ঋণ খেলাপি
ঋণ খেলাপিদের সুদ মওকুফ করা আপত্তিকর: সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন
ঋণ খেলাপিদের ঋণের সুদ মওকুফ করা খুবই আপত্তিকর উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, ‘এবারের বাজেটে আইএমএফের প্রভাব থাকায় পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনায় তেমন দিকনির্দেশনা দেখা যায়নি। অর্থপাচার, দুর্নীতি ও ঋণখেলাপি চক্র রোধ করা না গেলে এটিই সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কপোর্রেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
সরকারি ব্যাংকগুলো ৫০ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে তা খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফরাসউদ্দিন বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে বললেও তা অর্জিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুদ ও সরবরাহের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় খাদ্যাভাবে ৭৪ সালে বহু লোকের মৃত্যু হয়। তাই মজুদ ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
বাজেটে বিদেশ থেকে যে ৯৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে এটা মারাত্মক ক্ষতিকর অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করেন সাবেক গভর্নর।
আরও পড়ুন: তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন: ডেপুটি গভর্নর
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ায় জোর দেওয়া উচিত সরকারের। ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবে না, বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে যাবে। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে ও সামাজিক নিরাপত্তা খাত শক্তিশালী হবে।
সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
৫ মাস আগে
কক্সবাজারে ঋণ খেলাপির দায়ে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল
ঋণ খেলাপির দায়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে যাচাই-বাছাইয়ের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৪৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে 'ফিস প্রিজারভারস' নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনও সেই ঋণের একজন জামিনদার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
আরও জানা যায়, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো(সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।
এই বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার যেসব ঋণ খেলাপি ছিল, সবকিছু আদালতের মাধ্যমে সমাধান করেছি। তারপরও কেন বাতিল করেছে বুঝতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব।আশা করি ফিরে পাব।
এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ. শাহীন ইমরান বলেন,ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
১ বছর আগে
ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের এক শতাংশের জন্যও সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। বরং বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা স্বেচ্ছায় ফেরত না দেয়ার অভিপ্রায়েই ঋণ নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ঋণ নেয় (ইচ্ছা করে) পরিশোধ না করার জন্য। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু ব্যাংকারও জড়িত।’
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ কোটি টাকা।
শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে হামিদ বলেন, কেউ হবে রাজনীতিবিদ, কেউ হবে ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি, কেউ হবে আমলা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তা করতে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতির জন্য চরম বিপদ ডেকে আনে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
সার্কভুক্ত একটি দেশের অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থার সংবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্য আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অশুভ সম্পর্ক যেকোনো দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ তবে তিনি কোনও দেশের নাম বলেননি।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এসব শিক্ষার মূল ক্ষেত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজকের রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির ভূমিকা পালন করে। ছাত্র রাজনীতিতে এসব অশুভ ছায়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধিগ্রহণ ও চাঁদাবাজির কারণে ছাত্র রাজনীতিকে এখন আগের মতো সম্মানের পরিবর্তে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো নয়।’
ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে হামিদ বলেন, তারা নৈতিকতা বাদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে কীভাবে রাতারাতি ধনী হওয়া যায় তা চিন্তা করেন।
হামিদ বলেন, একই কথা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। চাকরি করার পর কীভাবে দ্রুত গাড়ি ও বাড়ির মালিক হবেন তা নিয়েই তারা চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘তারা ভুলে যায় যে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং জনগণের সেবক। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা মাঝে মাঝে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে দ্বিধা করে না।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দুর্নীতি অন্যতম বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত রাখতে হবে।
হামিদ বলেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষক আইনের অপব্যবহার করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে, আইনের অপব্যবহার করে এমন একটি বিভাগ তাদের সুযোগ-সুবিধা পেতে খুব ব্যস্ত। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদের ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না এবং শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সব কার্যক্রম ঠিক রেখে রাজনীতি, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে আপস করে অ-একাডেমিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম থেকে ৪৭তম ব্যাচের ৩১ হাজার ৭১৬ জন যোগ্য স্নাতকের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ২১৯জন অনার্স, মাস্টার্স, এম ফিল, পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রি এবং উইকএন্ড কোর্সের অধীনে নিবন্ধন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে ১৫ জন স্নাতককে আসাদুল কবির স্বর্ণপদক এবং শরাফুদ্দিন স্বর্ণপদক দেয়া হয় তাদের অসাধারণ একাডেমিক ফলাফলের জন্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালে, দ্বিতীয়টি ২০০১ সালে, তৃতীয়টি ২০০৬ সালে, চতুর্থটি ২০১০ সালে এবং পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
