ফটোগ্রাফি
স্মল বিজনেস ফটোগ্রাফি: প্রয়োজনীয়তা ও শেখার উপায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক
স্ব-নিযুক্ত পেশা বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্বাধীনতা এবং উদ্যোগী দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু এর সঙ্গে যখন নিজের সবচেয়ে ভালো লাগা কাজটি যুক্ত হয় তখন সেখানে তৈরি হয় সৃজনশীলতা ও নির্ভরতার জায়গা। ঠিক এমনি একটি কাজ, শখ বা যোগ্যতার নাম ফটোগ্রাফি। বর্তমান বিশ্বে যখন সর্বত্র দৃশ্যমান কন্টেন্টের জয়জয়কার, তখন ফটোগ্রাফি একটি আকর্ষণীয় ও নির্ভরযোগ্য ক্যারিয়ারের নামান্তর। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে কর্মশালা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অনলাইন থেকেও শেখা যাচ্ছে ফটোগ্রাফি। চলুন, স্ব-নিযুক্ত স্মল বিজনেসের জন্য এই দক্ষতা অর্জনের উপায় এবং এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
ফটোগ্রাফি শেখার প্রয়োজনীয়তা
কোনও ব্যক্তি বা বস্তুকে ফ্রেমবন্দি করার প্রতি ভালো লাগার অনুভূতিকে চূড়ান্তভাবে একটি সফল পেশায় রূপান্তর করার প্রথম শর্তই হলো ফটোগ্রাফি শিক্ষা। বর্তমান বিশ্বের শিল্প জগতের একটা বিরাট অংশ হচ্ছে স্থির চিত্র বা ছবি। বিনোদন, গবেষণা, এবং বিপণন; প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফিচার ছবি ছাড়া যেন অপূর্ণই থেকে যায় কন্টেন্টটি। এমনকি ওয়েব দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় কন্টেন্ট ভিডিওরও গোড়াপত্তনটা হয় ক্যামেরা থেকেই।
তাছাড়া একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ও পোর্টফোলির জন্য প্রয়োজন হয় উচ্চ-মানের ছবি। এক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য দরকার পড়ে ছবির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর উপর আলোকসজ্জা ও কম্পোজিশনের সামঞ্জস্যতা। এর জন্য সঠিক ক্যামেরা সেটিংটি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারিগরি দিকের বাইরেও বিকাশ ঘটাতে হয় শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির। এটি প্রকাশ পায় মূলত ছবির মাধ্যমে প্রকাশিত বার্তার মাধ্যমে। এই সবগুলো বিষয় সম্মিলিতভাবে পর্যায়ক্রমিক ফটোগ্রাফি শিক্ষার দিকে ধাবিত করে।
ফটোগ্রাফির বিভিন্ন ধরণ
ছবি তোলার কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে ফটোগ্রাফির শ্রেণি বিভাজন। সেই সঙ্গে ফটোগ্রাফি-ভিত্তিক ব্যবসার উদ্দিষ্ট গ্রাহকও বদলে যায়। যেমন ইভেন্ট ফটোগ্রাফিতে করপোরেট পার্টি এবং বিয়ে বা বার্ষিকীর মতো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি তোলা হয়। পণ্য এবং বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফির মূল বিষয় থাকে বিজ্ঞাপন, ক্যাটালগ এবং ওয়েবসাইটের ছবি। ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগত প্রোফাইল তৈরির জন্য প্রাধান্য পায় পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফি। দুর্লভ বা বিশেষ বন্যপ্রাণীর চমকপ্রদ উপস্থিতি থাকে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির কেন্দ্রবিন্দু। ঠিক তেমনি ফুড ফটোগ্রাফির সেশনগুলো থাকে বিভিন্ন ফলমূল, তৈরি খাবার বা খাবারের রেসিপি নিয়ে।
আরো পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
কারা ফটোগ্রাফি শিখতে পারেন
এই সৃজনশীল কাজটি প্রাথমিকভাবে স্থির চিত্রের মাধ্যমে জীবনকে তুলে ধরার শখ বা আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই অনুভূতি যারা লালন করেন তারা ফটোগ্রাফিকে তাদের প্রধান পেশা অথবা অন্য কাজের সহায়ক পেশা হিসেবে নিতে পারেন।
এছাড়া জীবনের নানা অঙ্গনের প্রতি ভালো লাগার ভিত্তিতে এই পেশাকে আরও সংকীর্ণ করে নিয়ে আসা যায়। যেমন যারা নিয়ত সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের মাঝে থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে ইভেন্ট ফটোগ্রাফি। এগুলোর মধ্যে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন হচ্ছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি।
যাদের বাহারি রকমের খাবারের প্রতি টান আছে, তাদের জন্য ফুড ফটোগ্রাফি। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ট্রাভেল বা ল্যান্ড্স্কেপ ফটোগ্রাফি, যার একটা বিরাট ক্ষেত্র হচ্ছে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি। এছাড়াও ফ্যাশন, বাণিজ্যিক পণ্য এবং স্থাপনাকে কেন্দ্র করেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগ্রহীরা ফটোগ্রাফার হতে পারেন।
ফটোগ্রাফির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
একাডেমিক শিক্ষার যেকোনো বিষয়ের মতো ফটোগ্রাফিরও রয়েছে ব্যাপকতা। তাই এই দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। মূলত এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষকের নির্দেশনাগুলো যাচাই করা যাবে। সেই সঙ্গে শিক্ষানবিশ সঠিক তালিম-ই পাচ্ছেন কিনা- সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
ফটোগ্রাফির কারিগরি দক্ষতা এবং শৈল্পিকতা এর বেশ কয়েকটি উপাদানের উপর নির্ভরশীল। এগুলো হচ্ছে ক্যামেরার অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আইএসও। এই বিষয়গুলো মূলত যে ব্যক্তি বা বস্তুকে ক্যামেরার ফ্রেমবন্দি করা হচ্ছে তার চারপাশের আলো ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ক্যামেরার লেন্স। কোন ধরণের ছবি তোলার জন্য কোন ধরণের লেন্স উপযোগী তা জানাটা আবশ্যিক। এই কারিগরি ব্যাপারগুলোতে যতটা অভ্যস্ত হওয়া যাবে, ক্যামেরাকে ততটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যাবে।
