কুলদীপ যাদবের কাছে উইকেট হারানোর আগে লিটন ৫৯ বলে ১৯ রান করেন, আর অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হওয়ার আগে মুশফিক ৫০ বলে ২০ রান করেন।
মুশফিকের আউট হওয়ার আগে জাকির ২২৪ বলে একটি অসাধারণ সেঞ্চুরি করেছিলেন, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং আবুল হাসানের পরে চতুর্থ বাংলাদেশি অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন। তিনি ২৬৯টি ডেলিভারির মুখোমুখি হন, যা জাভেদ ওমরের ৩০৬ রানের পরে দ্বিতীয়, যা তাকে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকের দ্বিতীয়-সবচেয়ে প্রাণবন্ত ওপেনার করে তোলে।
টেস্ট ক্রিকেটে জাকিরের অভিষেকের দিনে ৫০ রানে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার অক্ষর ছিলেন। তাদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন উমেশ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এর আগে টস জিতে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভারত ৪০৪ রান করেছিল। চেতেশ্বর পূজারা দুর্দান্ত ৯০ রানের স্কোর করেছিলেন। তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি উভয়েই এই ম্যাচে চারটি করে উইকেট নেন।
কুলদীপ পাঁচ উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ১৫০ রানের জবাব দেয়। ভারত তখন দুই উইকেটে ২৫৮ রান করে এবং তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ৫১২ রানের বিশাল লিড তৈরি করে।
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসে মেহেদী ও তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪০৪ রানে অলআউট ভারত
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: ৬৮ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ৪৬৫ রান এবং ৬৮ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিন শেষ করতে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ২৪ ওভার খেলতে হবে।
তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেছেন মুশফিক।
আরও পড়ুন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান মুশফিকের
টেস্ট ক্রিকেটে এটি মুশফিকের অষ্টম সেঞ্চুরি এবং ১৮ ইনিংসের পর প্রথম। এর আগে ২০২০ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ কোনো উইকেট হারায়নি। তবে দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই স্বাগতিকরা দুটি উইকেট হারায়- লিটন দাস ও তামিম ইকবাল।
শ্রীলঙ্কার হয়ে কাসুন রাজিথা ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন এবং আসিথা ফার্নান্দো নেন তিনটি উইকেট।
আরও পড়ুন: তামিমের সেঞ্চুরির পর মুশফিক-লিটনের ফিফটিতে চাপে শ্রীলঙ্কা
এর আগে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৯৯ রানে ভর করে ৩৯৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেন এবং এটিই এই ফরম্যাটে তার সেরা বোলিং ইনিংস।
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: নাঈমের ৬ উইকেটে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩৯৭
চট্টগ্রাম টেস্টে সোমবার শ্রীলঙ্কা ৩৯৭ রানে তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছে।
শ্রীলঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান ১০৫ রান দিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন। অন-সাইডে নাঈমকে স্লগ করতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের কাছে সহজ ক্যাচ দিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আউট হন ম্যাথিউস।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে দিনেশ চান্দিমাল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ এবং কুসল মেন্ডিস ৫৪ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে নাঈম ছয়টি, সাকিব তিনটি ও তাইজুল ইসলাম একটি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিনা উইকেটে ৭৬ রান করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস দুর্ঘটনায় নিহত
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টেস্ট সিরিজ ২০২২: লাইভ স্ট্রিমিং কোথায় দেখতে পারবেন?
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: ম্যাথুসের শতকে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৮
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের অপরাজিত শতকে ভর করে চার উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে প্রথম দিন ভালোভাবে শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।
রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম সেশনে দুই উইকেট পেলেও লাঞ্চ বিরতির পর লঙ্কানদের আর কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৬৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কুশল মেন্ডিস ও ম্যাথুস স্কোরবোর্ডে ৯২ রান যোগ করেন যা শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে একটি ভালো স্কোর গড়তে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
অর্ধশতকে মেন্ডিস ফিরে গেলেও ২১৩ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেন ম্যাথুস।
১২ ইনিংসে এটি তার প্রথম শতক। এর আগে ২০২১ সালে গলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ শতক পেয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া ম্যাথুসের সঙ্গে দিনেশ চান্দিমালও ৩৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের হয়ে নাঈম হাসান দুটি এবং সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
এ ম্যাচে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ একাদশে ফিরেছেন। সম্প্রতি তিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন
সর্বশেষ পারিবারিক কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ টেস্ট সিরিজ মিস করেন সাকিব। তিনি দলে ফিরায় ইয়াসির রাব্বি একাদশের বাইরে রয়েছেন।
ইনজুরিতে পড়ায় মেহেদি হাসান মিরাজের জায়গায় ডাকা হয়েছিল ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসানকে। আর দলে আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। নাঈম তার শেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছরের শুরুতে মিরপুরে।
এই সিরিজটি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ ছয় ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেট রক্ষক), সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা ইলেভেন): দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), ওশাদা ফার্নান্দো, কুসল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেট রক্ষক), রমেশ মেন্ডিস, আসিথা ফার্নান্দো, লাসিথ এম্বুলডেনিয়া, বিশ্ব ফার্নান্দো।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস দুর্ঘটনায় নিহত
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টেস্ট সিরিজ ২০২২: লাইভ স্ট্রিমিং কোথায় দেখতে পারবেন?
২ বছর আগে
সাকিব করোনামুক্ত, খেলতে পারেন প্রথম টেস্ট
করোনা আক্রান্ত হওয়ার তিনদিন পর করোনা নেগেটিভ হয়েছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই অলরাউন্ডার শিগগিরই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে তাকে পাওয়া যাবে। তবে সাকিব প্রথম টেস্ট খেলবেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: সাকিবকে যখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখনই আমরা তাকে পাই না: পাপন
কক্সবাজার যাওয়ার পথে চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘কোভিড-১৯ থেকে দ্রুত সেরে ওঠা সহজ নয়। সাকিব প্রথম টেস্ট খেলতে পারবে কি না সেটা তার ব্যাপার। ওডিআই বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলে তার জন্য সহজ হতো।’
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১৫ মে চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৩ মে ঢাকায়।
এই সিরিজটি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ ছয়টি ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে।
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়েছে সফররত পাকিস্তান। এর ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।
ম্যাচের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯৩ রান। হাতে ছিল ১০ উইকেট। মাত্র নয় রানের জন্য দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করেন পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলী। তিনি এই টেস্টে ২২৪ রান করে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন। অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিকও পাকিস্তানের নতুন টেস্ট ওপেনার হিসেবে জোড়া-ফিফটি করে লাইমলাইটে এসেছেন।
২০২ রানের লক্ষ্য দিলেও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছে। আবিদ এবং আবদুল্লাহর ১৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
এই টেস্টের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে ছিল। প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের সঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের উপর ভর করে ৩৩০ রান করে স্বাগতিকরা। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করলে বাংলাদেশ ৪৬ রানের লিড পায়। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে মুমিনুলের দল। চতুর্থ দিনে আরও ১১৮ রান করে মোট ১৫৭ রানে অলআউট হলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রান।
