হত্যাচেষ্টা
একটি পরিবারের সকলকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
ঢাকার দোহারে ধীৎপুরে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানী থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ রুবেল ও তার সহযোগী রানা মাহমুদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার কে এম কাউসার চৌধুরী জানান, শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের বালাসুরে র্যাব-১০ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।
পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে থাকলে রুবেল ও তার সহযোগী রানাসহ অন্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়ির বাইরে থেকে পরিবারের সদস্যদের তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
গত ১৮ জানুয়ারি র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে মো. রানা মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে
গাজীপুরে স্কুলছাত্রী ও দাদিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিবার দুপুরে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ও তার দদিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
দগ্ধরা হলেন- হাজী নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা আক্তার আয়েশা (১৩) এবং তার দাদি বেবী বেগম (৫৫)।
তাদের দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে হাত ও পায়ের রগ কেটে ইউপি সদস্যকে হত্যাচেষ্টা
সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম শফিক সাংবাদিকদের জানান, সানজিদা তার দাদির সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় সানজিদার সৎ ভাই ও তার কয়েকজন সহযোগী তাদের রাস্তা অবরোধ করে। এক পর্যায়ে তাদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে রোববার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, সানজিদার বাবার সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা তাদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা করার পর স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোর রাতে সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মোমিন (২৬) ওই এলাকার ভেওয়ামারা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। তার স্ত্রী ময়না (২২) পিপুলবাড়িয়া গ্রামের নূরনবীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কয়েক বছর আগে ময়নার সঙ্গে বিয়ে হয় আব্দুল মোমিনের। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার ভোর রাতে মোমিন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ডেকে তুলে গলায় ছুরিকাঘাত করে। এতে স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর স্বামী শ্বশুরবাড়ির আঙ্গিনায় আম গাছের ডালের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি জানান, আহত স্ত্রীকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত আব্দুল মোমিনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সেই যুবকের পেট থেকে বের হলো আরও ৮টি কলম!
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত
১ বছর আগে
মাদারীপুরে হাত ও পায়ের রগ কেটে ইউপি সদস্যকে হত্যাচেষ্টা
মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর গ্রামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
পু্লিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রাত ৯টার দিকে পেয়ারপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান খালাসী(৫০) ঘটকচর বাজার থেকে নিজ বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। আলী ইসলাম তালুকদারের বাড়ির কাছে ব্রিজের পাশে ওৎ পেতে থাকা কতিপয় দুর্বৃত্ত তার হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
এসময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মান্নান খালাসীর মেয়ে লিমা আক্তার জানায়, আমার বাবার জরুরি চিকিৎসা দরকার। আমি দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মানোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার দায়ে স্বামীর ২০ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় স্বামী খুরশিদ প্রকাশ খুশ্যা সোবহানকে দুই ধারায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।নগরের বাকলিয়া থানার বউ বাজার রাজামিয়া কলোনিতে ২৩ বছর আগে নিলুফা বেগম নামে এই গৃহবধূকে গুলি করে আহত করেছিল তার স্বামী খুরশিদ।আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুরশিদ প্রকাশ খুশ্যা সোবহান পাগলা, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুছাগরা এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে নগরীর বাকলিয়া বউবাজার রাজামিয়া কলোনিতে ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ নিলুফা বেগমকে গুলি করে তার স্বামী খুরশিদ। এ ঘটনায় নিলুফা বেগমের মা নূর জাহান বাদী হয়ে খুরশিদ প্রকাশ খুশ্যা সোবহানকে আসামি করে চান্দঁগাও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ২০০৭ সালের ৫ ডিসেম্বর খুরশিদ প্রকাশ খুশ্যা সোবহানকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
২ বছর আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ৪ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় দণ্ডিত চার আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ড স্থগিত করে মামলার নথি তলব করেছেন। তবে আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকোচ করেছেন। মঙ্গলবার ওই আসামিদের আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- মো. ইয়াসিন আলী, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. আব্দুস সাত্তার ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, শুনানির জন্য তাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। জরিমানা স্থগিত করেছেন। কিন্তু জামিন দেননি।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল দৃর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। বিচার শেষে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। পরে আসামিরা আপিল করেন।
আরও পড়ুন: টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি ১৮ অক্টোবর
২ বছর আগে
ট্র্যান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগারকে হত্যাচেষ্টা
যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআ। শুক্রবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছেন। এছাড়াও ঘটনার বিবরণ পোস্ট করেছেন তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
সাদ মুআ তিনজন অপরাধীর মধ্যে দুজনের ছবি প্রকাশ করে লেখেন, ‘তিনজনের এই হচ্ছে দুইজন, যারা আমাকে আটকে রেখে আমাকে টর্চার করে সব কিছু নিয়ে নেয়। মেয়েটার নাম সায়মা শিকদার নিরা, ছেলের নাম ইশতিয়াক ফুয়াদ। এই মেয়েটাকে তারা স্যার স্যার বলে ডাকছিলো। আর ওয়াকিটকি তে রাফাত বিন নুর স্যার এর সঙ্গে কথা বলছিলো আমাকে পাচার করে দেয়ার জন্য। পরে জানলাম সে যেই রাফাত এর কথা বলছিলো, তিনি আর্মিতে চাকরি করেন; আর সে এখন মিশনে দেশের বাইরে আছে। আর ছবির ছেলেটা এয়ারফোর্সে ছিলো এবং কোনো কারণ বশত ওর চাকরি চলে যায়। ছেলেটি নর্থ সাউথে পড়ে আর মেয়ে টা পরে ড্যাফোডিল এ। অথচ ছেলেটা নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়, আর মেয়েটা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। কোথাও কোথাও বলে যে সে নর্থ সাউথে পড়ে। এছাড়া এদের পরিচিত লোকদের থেকে জানা যায়, ওদের বসুন্ধরা তে কয়েকটা বাসা ভাড়া নেয়া। সব জায়গাতে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে মাঝে মাঝে থাকে। বসুন্ধরার বাইরেও নাকি এদের বাসা আছে।’
ভাটারা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন ‘মামলাটি আজ হয়েছে। ঘটনার সম্পৃক্ততা কতটুকু তা তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সাদ মুআ বিউটি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। মেকআপ টিউটোরিয়ালসহ বিউটি কেয়ারের নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত তিনি।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ম্যানিফেস্টেশন প্রোগ্রাম শুরু রবিবার
চিত্রনায়িকা শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে স্বামী: পুলিশ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিরলেন শাহরুখ খান!
২ বছর আগে
দুই মামলায় কারাগারে নায়িকা একা
গৃহকর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর এবং মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশ রবিবার তাকে ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে হাজির করে। এরপর হাতিরঝিল থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রট মোহম্মদ জসিম রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগে তার গৃহকর্মী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
অপর মামলাটি একার বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে করেছে।
এদিন সন্ধ্যায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে পাঁচ পিস ইয়াবা, পঞ্চাশ গ্রাম গাঁজা এবং অর্ধেক বোতল কেরু মদ জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, একার বাসায় তিন মাস ধরে কাজ করেন এক গৃহকর্মী। এক মাসের বেতন দিলেও দুই মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গেলে ইট দিয়ে আঘাত করে গৃহকর্মীকে আহত করেন নায়িকা একা।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই গৃহকর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের মোবাইল টিমের সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখে, ওই গৃহকর্মী বাসার নিচে বসে কান্নাকাটি করছেন। এলাকার লোকজন বাসা ঘেরাও করে রেখেছে। পুলিশ দরজা ভেঙে একার বাসায় ঢোকে। প্রায় তিন মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করতেন গৃহকর্মী। বকেয়া বেতন দেয়া নিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। তার হাত, পা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নায়িকা একা গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: পরীমণি
ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ করেন তিনি।
পরীমণি এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেছেন।
পরিমণির স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র।
৩ বছর আগে
বরগুনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টা
বরগুনার আমতলীতে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে মেরে গুরুতর আহত করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ফুপুদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের শাহিন চৌকিদার দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। স্বামী সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকেই স্ত্রী সুমি বেগম (২২) বাবা খবির উদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতেই থাকেন। কিছুদিন আগে সুমির ফুপু বিলকিস বেগম সুমি সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে স্বামী শাহিনকে ফোনের মাধ্যমে জানায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত
সোমবার সকালে সুমির দাদা লাল মিয়া, ফুপু বিলকিছ বেগম, শেফালী বেগম, নাসিমা বেগম, কহিনুর বেগম ও ফুপা ফারুক মিয়া সুমিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বেধরক মারধোর করে। এক পর্যায়ে সুমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ফুপুরা মিলে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে ঘরে থাকা ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ কামাল মিয়া আহত সুমি ও তার মা লাইলি বেগমকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানায়, সুমির ফুপুরা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে আহত করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে।
সুমির মা আহত লাইলি বেগম বলেন, আমার মেয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংসার ভাঙার জন্য জামাইয়ের কাছে সুমির ফুপু ফোন দেয়। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমির ফুপুরা মিলে আমাকে ও আমার মেয়েকে বেধরক কিলঘুষি মেরে আহত করে আমার মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
আরও পড়ুন: সমাজে উঠতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিল প্রবাসীর স্ত্রী, মাতব্বরদের লঙ্কাকাণ্ড
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফুপু বিলকিছ বেগমকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে