সিলেট-৩ আসন
সিলেট-৩ আসনে ফলাফল প্রত্যাখান দুলালের
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাসী হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।
তিনি রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
পাশাপাশি ভোটের দিন বিকাল পৌনে ৪টায় সামগ্রিক অনিয়ম বিবেচনায় তিনি নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে নেন বলেও দাবি করেন।
ডা. দুলালের অভিযোগ, তার নির্বাচনি এলাকার প্রায় ৪৭টি ভোটকেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। বিকাল ৩টার দিকে নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোট প্রদানের উৎসব শুরু করেন।
তাছাড়া ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধর, হুমকি প্রদান ও পেশীশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট-২ আসন: পুনঃনির্বাচনের দাবি চার প্রার্থীর
লিখিত বক্তব্যে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে বলেন, নির্বাচনি প্রচারকালে তার কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পোস্টার, লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নৌকার প্রার্থীর কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের ঘোষণা, তোরণ নির্মাণসহ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।
নির্বাচনের দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস আর জাল ভোটের উৎসব। সকাল থেকেই তার বিভিন্ন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ও কোনো কোনো জায়গায় ঢুকার পর বের করে দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় বালাগঞ্জের বোয়ালজুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা দিলে তার একজন কর্মীকে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে।
শুধু তাই নয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে অন্যান্য এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই সময় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ট্রাক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
সোনাপুর কেন্দ্রে সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ছাড়া করার ঘটনা ঘটেছে। তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
তিনি আরও বলেন, কামালবাজার জালালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি নৌকার প্রার্থীর জন্য সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উক্ত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কারণ নৌকার প্রার্থী নিজে প্রথম ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করবেন সেজন্য এই অনিয়ম।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
১০ মাস আগে
সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ডা. দুলালের অনুসারীদের অভিযোগ- হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের নয়াবাজারে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের ট্রাক মার্কার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা চলাকালে হঠাৎ কয়েকজন সেখানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং ডা. দুলালের কর্মীদের উপর চেয়ার ছুড়ে মারে।
ডা. দুলালের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ জানান, সন্ধ্যায় আমাদের নির্বাচনী সভায় আকস্মিক হামলা চালান নৌকার প্রার্থীর কর্মী ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা ও তার সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কর্মী-সমর্থকরাসহ সাধারণ ভোটাররা ভীত হয়ে পড়েছেন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছেন। তারা আমার কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন।
এ ঘটনার পর ডা. দুলাল রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। আমি বিষয়টি শুনেই খবর নিয়েছি। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এমন করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের বলে দিয়েছি- নির্বাচনি প্রচারকালে কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে। তবে ৭ জানুয়ারি সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা। কারণ আমি উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই অবিরাম এই আসনের মানুষের জন্য কাজ করেছি।
১০ মাস আগে
এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ) আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ বছর আগে
করোনায় মারা গেলেন আ’ লীগের সংসদ সদস্য সামাদ
সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ) আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
৩ বছর আগে