এছাড়া ছবি তোলার পরবর্তীও বেশ কিছু কাজ রয়েছে, যার জন্য প্রয়োজন হয় ইডিটিং সফ্টওয়্যারের। ফটো ইডিটিং-এর জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলো হচ্ছে অ্যাডোব ফটোশপ এবং লাইটরুম।
ফটোগাফি কোথায় শিখবেন
অনলাইন মাধ্যম
লাইভ ক্লাস বা আগে থেকে রেকর্ডকৃত টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো বর্তমানে কোনও স্কিল শেখার জনপ্রিয় মাধ্যম। বাংলাদেশে বেশ কিছু ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যারা এই অনলাইন সেবাগুলো দিয়ে থাকে। তন্মধ্যে ঘুড়ি লার্নিং-এর ‘লার্ন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি ফর বিজনেস’ কোর্সটি স্বল্প সময়ে বিশদ জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপযোগী। কোর্সটির প্রশিক্ষক বাংলাদেশের স্বনামধন্য ওয়েডিং ফটোগ্রাফার নাফিস ফুয়াদ শুভ।
যারা একদম নতুন, তাদের ফটোগ্রাফির জগতে প্রবেশের সেরা উপায় হতে পারে টেন মিনিট্স স্কুলের বেসিক ফটোগ্রাফি কোর্সটি। এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন দেশের সুপরিচিত ওয়েডিং ফটোগ্রাফার প্রীত রেজা।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
এছাড়া ‘মোবাইল ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি’ শিরোনামের ফ্রি কোর্সটিতে মিলবে দারুণ কিছু টিপ্স অ্যান্ড ট্রিকস।
ফটোগ্রাফির খুঁটিনাটি নিয়ে বিশদ জ্ঞান লাভের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট হতে পারে বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ইউডেমি। কারিগরি দিক এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ কেস স্টাডির ক্ষেত্রে এখানকার ফ্রি কোর্সগুলোই যথেষ্ট সমৃদ্ধ। সর্বাধিক রেটিংপ্রাপ্ত কন্টেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জিওগ্রাফি ফটোগ্রাফার ক্রিস ব্রে-এর ‘ইন্ট্রোডাক্টরি ফটোগ্রাফি কোর্স’। প্রথম সারির আরও একটি কোর্স হচ্ছে ওয়েডিং ফটো ও ভিডিওগ্রাফার জেরাড হিলের ‘ফটোগ্রাফি: ডিচ অটো - স্টার্ট শুটিং ইন ম্যানুয়েল’।
ধারাবাহিকভাবে সাজানো-গোছানো না হলেও ফ্রি রিসোর্সের ক্ষেত্রে বেশ আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। এখানে ফটোগ্রাফারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় চ্যানেলটি হলো ‘ম্যাঙ্গো স্ট্রিট’। ফটোগ্রাফার দম্পতি র্যাচেল গুলোটা ও ড্যানিয়েল ইনস্কিপ পরিচালিত এই চ্যানেলের ভিডিওগুলো বেশ ছোট। ফলে নিত্য-নতুন টিপস এবং কৌশলগুলো খুব সহজেই দর্শকরা গ্রহণ করতে পারেন।
স্ট্রীট ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ থাকলে দেখা যেতে পারে ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার অ্যালান শ্যালার ইউটিউব চ্যানেলটি। ফুড ফটোগ্রাফিতে সেরা চ্যানেল হচ্ছে জোয়ানি সাইমনের ‘দ্যা বাইট শট’। অন্যদিকে, ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি শেখার জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নাইজেল ড্যানসন’ এবং টেড ফোর্ব্সের ‘আর্ট অব ফটোগ্রাফি’।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
অফলাইন মাধ্যম
ফটোগ্রাফিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য দেশ জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত সংগঠন পাঠশালা। এখানে দীর্ঘ মেয়াদি একাডেমিক প্রোগ্রামের পাশাপাশি রয়েছে কয়েকটি স্বল্প মেয়দি কোর্স। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষে প্রায়ই এখানে ফটোগ্রাফারদের নিয়ে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
একই ধরণের আরেকটি প্রতিষ্ঠান কাউন্টার ফটো, যেটি মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এখানে ফটোগ্রাফির ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি বা প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ রয়েছে। অফলাইন প্রোগ্রামের পাশাপাশি ‘বেসিক অব ফটোগ্রাফি’ নামে কাউন্টার ফটোর একটি অনলাইন কোর্স রয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে পেশাজীবীদের পাশাপাশি নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য ৪ সপ্তাহব্যাপী ডিজিটাল ফটোগ্রাফি কোর্স রয়েছে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির তিন মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারে।
এছাড়া ফটোগ্রাফির ওপর স্বল্পকালীন প্রোগ্রাম আয়োজকদের মধ্যে আরও রয়েছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজম, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটি, এবং ছায়া ইনস্টিটিউট কমিউনিকেশন অব ফটোগ্রাফি।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
৩ মাস আগে
ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
ফ্রেমবন্দি মুহূর্তগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলতে ডিএসএলআর ক্যামেরার কোনো জুড়ি নেই। যে কোনো মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করার সময় সৃজনশীলতা চর্চায় স্বাধীনতার স্বাদ দেয় এই ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো। কারিগরি সরঞ্জামের দিক থেকে অন্যান্য ক্যামেরাগুলোকে ছাপিয়ে যাওয়ায় প্রত্যেক ফটোগ্রাফিপ্রেমীর স্বপ্ন থাকে এরকম একটি ক্যামেরা সঙ্গে রাখার।
ছবি তোলার সেরা অভিজ্ঞতা লাভের পাশাপাশি উচ্চ-রেজ্যুলেশন সেন্সর এবং বহুমুখী লেন্সগুলোর কারণে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে ক্যামেরাগুলোর। তাই এমন একটি যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুচিন্তিত বিনিয়োগের। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে নজর দেওয়া উচিৎ ক্যামেরা সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে। সেই বিষয়গুলোর সম্যক ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি চলুন, বর্তমান বাজারের জনপ্রিয় কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম ও ফিচার দেখে নেওয়া যাক।
ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো দেখা উচিৎ
সেন্সর
ক্যামেরার সেন্সর হলো একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ, যা আলো ক্যাপচার করে ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমে তাকে ফটোগ্রাফে রূপান্তরিত করে। সেন্সর প্রধানত ৩ ধরনের- ফুল-ফ্রেম, ক্রপ বা এপিএস-সি (অ্যাডভান্স্ড ফটো সিস্টেম-টাইপ সি) এবং মিডিয়াম ফর্মেট।
ফুল-ফ্রেম দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৪ মিলিমিটার। এই সেন্সরের ক্যামেরাগুলো বিস্তৃত টোনাল পরিধিতে বেশ ভালো কাজ করে। অর্থাৎ এগুলোতে আলোকিত বা অন্ধকারাচ্ছান্ন পরিবেশের ছবিগুলো বেশ দক্ষতার সঙ্গে ধারণ করা সম্ভব। ফুল-ফ্রেম ক্যামেরাতে কোনো ক্রপ ফ্যাক্টর থাকে না। এর মানে ভিউফাইন্ডারের মধ্য দিয়ে সামনে যা দেখা যায় অনেকটা অবিকল ঠিক তাই রেকর্ড করা যায়।
আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপ দেখতে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
এন্ট্রি ও মিড-লেভেল ক্যামেরাগুলোতে সাধারণত ক্রপ সেন্সরই বেশি থাকে। পূর্ণ-ফ্রেম থেকে তুলনামূলকভাবে ছোট ও হাল্কা এই সেন্সরগুলোর পরিমাপ ২৩ দশমিক ৫ x ১৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার। ক্রপ সেন্সর তার পূর্ব-নির্ধারিত পরিসীমা দিয়ে রেকর্ডকৃত ছবির নির্দিষ্ট অংশকে তুলে ধরে। ফলে অনেক দূর থেকে নির্দিষ্ট কোনো বস্তুর ছবি নেওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো দারুণভাবে ফোকাস করতে পারে। তাই এই সেন্সরগুলো বন্যপ্রাণী বা ক্রীড়া ফটোগ্রাফির জন্য উত্তম।
৩টির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল হলো মিডিয়াম ফরম্যাট সেন্সর, যার পরিমাপ ৫৩ দশমিক ৪ x ৪০ মিলিমিটার। সেন্সর বড় হওয়ার কারণে মিডিয়াম ফরম্যাটের ক্যামেরায় বেশি মেগাপিক্সেল থাকে। এতে করে বাস্তব দৃশ্যের রঙ ও আলো-আধারীর খেলার সঙ্গে এই ক্যামেরায় তোলা ছবির পার্থক্য কদাচিৎ ধরা যায়।
তবে মিডিয়াম ফরম্যাটের একটা বড় অসুবিধা হলো ধীরগতির বার্স্ট মুড এবং ফোকাস। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে চলমান কোনো বস্তুর শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এই সেন্সরের ক্যামেরাগুলো যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।
মেগাপিক্সেল
লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রঙের বিন্দু একত্রে মিশে তৈরি করে একটি ডিজিটাল ছবি। এই বিন্দুগুলোর নাম পিক্সেল। ২২-মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ছবিতে থাকে ২২ মিলিয়ন পিক্সেল। আপাত দৃষ্টে মনে হতে পারে যত বেশি মেগাপিক্সেল, ছবির রেজ্যুলেশন তত বেশি। তবে এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। সর্বোচ্চ মানের ছবির জন্য পিক্সেলের সংখ্যার সঙ্গে সেন্সরের আকার সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
৫০ মেগাপিক্সেলের একটি স্মার্টফোনের ক্যামেরায় যে পরিমাণ পিক্সেল থাকে, তা ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি মিডিয়াম ফরম্যাটের ক্যামেরার তুলনায় অনেক কম। কেননা স্মার্টফোনের ক্যামেরার সেন্সর অনেক ছোট। আর সেই ছোট জায়গার মধ্যেই একসঙ্গে থাকে ৫০ মিলিয়ন পিক্সেল। এর ফলে সেন্সরের আলো ধরে রাখার ক্ষমতা কম থাকায় ছবি ক্যাপচারের সময় ফ্ল্যাশ এবং শব্দের আধিক্য থাকে।
অন্যদিকে বড় সেন্সরে পিক্সেলের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকায় ছবির টোনালের গুণগত মান ভালো থাকে, তথা বাস্তব রঙগুলো ছবিতে নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠে।
লেন্স
কোনো বস্তুর ছবি তোলার পর ক্যামেরার লেন্সের ভেতরে যে বিন্দুতে বস্তুটির প্রতিবিম্ব তৈরি হয় তাকে ছবির ফোকাল বিন্দু বলা হয়। এই বিন্দু থেকে লেন্সের কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য নামে পরিচিত। এই দূরত্বটি লেন্সের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা এর উপর ভিত্তি করে লেন্সের প্রধান দুইটি শ্রেণী রয়েছে। একটি হচ্ছে প্রাইম, এবং অন্যটি জুম লেন্স।
প্রাইম লেন্সের একটি নির্দিষ্ট ফোকাল দৈর্ঘ্য থাকে। এখানে অ্যাপারচার বেশি হওয়ায় ভালো মানের ছবি পাওয়া যায়। যে অংশের মধ্য দিয়ে আলো ক্যামেরায় প্রবেশ করে, সেটিই লেন্সের অ্যাপারচার। এর পরিধি যত বেশি হয়, তত বেশি আলো ক্যামেরার সেন্সরে পৌছতে পারে। ফলশ্রুতিতে ছবিটি বেশি এক্সপোজার পায়।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি বিভ্রাট, বিশ্বজুড়ে ভোগান্তি
অপরদিকে জুম লেন্সে একাধিক ফোকাল দৈর্ঘ্য থাকে। বহুমুখী এই একটি লেন্স থাকলে ক্যামেরার জন্য একাধিক লেন্সের প্রয়োজন পড়ে না।
ফোকাল দৈর্ঘ্যে ৮ থেকে শুরু করে ২ হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ছোট ফোকাল দৈর্ঘ্যের লেন্সগুলো ছোট বড় প্রাকৃতিক দৃশ্য ও স্থাপত্য ফটোগ্রাফির জন্য ভালো। আর দীর্ঘ ফোকাল দৈর্ঘ্য খেলাধুলা বা বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির জন্য উপযুক্ত।
আইএসও সংবেদনশীলতা
আলোর প্রতি ক্যামেরার সংবেদনশীলতাকে বোঝাতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও)-এর সেট করা কিছু সাংখ্যিক মান রয়েছে। এগুলোকে সংক্ষেপে আইএসও বলা হয়। আইএসও সংখ্যা বেশি হওয়া মানে কম আলোতেই ক্যামেরাটি ছবি তুলতে সক্ষম। আইএসও ঘরের ভেতরে ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশের প্রয়োজনীয়তা কমায় এবং ছবিকে বাস্তবিক করে তুলতে পারে। তবে আইএসও’কে পরিবেশে বিদ্যমান আলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখা আবশ্যক। কেননা বেশি আইএসওর কারণে অনেক সময় ছবি নষ্ট হয়ে যায়।
যেমন রাতে বা কম আলোতে খালি চোখে যা দেখা যায়, তা ক্যাপচার করতে ১ হাজার ৬০০ আইএসও যথেষ্ট। তাই ডিএসএলআর বাছাইয়ের সময় আইএসওর রেঞ্জের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
অটোফোকাস সিস্টেম ও বার্স্ট রেট
একটি ভালো ফোকাসিং সিস্টেম স্থির এবং চলমান বিষয়গুলোতে আলাদাভাবে ফোকাস করার সুবিধা থাকে। উপযুক্ত ফোকাসিং সিস্টেম মানে প্রতি সেকেন্ডে ফ্রেম সংখ্যা বেশি (এফপিএস) হওয়া, বেশি ফোকাস পয়েন্ট এবং অটোফোকাস (এএফ) সিস্টেম। মূলত খেলাধুলা এবং অ্যাকশন ফটোগ্রাফি করার সময় কম সময়ে অনেকগুলো শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে এএফ সিস্টেম থাকলে অনেক দুর্দান্ত শট হারিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই মিলে।
এফপিএস ক্যামেরার বার্স্ট রেটকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে জানা যায় ক্যামেরাটি প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ফ্রেম শুট করতে সক্ষম। খেলাধুলা বা অ্যাকশন ছবির পাশাপাশি বেশি বার্স্ট রেট থাকা পোর্ট্রেইট ছবি ধারণের জন্যও ভালো।
শাটার স্পিড
ছবি ক্যাপচারের সময় আলোকে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য ক্যামেরার শাটার উন্মুক্ত হয়। শাটার খোলা থাকার সময়কে কম-বেশি করে ছবিটি কেমন দেখাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই সময়টির আরও একটি নাম আছে, যা এক্সপোজার টাইম নামে পরিচিত। শাটারের গতি পরিমাপ করা হয় এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ হিসেবে। যেমন, শাটার গতি ১/২ হাজার মানে- শাটারটি এক সেকেন্ডের ২ হাজার ভাগের ১ ভাগের জন্য খোলা থাকে। ভগ্নাংশের নিচের সংখ্যাটি যত বেশি হয়, শাটারও তত দ্রুত গতি সম্পন্ন হয়।
টেকসই কাঠামো
প্রতিকূল পরিবেশে ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর-এর গঠনটি মজবুত হওয়া অপরিহার্য। নানা ধরণের মজবুত উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ডিএসএলআর ধুলাবালি, আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার তারতম্য সহ্য করতে সক্ষম হয়। এতে করে ক্যামেরাটি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কম পড়ে এবং দীর্ঘ সময় ধরে নিশ্চিন্তে ফটোগ্রাফি করা যায়।
আরও পড়ুন: ওয়াল স্ট্রিটের অনুমান পেছনে ফেলে মুনাফা বেড়েছে এনভিডিয়ার
ব্যাটারির আয়ুষ্কাল
ছবি প্রক্রিয়াকরণের জন্য নানা ধরণের ফাংশন থাকায় একটি ডিএসএলআর ক্যামেরার যথেষ্ট পাওয়ারের দরকার হয়। তাই ছবি তোলার সময় ক্যামেরা যেন আকস্মিক ভাবে বন্ধ হয়ে না যায়, তার জন্য প্রথমেই একটি ভালো মানের ব্যাটারি নেওয়া উত্তম। অধিকাংশ ক্যামেরা আজকাল লিথিয়াম আয়নের মতো রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করে। এই ব্যাটারিগুলো ক্যামেরা সক্রিয় থাকার জন্য পর্যাপ্ত সময় ধরে শক্তির যোগান দিতে পারে।
ব্র্যান্ডের খ্যাতি
একটি ক্যামেরার কোন কোন বিষয়গুলো খুটিয়ে দেখতে হয় সে ব্যাপারে অনেকেই অনভিজ্ঞ থাকতে পারেন। বিশেষ করে নতুনদের জন্য এই খুটিনাটি যাচাই করে দেখাটা বেশ কষ্টসাধ্য। এই বিড়ম্বনা থেকে এক নিমেষেই মুক্তির উপায় হতে পারে ক্যামেরাটির ব্র্যান্ড কতটা সুপ্রতিষ্ঠিত সেদিকে নজর দেওয়া।
প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডগুলো বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ক্যাটলগসহ বিজ্ঞাপনগুলো কারিগরি দিক থেকে সুবিধাগুলোর বিস্তারিত বিবরণে সমৃদ্ধ থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ গাইডলাইনেরও ব্যবস্থা রাখে খ্যাতিমান ব্র্যান্ডগুলো। এছাড়া ফার্মওয়্যার আপডেট ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবার মতো বিভিন্ন ধরণের গ্রাহক পরিষেবার সুবিধা তো আছেই।
বর্তমান বাজারে প্রচলিত কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরা
ক্যানন EOS 4000D
১৮ মেগাপিক্সেল এপিএস-সি সেন্সর সমৃদ্ধ এই ক্যামেরার দাম ৪২ হাজার ৪০০ টাকা। আনুভূমিক ও উল্লম্ব ভাবে সেন্সর প্রায় ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার x ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার। লেন্স মাউন্টের জন্য আছে ইএফ (ইলেক্ট্রো ফোকাস) অথবা (ইএফ-এস ইলেক্ট্রো ফোকাস- শর্ট ব্যাক ফোকাস)। আইএসও এইচ: ১২৮০১ পর্যন্ত প্রসারণযোগ্য। শাটার অন-অফ সময় ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ডে নামিয়ে আনা যায়। ৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটারের এলসিডি মনিটরের ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল উল্লম্বভাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি এবং আনুভূমিকভাবে প্রায় ১৩০ ডিগ্রি। শক্তিকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিসের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৩ বছর।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
নিকন D5300
বর্তমানে ২৪ মেগাপিক্সেলের এই ডিএসএলআরটির দাম ৪৩ হাজার টাকা। এতে রয়েছে এপিএস-সি সেন্সর এবং থ্রিডি ট্র্যাকিংসহ ৩৯ পয়েন্ট এএফ সিস্টেম। ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৬০০ পর্যন্ত সম্প্রসারণযোগ্য আইএসও। এলসিডি মনিটরের পুরুত্ব ৩ দশমিক ২ ইঞ্চি। শাটার স্পিড ৩০ সেকেন্ড থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ড-এ বাড়ানো যায়। বিল্ট-ইন ওয়াইফাই এবং জিপিএসের পাশাপাশি আছে ইউএসবি ২ এবং মিনি টাইপ সি এইচডিএমআই। আরও আছে ফুল এইচডি ভিডিও ক্যাপচার সুবিধা। যে কোনো সমস্যায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ বছর পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিস পাওয়া যাবে।
