আবাসিক হল
আকস্মিক বিপর্যয় সামলে উঠেছে শাবিপ্রবি
উজানের পাহাড়ি ঢল নামায় সিলেট অঞ্চলে দেখা দিয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। তলিয়ে গিয়েছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। এতে বিপাকে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের। চারদিকে পানিবন্দি হয়ে আবাসিক হলে আটকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এই আকস্মিক বিপর্যয়ে প্রথম থেকেই দায়িত্বশীল ভূমিকায় সামলে উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়(শাবিপ্রবি) প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যায় মেয়েদের দুই আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার পানির সংস্পর্শে থাকায় হলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই অবস্থায় গত ১৬ জুন থেকে খাবার পানি সরবরাহ বন্ধসহ অন্যান্য দিকে সমস্যা তৈরি হয়। প্রথম দিন থেকে হল প্রাধ্যক্ষদের তৎপরতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
১৭ জুন সরেজমিনে আবাসিক দুই হলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনা পারভীন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এই সময় মাঠপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ছাত্রীদের উদ্ধারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এগিয়ে এসে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: যমুনায় পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা কোয়ার্টারে আটকে পড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়াসহ খাবার, ওষুধ ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থাও করে প্রক্টরিয়াল টিম। বন্যায় আটকে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীদের যারা হল ছাড়তে পারিনি তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়াকৃত হোস্টেল আমির ও ফজল কমপ্লেক্সে রাখা হয়।
২ বছর আগে
ঈদের ছুটিতে ২৪ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে চবি
রোজা ও ঈদের ছুটিতে ২৪ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে এ ছুটি শুরু হচ্ছে। তবে এসময় আবাসিক হল খোলা থাকবে। ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে আগামী ১১ মে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) এস এম আকবর হোছাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঈদুল ফিতর, শবে কদর, মে দিবস ও রমজান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষ্যে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে। বন্ধের সময়ে আবাসিক হল খোলা থাকবে। বন্ধে শিডিউল শাটল ট্রেন চলাচল করবে। ছুটি শেষে আগামী ১১ মে থেকে ক্যাম্পাস যথারীতি চলবে।
আরও পড়ুন: চবি শাটলে পাথর নিক্ষেপ, আটক ৩
চবির দুই হলে তল্লাশি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
২ বছর আগে
ঢাবির আবাসিক হলের ক্যান্টিনের দেয়াল ধসে আহত ২
ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ইউএনবি) - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দীন হলে ক্যান্টিনের ভেতরের একটি দেয়াল ধসে দু'জন আহত হয়েছেন৷ আহত দু'জনই ক্যান্টিন কর্মচারী বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দেয়ালটি ছোট হওয়ায় ও পেছন দিকে ধসে পড়ায় খুব বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর ব্যতিক্রম হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিলো।
এদিকে দুর্ঘটনার পর হল প্রাধ্যক্ষ আবাসিক শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে ক্যান্টিন পরিদর্শন করেছেন। আহতদের আঘাত গুরুতর নয় বলে নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টিন পরিচালক মোবারক হোসেন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ ইউএনবিকে বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা একজন প্রকৌশলীসহ ক্যান্টিন পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একজন সিনিয়র হাউজ টিউটর, দুইজন হাউজ টিউটর ও বিশ্বিবদ্যালয়ের একজন প্রকৌশলীকে নিয়ে চার সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেল জেলখানায়!
বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
৩ বছর আগে
১১ দফা দাবিতে বিএম কলেজ অচলের হুমকি শিক্ষার্থীদের
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের আবাসিক হল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে আবাসিক হলের কয়েক’শ শিক্ষার্থী পথসভা করে। পরে নতুন বাজার-কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে অধ্যক্ষ বরাবর দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে ক্লাস বা আবাসিক হলে ফিরবে না বলে জানিয়েছে তারা। কলেজ প্রশাসনের ক্ষমতার আওতাধীন দাবি পূরণের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলার আসামি বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার
পথসভায় শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, করোনাকালীন বন্ধের পর রহস্যজনক কারণে আবাসিক হলের ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনিতেই হলগুলোর সংস্কার দরকার, ঝুঁকি নিয়ে আবাসিক হলে বসবাস করেও যদি অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হয় তবে তা অমানবিক। তাই অতি দ্রুত হলগুলোকে বসবাস উপযোগী, বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার,ডায়েনিং এর ব্যবস্থা, হলের নিরাপত্তায় প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে। তাছাড়া আবাসিক হলের পুকুরগুলো হোস্টেলের নামে পুনরায় বরাদ্দ দিতে হবে।
তিনি বলেন, যদি ১১ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হয় তবে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে বা ক্লাসে যাবে না। দাবি আদায় না হলে কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে কঠোর আন্দোলন করা হবে। এতে জেল-জুলুম আসলেও শিক্ষার্থীরা পিছপা হবে না বলে জানান তিনি।পথসভার পরে নতুন বাজার-কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার কাছে ১১ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
স্মারকলিপি গ্রহণের পর অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের জানান,‘উত্থাপিত দাবি পূরণের সকল ক্ষমতা কলেজ প্রশাসনের হাতে নেই। কলেজ প্রশাসনের ক্ষমতার আওতাধীন দাবি পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসা হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।
৩ বছর আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু
করোনার কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, প্রায় ১০টি বিভাগ করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস নিয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নিয়েছেন।
দীর্ঘদিন পর ক্লাসের যোগদান করে খুশি শিক্ষার্থীরা।
গত ৯ অক্টোবর আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল খুলে দেয়া হয়। তবে করোনার টিকার কমপক্ষে এক ডোজ নেয়া শিক্ষার্থীদেরই শুধু হলে উঠার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
২০ অক্টোবর হচ্ছে না ইবির সশরীরে ক্লাস
৩ বছর আগে
ঢাবিতে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু
করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে ৫ অক্টোবর কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে উঠার অনুমতি দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। পরে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও ১০ অক্টোবর থেকে হলে উঠার অনুমতি দেয়া হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় প্রভোস্ট স্টেন্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিল আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
৩ বছর আগে
ইবিতে ১০ তলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক হলের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে দুটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে, ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুইটি ১০ তলা বিশিষ্ট আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি আবাসিক হল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। কাজ সম্পূর্ণ হলে দুই হলে একইসাথে দুই হাজার শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হল উদ্বোধনের আগে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন হওয়ায় আমি আজ আনন্দিত। একসময় আমরা বিশ্বের কাছে মিসকিনের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন চলমান আছে। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। তবে দেশে বিশাল জনগোষ্ঠী ও সীমিত সম্পদ নিয়ে এবং রাজনৈতিক বৈরি পরিবেশে দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এটা কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে এই দুই হলের কাজগুলো শেষ হবে। কাজ সম্পূর্ণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে ৩২ টি উন্নয়ন কাজের প্রক্রিয়া চলমান।’
আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ইবির ১৭ শিক্ষক
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
অস্ট্রেলিয়ায় সেরা গবেষণা পুরস্কার পেলেন ইবি শিক্ষক
৩ বছর আগে
ফুলেল শুভেচ্ছায় জাবি শিক্ষার্থীদের বরণ
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)আবাসিক হল। সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হলে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়।
এ দিন সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উঠতে শুরু করেছেন নিজ নিজ হলে। এ উপলক্ষে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে হল প্রশাসন।
এ সময় উপহার সামগ্রী হিসেবে শিক্ষার্থীদের ফুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও স্ব স্ব হলের নাম সম্বলিত তিনটি করে মাস্ক, একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, চকলেট ও কেক দেয়া হয়।এছাড়া হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করানো হচ্ছে স্যানিটাইজেশন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে টিকা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
৩ বছর আগে
সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠা শুরু করেছেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে উঠার অনুমতি দিয়েছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খোলার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যে সকল নতুন শিক্ষার্থী গণরুমে থাকতেন তাদের হলে ঢুকার অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ. এফ. রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন তারা কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে তাদের আগে কিছুই জানায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
বিজয় একাত্তর হলের সঙ্গে সংযুক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দিবে শুনে আমরা এসেছি। গণরুম নেই বলে তারা আমাকে হলে ঢুকতে দিচ্ছে না। ১৭ অক্টোবর থেকে আমার সমাপনী পরীক্ষা। এখন আমি কোথায় যাব?’
স্যার এ. এফ. রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গণরুম প্রথা আর অনুমোদন করবো না। তাই নতুন শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিতে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে।’
কর্তৃপক্ষের মতে, করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া সাপেক্ষে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা তাদের টিকা সনদপত্র ও বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে হলে ঢুকতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে অধিকাংশ হলের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার বেসিন ও হলের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া হলের ডাইনিং কক্ষ, ক্যান্টিন, পাঠকক্ষ, অতিথিকক্ষও পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
৩ বছর আগে
শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে ২৫ অক্টোবর
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সব আবাসিক হল খুলবে আগামী ২৫ অক্টোবর। শুধু আবাসিক হলের বৈধ শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়া থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৭তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। ওইদিন হলে প্রবেশ করতে পারবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। ২৬ অক্টোবর স্নাতক চতুর্ষ বর্ষ, ২৭ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষ, ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বর্ষ এবং ২৯ অক্টোবর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। তবে অছাত্র বা ছাত্রত্ব নেই এমন কেউ হলে উঠতে পারবে না এবং শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়া থাকবে হবে।
ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে সকল শিক্ষার্থীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অক্টোবরের শেষে হল খুললেও নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কিছু কিছু বিভাগে সশরীরে ক্লাস শুরু হতে পারে। তবে অনলাইনে চলতে থাকা বিভিন্ন বিভাগের ক্লাসকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবিকে ‘শতভাগ ডিজিটাল’ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করব: উপাচার্য
৩ বছর আগে