মনোনয়নপত্র
চট্টগ্রাম ১৬: আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইসির মামলা
মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকদের মারধর ও নাজেহালের ঘটনায় চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ইসির নির্দেশে বাঁশখালীর নির্বাচনী কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বাদী হয়ে নির্বাচনী আচরন বিধি আইনের ৮(খ) ধারায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন।
আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা পিপি আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পাশাপাশি রির্টানিং অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন এবং আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান গত ৩০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে অবৈধভাবে শোডাউন দিয়ে পাঁচ জনের বেশি অর্থাৎ ১০০-২০০ লোক সমাগম করে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেন। ওইদিন দুপুর ১২টার সময় মনোনয়নপত্র জমা শেষে বেরিয়ে এলে উপস্থিত সাংবাদিকরা আসামির এমন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার বিষয় জানতে চান।
এ সময় ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন তাকে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন করতেই তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কিল ঘুষি মারেন ওই সাংবাদিককে। এরপর ওই সাংবাদিককে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এই সময়ে আসামির সঙ্গে থাকা ২০-৩০ জন সমর্থক গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করেন এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের হাতে থাকা মাইক্রোফোন ও ভিডিও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন।
একপর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিকরা আসামির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামিরা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিককে গলা ধাক্কা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দ্রুত চলে যান। আসামি ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামিরা চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, এই ঘটনায় ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো ইনচার্জ অনুপম শীল ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে। এরপর গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দেন এবং ওই আসামির বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করেন।
১০ মাস আগে
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৩৮ প্রার্থীর আপিল: ইসি
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন ১৫৫ জন প্রার্থী।
১৫৫ জন নতুন আবেদনকারীসহ গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ইসি আবেদন গ্রহণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩৮ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
আগামী শুক্র ও শনিবারও আপিল গ্রহণ করবে ইসি।
১৫৫টি আবেদনের মধ্যে সাতটির আপিল গ্রহণ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ৪২টি এবং বুধবার ১৪১টি আপিল পেয়েছে ইসি।
পূর্ণাঙ্গ কমিশন ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিলের শুনানি করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশের ৩০০টি আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও ৭৩১টি বাতিল করেছেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
১০ মাস আগে
নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর ছয়টি আসনে যাচাই বাছাই শেষে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তা নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মওলা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও মনোনয়নপত্রে ত্রুটি, ভোটারদের সই জালিয়াতি, ভুল তথ্য প্রদান, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা ও মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় বাতিল করা হয়েছে ২২ জনের মনোনয়ন।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে-
নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান তোতা ও সোহরাব হোসেনের পক্ষে সংসদীয় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর ও মামলার তথ্য গোপন রাখায় তাদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ অন্য চার প্রার্থীর মনোনয়ন ফরমে ত্রুটি না পাওয়ায় তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ছয় প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণ খেলাপি হওয়া, মামলার তথ্য গোপন রাখা ও সংসদীয় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন ফরম বাতিল হওয়া ওই ছয় প্রার্থী হলেন-
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক এইচএম আখতারুল আলম, নজিপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজল চন্দ্র দাস, ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজার রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজবাহুল আলম।
নওগ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকারসহ তিনজনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীসহ ছয়জনের মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রহমান ওরফে চিকন আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ডিএম মাহবুব-উল মান্নাফসহ পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া অপর তিন প্রার্থী হলেন-
বিএনএমের প্রার্থী জাবেদ আলী, এনপিপির প্রার্থী স্বপন কুমার দাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ হোসেন।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে চারজনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়ন ফরমে কোনো ত্রুটি না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এসএম ব্রুহানী সুলতান মামুদসহ (গামা) সাতজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া চার প্রার্থী হলেন-
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী কামাল পারভেজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন, আব্দুস সামাদ ও জিয়াউল হক।
নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সাতজন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা ও আয়কর সম্পদ বিবরণীর তথ্য না দেওয়াসহ ত্রুটিযুক্ত মনোনয়ন ফরমের কারণে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী খন্দকার আমিনুর রহমানের (ফবেল) মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ও নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণসহ ছয়জনের মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে চার প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম বাতিল ও আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ ইসলাম (বিপ্লব), এম এ রতন ও শাহজালাল হোসেনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার এক ভোটারের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর তালিকায় অসঙ্গতিসহ বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় তাদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী খন্দকার ইন্তেখাব আলম হলফনামায় স্বাক্ষর না করায় তার মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