ক্যানন 2000D
২৪ দশমিক ১ মেগাপিক্সেলের এই ডিএসএলআরটির মূল্য ৪৬ হাজার টাকা। সেন্সরের আকার প্রায় ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার x ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার। শাটারের স্পিড ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ড।
আইএসও এইচ: ১২৮০১ পর্যন্ত প্রসারিত করা যায়। লেন্স মাউন্ট ইএফ/ইএফ-এস। ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এলসিডি মনিটরে ভিউইং অ্যাঙ্গেল রয়েছে প্রায় ১৭০ ডিগ্রি। এছাড়াও ক্যামেরাটি ফুল এইচডি ভিডিও ক্যাপচারের সুবিধা দেয়। মডেলটির জন্য সার্ভিস ওয়ারেন্টি ৩ বছর।
নিকন Coolpix A1000
ওয়াইফাই, ইউএসবি, ব্লুটুথ এবং এইচডিএমআই আউটপুট সম্বলিত ১৬ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরার দাম ৫০ হাজার টাকা। সিমস টাইপ সেন্সরের আকার ১/২ দশমিক ৩ ইঞ্চি। অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা ৩৫গুণ এবং ডিজিটাল জুম ৪গুণ পর্যন্ত। দ্রুতি গতিতে চলমান কোনো বস্তুর শট নেওয়ার জন্য আছে কনট্রাস্ট-ডিটেক্ট এএফ। ১০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ সম্প্রসারণযোগ্য আইএসও এবং এক্সপোজার টাইম ১ থেকে ১/২ হাজার সেকেন্ডে উন্নীত করা সম্ভব। ৩ ইঞ্চি ওয়াইড ভিউইং অ্যাঙ্গেল এলসিডি ডিস্প্লে। সমগ্র ডিভাইসের পাওয়ার হাউস একটি রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। বিক্রয়-পরবর্তী সার্ভিস ওয়ারেন্টি ৩ বছর।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
নিকন D3500
৩ ইঞ্চির ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেলের এলসিডি স্ক্রিনের এই ডিএসএলআরটির মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
সেন্সরের আকার ২৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার x ১৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার এবং রেজ্যুলেশন ২৪ দশমিক ২ মেগাপিক্সেল। আইএসও কমপক্ষে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৬০০। এক্সপোজার টাইম ৩০ থেকে সর্বনিম্ন ১/৪ হাজার সেকেন্ডে কমিয়ে আনা যায়। D3500-এর বিশেষত্বের মধ্যে রয়েছে ওয়াইফাই, ৪ দশমিক ১ ব্লুটুথ, ইউএসবি, টাইপ সি মিনি-পিন এইচডিএমআই, এবং বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন। ভিডিওগ্রাফির জন্য আছে ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডের বৈশিষ্ট্য। দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহে নিবেদিত রয়েছে ১টি রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি।
বিক্রয়োত্তর ফ্রি পরিষেবা একটানা সর্বোচ্চ ৩ বছর।
ক্যানন EOS 250D
ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই সমৃদ্ধ এই মডেলটির বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। ক্রপ সেন্সরের রেজ্যুলেশন ২৪ দশমিক ১ মেগাপিক্সেল। আইএসও সর্বোচ্চ এইচ: ৫১২০০ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এক্সপোজার টাইম ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ডে উন্নীত করা সম্ভব। ৭ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার এলসিডি মনিটরটি টাচস্ক্রিনের। লেন্স মাউন্ট হিসেবে আছে শুধুমাত্র ইএফ। ডিএসএলআরটির আরও রয়েছে ফোরকে ভিডিও ক্যাপচারের বৈশিষ্ট্য। আর অন্যান্যগুলোর মতো এতেও পাওয়ার হাউস হিসেবে রয়েছে রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। তবে EOS 250D-এর জন্য ফ্রি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে ১ বছর।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
শেষাংশ
ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই সেন্সর, মেগাপিক্সেল ও লেন্সের মাঝে সামঞ্জস্য বিধান করা জরুরি। মূলত ঠিক কোন ধরণের বিষয় নিয়ে ফটোগ্রাফি করা হবে তা নির্ধারণ করে ক্যামেরা কেনার প্রতি অগ্রসর হওয়া উত্তম। তবে যারা ফটোগ্রাফির প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য ক্যানন ও নিকনের এই মডেলগুলো উপযুক্ত হতে পারে। এছাড়া এগুলোর মাধ্যমে একদম নতুনরাও ক্যামেরার কারিগরি বিষয়গুলো চর্চা শুরু করতে পারে।
৬ মাস আগে
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
নেশা বা পেশা যাই বলা হোক না কেন; ফটোগ্রাফি এখন আর চারপাশের প্রকৃতি ও মানুষকে ফ্রেমবন্দি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল কন্টেন্টের অবতারণা দারুণভাবে প্রভাবিত করছে সৃজনশীলতাকে। ছবি তোলার পরেও অকৃত্রিম কন্টেন্টগুলোতে নৈপুণ্যের পরশ দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন ধরনের শিল্প। ফলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও তৈরি হয়েছে নজরকাড়া এই শিল্পের বাজার। এভাবে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য। আজকের নিবন্ধটি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন সেরা কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। চলুন, ঘুরে আসা যাক ছবির ডিজিটাল বাজার থেকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার সেরা ৭টি প্ল্যাটফর্ম
অ্যাডোবি স্টক
বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাডোবির উচ্চ মানের গ্রাফিক পরিষেবা অ্যাডোবি স্টক। পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় ১৮ বছরের যে কোনো বাংলাদেশি সহজেই এই সাইট থেকে আয়ের চেষ্টা করতে পারবেন।