চতুর্থ দিনে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১০৯ রান করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রথম সেশনে দুই ওপেনারকে (আবিদ আলী ৯১ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৭৩ রান) হারালেও বাবর আজম ও আজহার আলী জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মেহেদি ৩৮); হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪)
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস): ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬/১০ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮); তাইজুল ৭/১১৬, এবাদত ২/৪৭
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ৫৬.২ ওভারে ১৫৭/১০ (লিটন ৫৯, ইয়াসির ৩৬*); শাহীন ৫/৩২, সাজিদ ৩/৩৩
পাকিস্তান (২য় ইনিংস) ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩); মেহেদী ১/৫৯, তাইজুল ১/৮৯
ফল: প্রথম টেস্টে পাকিস্তান আট উইকেটে জয়ী।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদুল্লাহ’র বিদায়
৩ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: ইয়াসিরের ‘কনকাশন সাব’ সোহান
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতে অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলীর বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানকে একাদশে যোগ করেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে পানি পানের বিরতির পর মাঠ ছাড়েন ইয়াসির। ইয়াসির আহত হয়ে ফিরে গেলে ব্যাট করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ ঘোষণা করে যে নুরুল হাসানকে কনকাশন সাব হিসেবে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শাহীন আফ্রিদির একটি ডেলিভারি হেলমেটের লাগার পর আরও এক ওভার খেলেন তিনি। কিন্তু পরে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেন নি। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাকে স্ক্যানের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
আইসিসির আইন অনুসারে, কনকাশন রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে, একটি দল 'লাইক-ফর-লাইক রিপ্লেসমেন্ট' ফিল্ড করতে পারে। যার অর্থ একজন বোলার একজন বোলারকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং একজন ব্যাটার একজন ব্যাটারকে প্রতিস্থাপন করতে পারে।
এদিকে, চতুর্থ দিনের লান্স বিরতি পর্যন্ত ১৫৯ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আজ দিনের শুরুতে মুশফিককে হারায় তারা। এরপর মেহেদী মিরাজও ১১ রান করে ফিরে যান। লিটন এবং সোহান লান্স বিরতির পর আবার ব্যাটিং শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
৩ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে রবিবার চট্টগ্রাম টেস্টে সাত উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বিনা উইকেটে ১৪৬ রান করা পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ একটি নাটকীয় কামব্যাক করেছে। তৃতীয় দিনের দুই সেশনে ১৪০ রানে তাদের সবকটি উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষে ৪৪ রানের লিড নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের বিরতি শেষে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে তাইজুল ১১৬ রান দেন ৭ উইকেটে। টেস্ট ইনিংসে এটি ছিল তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। তিনি ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে আট উইকেট শিকার করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
দিনের প্রথম সেশনে, তাইজুল চারটি উইকেট নিলে বাংলাদেশ চার উইকেট লাভ করে এবং লাঞ্চ-পরবর্তী সেশনে, তারা পাকিস্তানের বাকি ছয়টি উইকেট তুলে নিয়ে অলআউট করে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেন আবিদ আলী এবং অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিক করেন ৫২ রান। কিন্তু পরের চার ব্যাটসম্যান মাত্র ২৩ রান করেন এবং আজহার আলী শূন্য রানে ফিরে যান।
এর আগে টেস্টে লিটন দাসের প্রথম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের সুবাধে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী পাঁচটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
৩ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: দ্বিতীয় দিন শেষে ১৪৫ রান পাকিস্তানের
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
আবিদ আলী ৯৩ রান এবং অভিষেক ম্যাচে ৫২ রান করে অপরাজিত আছেন আবদুল্লাহ শফিক। টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি করতে আবিদ আলীর প্রয়োজন আর সাত রান।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়েছে ৭৭ রান যোগ করে। পরবর্তী সেশনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ যা করেছে পাকিস্তানও তাই করেছে। তবে পাকিস্তানের কোনো উইকেট পড়েনি।
বাংলাদেশ দুই পেস বোলার ও দুই স্পিন বোলারের সমন্বয়ে বোলিং অ্যাটাক সাজিয়েছে। এছাড়া অধিনায়ক মোমিনুল নিজেকে পঞ্চম বোলার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
ম্যাচে ফিরতে তৃতীয় দিনে যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানের সব উইকেট শিকার করতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে শুক্রবার প্রথম দিন শেষে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৫৩ রান। ১১৩ রান করে লিটন দাস ও ৮২ রান করে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩০
চট্টগ্রাম টেস্ট: লিটনের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
৩ বছর আগে