এছাড়া মনোনয়ন ফরমে কোনো ত্রুটি না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক (সুমন) ও নওশের আলী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু বেলাল হোসেনসহ আটজনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্যে এর আগে নওগাঁর ছয়টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ অন্যন্যা দলের মোট ৫৫জন মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৩১ জন এবং অন্যান্য দলের ২৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
১০ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন: মোমেন, ইমরানের সম্পদ বেড়েছে, কমেছে নাহিদের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সিলেটের ছয়টি আসনে হলফনামা জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান দুই মন্ত্রী ও সাবেক এক মন্ত্রীও হলফনামায় সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাবশালী এ তিন প্রার্থীর সম্পদ বিবরণীতে এসেছে বড় পরিবর্তন।
বর্তমান দুই মন্ত্রীর সম্পদ বাড়লেও কমেছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের।
সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বাৎসরিক আয় কমেছে ৯ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ টাকা।
তবে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৬ টাকার। তার স্থাবর সম্পদও বেড়েছে ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ৭১০ টাকার। আর স্ত্রীর নামে আগে ১৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল, এখনও ততটুকুই আছে।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হলফনামায় পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন রাজনীতি ও অন্যান্য। আয়ের উৎস বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টাকা দেখিয়েছেন। পেশা থেকে বছরে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংকের মুনাফা বাবদ ৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা আয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ২৪১ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৩ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৬৯৫ টাকা, শেয়ার ৮ লাখ টাকার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা, যানবাহন দেখিয়েছেন ২০ লাখ টাকার, স্বর্ণালংকার স্ত্রীর নামে ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ লাখ, স্ত্রীর নামে আসবাবপত্র ৩ লাখ টাকার এবং নিজ নামে অন্যান্য আয় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯১ টাকা দেখিয়েছেন।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দালান-কোঠা অর্জনকালীন মূল্য ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের অর্জনকালীন দাম ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮২৫ টাকা।
ব্যাংকে দায়দেনা ও মামলা নেই তার। আর গত ৫ বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে দেখিয়েছেন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন রাস্তার কাজ চলমান, সিলেট-কুমারগাঁও ও বাধাঘাট-এয়ারপোর্ট ৪ লেন রাস্তার কাজ চলমান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষের পথে।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৮ টাকা। সেই সঙ্গে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭১ টাকার।
স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩ টাকা দেখিয়েছেন হলফনামায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনকালীন হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। সে হিসেবে মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৯ টাকার।
ইমরান আহমদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ অনার্স। পেশায় চা ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮০ টাকা। শেয়ার-সঞ্চয়পত্রে আমানত ৩ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা, চাকরি থেকে আয় ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৬ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে প্রাপ্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৭৫ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ আছে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯ টাকা, ২ লাখ ৬২ হাজার ও ৭ লাখ টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ আছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
যানবাহন আছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ টাকা মূল্যের প্রাডো জিপ নিজ নামে, স্ত্রীর নামে আছে দুইটি গাড়ি ১৬ লাখ ২২ হাজার ও ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের। স্বর্ণালংকার আছে স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র নিজ নামে ৯০ হাজার টাকার এবং অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ২৯ লাখ ২৫৮ টাকা।
স্থাবর সম্পদ রয়েছে কৃষি জমি ৪ দশমিক ৪৭ একর পৈত্রিক সূত্রে এবং স্ত্রীর নামে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের ১০৫ শতক, অকৃষিজ জমি নিজ নামে ৪ দশমিক ৫ একর, যার ক্রয়কালীন মূল্য ৫৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫ কাটা জমি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ২৫ শতক জায়গাতে স্ত্রীর নামে ৬ তলা বাড়ি ১ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৪ টাকা মূল্যের, রয়েছে চা ও রাবার বাগান এবং মৎস্য খামার। তবে ব্যাংকে দেনা ও মামলা নেই তার।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। পেশা দেখিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সংসদ সদস্য, সভাপতি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি।
তিনি বছরে আয় দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১১৩ টাকা, যা গত নির্বাচনে দেখিয়েছিলেন ৩২ লাখ ১০ হাজার ৪১০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ১৩২ টাকার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯ টাকা।
এবার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০ টাকার। গত নির্বাচনে স্থাবর সম্পদ দেখান ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪০ টাকার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
১০ মাস আগে
ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মনোনয়ন যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
যাচাই বাছাইয়ে বিভিন্ন ত্রুটি জনিত কারণে জেলার ১১টি আসনে ২৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলার ১১টি আসনে ১০৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ খান, ময়মনসিংহ-২ (তারাকান্দা-ফুলপুর) আসনে আবু বকর সিদ্দিক।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর রফিক, মোশাররফ হোসেন আজাদ।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান আকন্দ, জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা বেগম।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান, বাবুল আহেম্মেদ, আবুল মনসুর ফকির, মুক্তিজোটের প্রার্থী বাদশা দেওয়ান।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কানিজ ফাতেমা, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জান ও খিজির হায়াত খান। ময়মনসিংহ-
০ (গফরগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কায়সার আহমেদ ও আবুল হোসেন।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ ওয়াহেদ, সুপ্রিম পার্টি এবিএম জিয়া উদ্দিন বাসার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কায়কোবাদ আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র (জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি) হাজী আব্দুর রহমান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
১০ মাস আগে
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ছয়টি আসনে দাখিল করা ৩৪ জনের বাছাইয়ে তথ্যে গড়মিলের কারণে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্যে রয়েছেন—
দিনাজপুর ১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) এ আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসাইন বিপু, দিনাজপুর সদর ৩ এ যুবলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদ পারভেজ, দিনাজপুর ৫ (পাবর্তীপুর- ফুলবাড়ী) এ স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হক এবং দিনাজপুর ৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর) এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ ফিরোজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তবে বাতিলের বিষয়ে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিলের বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারবেন প্রার্থীরা।
রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থী এবং প্রতিনিধির উপস্হিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময় অতিক্রমের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
১০ মাস আগে
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথমদিনে খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অবরোধের প্রথম দিনে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি, নগরীতে স্বাভাবিক
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারী ভোটারদের সই জাল করা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা, হলফনামায় সই না থাকা এবং ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন— খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রেজভী আলম, এইচ এম রওশন জামির ও মোত্তজা রশিদী দারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ও জাতীয় পার্টির শাহীদ আলম।
খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, অহিদুজ্জামান মোড়ল, জি এম মাহবুবুল আলম ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, রবিবার খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এই তিনটি আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের বাতিল, একজনের অপেক্ষমাণ এবং ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার খুলনা- ১, ২ ও ৩ নম্বর আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে নকশীকাথাঁ কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু আজ
১০ মাস আগে
মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে' জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পর্যায়ের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে 'দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন' হিসেবে বিবেচনা করছে।
একরামুজ্জামান ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি নির্বাচিত হননি।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২১ নভেম্বর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু জাফর নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
১১ মাস আগে
গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম রবিবার সকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উনি একজন ঋণখেলাপি হিসেবে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। উনি একজন জামিনদাতা হিসেবে ঋণখেলাপি। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋণের জিম্মাদার হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠান খেলাফি হয়। ওই ঋণের জিম্মাদার হিসেবে তাকেও খেলাফি ঘোষণা দিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মেয়র পদে সাবেক সচিব নিয়াজউদ্দিনকে মনোনয়ন দিল জাতীয় পার্টি
তিনি বলেন, এ সময় অবশ্য ওই ঋণের টাকা পরিশোধের একটি প্রমাণপত্র জাহাঙ্গীর আলম এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাখিল করে বাছাই কমিটির কাছে।
এছাড়া তার আইনজীবী ও নানা যুক্তি-তর্ক তুলে ধরেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আদালতে আপিল করার কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন-এর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা সরকার শাহনুর ইসলাম রনি, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হারুন অর রশিদের মনোনয়ন পত্রসহ ৯ জনের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১২ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৮৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ মে। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ মে এবং ভোট গ্রহণ হবে ২৫ মে। সব ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭২১, নারী পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪২ এবং হিজড়া ভোটার ১৮ জন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
ঈদযাত্রা: গাজীপুরে যানবাহনের বাড়তি চাপ, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচনের জন্য ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা করেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তকদির আলী সরকার জানান, আগামী ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
বিএনপির জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পদত্যাগ করায় এ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী এক লাখ ৫৯ হাজা ৫০৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৮টি ও বুথ ৮০৮ টি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
১ বছর আগে