তাদের ওয়েবসাইটের কন্ট্রিবিউটর পাতায় গিয়ে ‘জয়েন নাউ’তে ক্লিক করে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে একটি অ্যাডোবি আইডি। নিবন্ধনের সময় অন্যান্য তথ্যগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বাংলাদেশিরা ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মের মাধ্যমে ট্যাক্স তথ্যাদি জমা দিবেন।
সাইন-আপ প্রক্রিয়া শেষ করার পর পরই আপলোড করা যাবে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো। অবশ্য ছবিগুলো কোনও স্বীকৃত ব্যক্তি বা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পদের হলে, সেগুলোতে যে তার স্বত্ব আছে- এই মর্মে তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
এই সাইট প্রতিটি স্টক ছবির জন্য ৩৩ শতাংশ রয়্যালটি দেয়। সাধারণত কন্ট্রিবিউটররা প্রতি ছবি বাবদ কমপক্ষে শূন্য দশমিক ৩৩ (৩৬ দশমিক ২৩ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১৮ দশমিক ৪৬ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) পেয়ে থাকেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা হলে তারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শাটারস্টক
উচ্চমানের ছবির জগতে সুপরিচিত একটি নাম শাটারস্টক। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো ফটোগ্রাফি উৎসাহী যুক্ত হতে পারবেন এর বিশাল কম্যুনিটিতে। নিবন্ধনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের সাবমিট পাতায়। এখানে নাম, ইমেল ও মেইলিং ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাইন-আপ সম্পন্ন করা যাবে।
তারপর কয়েকটি ছবি জমা দিতে হবে। যেগুলো শাটারস্টকের নিজস্ব পর্যালোচকদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। কন্ট্রিবিউটরকে খেয়াল রাখতে হবে, ছবির কপিরাইট যেন শুধুমাত্র তার নিজের হয়।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মে ট্যাক্সের তথ্য জমা দিতে হবে। সাইটটি পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় বাংলাদেশিরা সহজেই পেমেন্ট নিজেদের ব্যাংকে নিতে পারবেন।
শাটারস্টক থেকে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি উপার্জন করা যায়। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৩০টি ছবির জন্য ১১১ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারের প্যাকেজটি কিনলেন। এখানে ১৫ শতাংশ রয়্যালটি পাওয়া কন্ট্রিবিউটররা তাদের প্রতি ছবির জন্য ৫৬ সেন্ট (৬১ দশমিক ৪৪ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) করে পাবেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা পড়লেই টাকাটা তোলার জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
১ বছর আগে
৫০ বছরের কূটনৈতিক বন্ধন: থাই দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফটোগ্রাফি ও ভিডিও প্রতিযোগিতার আয়োজন
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস একটি ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এ প্রতিযোগিতার শিরোনাম ‘মোর অ্যালাইক দ্যান উই মাইট থিঙ্ক: আনপ্যাকিং লিঙ্কেজ অ্যান্ড সিমিলারিটিজ বিটুইন থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার ঢাকার থাই দূতাবাস জানিয়েছে, এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য হল থাই ও বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা। যাতে ফটোগ্রাফের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন মিল উঠে আসে।
দূতাবাস ব্যক্তিগত বা যুগল হিসেবে বয়স ও বাসস্থান নির্বিশেষে থাই ও বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ছবি আহ্বান করেছে।
প্রতিযোগীরা এখন থেকে ৩১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা) ছবি জমা দিতে পারবেন।
আরও অনুসন্ধানের জন্য প্রতিযোগীরা ফেসবুকের মাধ্যমে ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বা [email protected] এই ঠিকানায় ইমেল করতে পারেন।
ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস শুধুমাত্র সময়সীমার মধ্যে পাওয়া ফটোগ্রাফ বিবেচনা করবে এবং ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে দূতাবাসের ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের জন্য ৩০টি শর্টলিস্ট করা ছবি (১৫ জোড়া) নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণের অগ্রগতির প্রশংসা থাই রাষ্ট্রদূতের
২ বছর আগে
ক্যামেরার চোখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি এ বছর শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। আয়োজিত হচ্ছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারপার্সন হাবিবা রহমান বলেন, এ প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জমা দেয়া ১৮ শতাধিক ছবি থেকে বাছাই করা সেরা ১০০ ছবি স্থান পেয়েছে।
আর এ সেরা ১০০ ছবি থেকে আমরা ১০ টি ছবি নিয়ে আলোকপাত করেছি যা দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, প্রকৃতি ও আবেগের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: ঢাবি কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
বাংলাদেশ
আলোকচিত্রী: মো. রবিউল হোছাইন, উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ
ছবিটি তোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ডিন কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনকারী কয়েকটি ঘটনার সাক্ষী এ স্থানটি। শিব নারায়ণ দাসের নকশা করা মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম এ স্থানেই উত্তোলিত হয়। তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে এ পতাকা উত্তোলন করেন।
৩ বছর আগে
সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রেট ক্যামেরার দুর্দান্ত ফোন অপো রেনো ৬
সম্প্রতি দেশের বাজারে অপো নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় রেনো সিরিজের নতুন ফোন রেনো ৬। এখন চলছে ফোনটির প্রি-বুকিং। রেনো ৬ এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ফটোগ্রাফি ও ক্যামেরা ফিচার। ফোনটির সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার ফিচার ফটোগ্রাফি মানুষকে দিবে নতুন অভিজ্ঞতা।
বরাবরের মতো রেনো ৬ ফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে রেনো গ্লো দিয়ে যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। হালকা-পাতলা রাখতে ফোনটির পুরুত্ব রাখা হয়েছে মাত্র ৭.৮ মিলিমিটার ও ওজন মাত্র ১৭৩ গ্রাম। ফলে খুব সহজেই যেকেউ যেকোন পরিস্থিতিতে ফোনটিকে তালুবন্দি করতে পারবেন। অতিরিক্ত ব্যবহারেও ফোনটি থাকবে নতুনের মতো। কারণ, এতে রয়েছে স্ক্যাচ প্রতিরোধক।
আরও পড়ুন: দেশে অপোর রেনো ৬ বিক্রি শুরু
চমৎকার ছবি তোলার জন্য ফোনটিতে রাখা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেট আপ। আছে শক্তিশালী এআই হাইলাইট ভিডিও। কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি টেকনিক ব্যবহার করে অপো সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার নিয়ে এসেছে। সেলফি প্রেমীদের জন্য এর ক্যামেরায় রয়েছে সলিড ৪৪ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এই ক্যামেরা যেকোন আলোতে নিখুঁত ছবি পাওয়া যাবে। ভ্লগ বা ইউটিউবে ভিডিও করার জন্য রেনো ৬ এ আছে এআই হাইলাইট ভিডিও ফিচার। পছন্দমতো পোর্ট্রেট স্টাইল বাছাই করে এআই প্যালেটে সিঙ্গেল ক্লিক করে দারুণ সব ছবি পাওয়া যাবে।
৪ হাজার ৩১০ এমএইচ ব্যাটারি থাকার কারণে ফোনটির চার্জ যেমন দেরিতে ফুরাবে তেমনি ৫০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জ থাকার কারণে দ্রুত চার্জিং হবে। ফোনটিতে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট থাকার কারণে টানা ব্যবহারেও কোথাও ফোনটি আটকাবে না। মাত্র ৪৮ মিনিটে ফোনটি শতভাগ চার্জপ্রাপ্ত হবে। সুপার পাওয়ার সেভিং মুড থাকার কারণে মাত্র ৫ শতাংশ চার্জ থাকলেও ন্যাভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে সবার সাথে সংযুক্ত থাকা যাবে। সুপার নাইটটাইম স্ট্যান্ডবাই মোড থাকার কারণে রাতের বেলায় মাত্র ৩ শতাংশ চার্জ খরচ হবে।
আরও পড়ুন: আসছে অপোর রেনো সিরিজের নতুন ফোন, থাকছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার
মাল্টি কুলিং সিস্টেম থাকার কারণে রেনো ৬ সহজে গরম হবে না। তাছাড়া র্যাম এক্সপ্যানশন প্রযুক্তি থাকার কারণে ৩জিবি,৫জিবি,৭জিবি পর্যন্ত মেমোরি বাড়ানো সম্ভব।
৮জিবি র্যাম ও ১২৮জিবি রম সম্বলিত রেনো ৬ দুই কালারে বাজারে পাওয়া যাবে। স্টাইলিশ অরোরা ও স্টেলা ব্ল্যাক কালারের ফোনটির দাম পড়বে ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা।
৩ বছর আগে
রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
সম্প্রতি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে এনেছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বপ্রথম ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন ‘ম্যাগডার্ট’। ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং, ইকোসিস্টেমে নেতৃত্ব দিতে ৩রা আগস্ট ম্যাগনেটিক ইনোভেশন ইভেন্টের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে সল্যুশনটি উন্মোচন করে রিয়েলমি। বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://cutt.ly/realme_MagDart_Launch
আরও পড়ুনঃ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
এ সল্যুশনে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম ৫০ ওয়াট ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জার, ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্টেড প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন রিয়েলমি ফ্ল্যাশ ও অন্যান্য বেশ কিছু ম্যাগনেটিক চার্জিং পণ্য। ম্যাগডার্ট সল্যুশনটি ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
রিয়েলমির প্রথম কনসেপ্ট ফোন ‘রিয়েলমি ফ্ল্যাশ’ এ রয়েছে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি। ম্যাগডার্ট ওয়্যারলেস চার্জিং এর ৫০ ওয়াট এর সাহায্যে এই ব্যাটারি মাত্র ৫ মিনিটে ০ থেকে ২০ শতাংশ এবং মাত্র ৫৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
৫০ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারে একটি সক্রিয় এয়ার কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা চার্জ দেওয়ার সময় তাপমাত্রা অনুকূলে রাখে এবং দীর্ঘ সময় উচ্চ স্তরে চার্জিং পাওয়ার বজায় রাখে। অন্যদিকে, ১৫ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারটি মাত্র ৩.৯ মিলিমিটার পুরু যা বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জার; এটি তাপ উৎপাদন কমাতে ও দীর্ঘ হাই-পাওয়ার চার্জিং সময় প্রদানে সক্ষম।
রিয়েলমির এই ইনোভেশন ইভেন্টে ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক ও একটি বিশেষ চার্জিং বেসও উন্মোচন করা হয়েছে। একসঙ্গে এই দুটি স্মার্ট সল্যুশন ভার্টিক্যাল চার্জিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চলতি পথে চার্জ দিতে চাইলে রিয়েলমির ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে চার্জ দেয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
এছাড়া, ম্যাগডার্টের সঙ্গে অন্যান্য স্মার্ট সল্যুশনও লঞ্চ করা হয়েছে। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে ম্যাগডার্ট বিউটি লাইট। সিনেমা দেখার সময় বা ভিডিও কল করার সময় ফোনকে ধরে রাখার জন্য ম্যাগডার্ট ওয়ালেটকে কিকস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রিয়েলমি জিটি ম্যাগডার্ট চার্জিং কেস; ম্যাগডার্ট টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি-কে চার্জিং সমর্থন করবে।
প্রতিনিয়ত রিয়েলমি বিশ্বব্যাপী তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য লিপ-ফরওয়ার্ড প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভ জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও বেশি এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও অনেকগুলো স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৩ বছর আগে
স্মার্টফোনের আকর্ষণই যখন ক্যামেরা: ভিভো এক্স৬০প্রো
গ্রাহকের চাহিদা যখন ক্যামেরা তখন স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোও সেই চাহিদা পূরণে ব্যস্ত। বাজারে আসছে একের পর এক দারুণ ক্যামেরা স্মার্টফোন।তবে, কিছু স্মার্টফোন সবকিছু ছাড়িয়ে যায়। বাজারে এখন তেমনি স্মার্টফোন ভিভো এক্স৬০প্রো।
এই স্মার্টফোনের মূল আকর্ষণ ক্যামেরা, যা দিয়ে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফিও করা সম্ভব অনায়াসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পথচলার ৩ বছর পার করল ভিভো
শুরুর দিনগুলোতে মুঠোফোন ব্যবহারের প্রধান লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক যোগাযোগ। এরপর সময়ের ধারাবাহিকতায় রেডিও এবং গান শোনাসহ, ছবি তোলা, ভিডিও করা এবং গেমিংয়ের মতো নানা উপযোগিতা যুক্ত হয়েছে। প্রাত্যাহিক জীবনের প্রায় সকল কর্মকাণ্ডেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। আর এখন স্মার্টফোন ক্যামেরা হয়ে উঠেছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
স্মার্টফোন বাজার বিশ্লেষকরা জানান, ক্রেতারা স্মার্টফোনের বিভিন্ন স্পেসিফিকেশনের মধ্যে তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব দেন ক্যামেরার ফিচারে। আর তরুণদের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষেই থাকে স্মার্টফোন ক্যামেরা।
আরও পড়ুন: দেশে এল ভিভো ভি২০ এসই
ভিভো এক্স৬০প্রো-তে যা রয়েছে
কার্ল জেইসের লেন্স: ভিভো এক্স৬০প্রো কার্ল জেইস লেন্সের সহ-প্রকৌশলীযুক্ত একটি ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করছে। জেইস লেন্স ব্যবহার করে অনেকগুলো শীর্ষস্থানীয় ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে। যা বর্তমানে পেশাদার সিনেমাটোগ্রাফারদের জন্য পছন্দের লেন্সগুলোর মধ্যে একটি। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই কার্ল জেইস লেন্সের। ভিভো এক্স৬০প্রো পেশাদার ফটোগ্রাফার, সিনেমাটোগ্রাফার এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য হতে পারে অন্যতম আকর্ষণ।
গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রো প্রযুক্তি: সাধারণত, পেশাদার ফটোগ্রাফাররা ছবি ও ভিডিওকে আরও নিখুঁত এবং পরিষ্কার করে তুলতে গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার করেন। ভিভো গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রো প্রযুক্তিটি এক্স৬০প্রো স্মার্টফোনে সংযোজন করেছে। গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন চলমান অবস্থায় ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে। যার ফলে ছবি বা ভিডিও কেঁপে যায় না।
আরও পড়ুন:বিশ্বের প্রথম গিম্বল স্ট্যাবিলাইজার ফোন ভিভো এক্স৬০প্রো বাজারে
অন্ধকারেও ভালো ছবি: ক্যামেরার অ্যাপারচার যত কম হয় ক্যামেরা আলো ধারণ করতে পারে তত বেশি। ফলে অন্ধকারেও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ছবি ওঠে। ভিভো এক্স৬০প্রো’র ক্যামেরা অ্যাপারচার ১ দশমিক ৪৮ মি.মি.।
বলা হচ্ছে, এটি বাজারে থাকা কম অ্যাপারচার রেটের মধ্যে একটি। ফলে রাতের ঝকঝকে ছবি তুলবে ভিভো এক্স৬০প্রো।
সুপার প্যানারোমা: প্যানারোমা মোডে ছবি তুলতে গিয়ে হাত হালকা একটু নড়ে গেলেও ছবি ভেঙে যায়। কেননা কেঁপে যাওয়ার পর প্যানারোমা নতুন করে শ্যুট করা শুরু করে। এই সমস্যায় অনেকেই পড়ে থাকেন। কেননা হাত, মোবাইল বা ক্যামেরা কোনোটিই একবারে একইভাবে সোজা রাখা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান করবে ভিভো এক্স৬০প্রো।
ভিভো এক্স৬০প্রো সুপার প্যানোরোমা নাইট মোডের সাথে জেইস লেন্স এবং গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রোসহ কো-ইঞ্জিনিয়ারড টেকনোলজি সংযোজন করেছে। যৌথ এই প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার এবং ভিভো'র নিজস্ব এআই সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে সুপার প্যানোরোমা নাইট মোড; ব্যবহারকারীদের দারুণ ছবি তুলতে সহায়তা করে ।
এইচডিআর নাইট পোট্রেট: ভিভো এক্স৬০প্রো নিয়ে এসেছে হাই-ডাইনামিক-রেঞ্জ (এইচডিআর) নাইট পোট্রেট। এটি ছবির ফ্রেমের সূক্ষ্ন-পরিমাপ নির্ধারণ করে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন অবয়বকে পরিমিত আলোর সাথে প্রস্ফুটিত করে দারুণ ছবি তুলতে সাহায্য করে।
৩ বছর আগে
১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার স্মার্টফোন নিয়ে এলো রিয়েলমি!
তরুণদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি প্রথমবারের মতো তাদের স্মার্টফোনের সাথে নিয়ে এসেছে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
৩ বছর আগে