১ বছর আগে
সংসদে শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির তালিকা দিলেন অর্থমন্ত্রী
দেশের শীর্ষ ২০ খেলাপির মোট ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী তালিকায় শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির নাম, মোট ঋণের পরিমাণ এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পাচারকৃত অর্থ দেশে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে: অর্থমন্ত্রী
তিনি সংসদকে আরও জানান, দেশে মোট খেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন।
তালিকা অনুযায়ী, শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির মধ্যে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
অন্যান্য ১৯ জনের ঋণের পরিমাণ এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ হল-ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, এর সমস্তটাই খেলাপি ঋণ; রাইজিং স্টিল কোম্পানি লিমিটেড ১ হাজার ১৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা; মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, এর সমস্ত পরিমাণই খেলাপি ঋণ।
রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ একই। তাদের খেলাপি ঋণ ৮৭৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
ক্রিসেন্ট লেদারস প্রোডাক্টস লিমিটেডের ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।
কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সাদ মুসা ফেব্রিক্স লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৭২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল অংশীদার: অর্থমন্ত্রী
মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৭৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সামনাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫১ দশমিক ৭ কোটি টাকা।
মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এশিয়ান এডুকেশন লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৮৮৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
অ্যাপোলো স্টিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এহসান স্টিল রি-রোলিং লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সিদ্দিকী ট্রেডার্সের ঋণের পরিমাণ ৬৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
ক্ষমতাসীন দলের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, কৃষি ঋণের সুদ মওকুফের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এর কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে কৃষকদের ঋণ দেয়। আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে কৃষকদের দেয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়।
সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি, ঋণ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এই ঋণটি ৩০ বছরে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ পরিশোধযোগ্য।’
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাপান সরকার ৯২১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় দিয়েছে।
গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কর রাজস্ব কম ছিল উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মুদ্রানীতি এবং কঠোরতা নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব সংগ্রহ ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাজেটের প্রথম ত্রৈমাসিক কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
ব্যাংকে ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফ’র উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণের উচ্চ হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সচিবালয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ এ উদ্বেগ প্রকাশ করে। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুশাসনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এফআইডি’র সঙ্গে আলোচনায় ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিও জানতে চায় আইএমএফ।
তিনি জানান, ‘সরকার খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও তা কমেনি। বরং আগের চেয়ে বেড়েছে।’ কেন এমন হচ্ছে তা জানতে চায় আইএমএফ।
সূত্র জানায়, জবাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, সরকার খেলাপি ঋণ কমানোর চেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক দশমিক ১৩ লাখ কোটি টাকা, যা ৮ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। খেলাপিদের বেশিরভাগই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের।
আরও পড়ুন: ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
২ বছর আগে
বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের নেয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্পে পাঁচ থেকে আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও আমাদের অর্থায়ন করে থাকে। আমরা যেসব প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংক থেকে টাকা নিই সেটা কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে যে আয় হয়, সে অনুযায়ী জাতীয় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের প্রেক্ষিতে আমরা আবার তাদের সে লোন পরিশোধ করি।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী সুপেয় পানি সরবরাহে গ্রিডের কাজ চলছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত কখনো ঋণ খেলাপি করি নি। এতে করে বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ বেশি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকও আমাদের টাকা দিতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহরে যে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বা ব্রিজ-কালভার্ট করার প্রয়োজন আছে সেগুলোতে তারা সহযোগিতা করতে রাজি আছে। কোস্টাল এলাকায় সাইক্লোন হয়, সে সব এলাকার দূর্গত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেগুলোতে তারা অর্থায়নে রাজি আছেন।’
তিনি আরও বলেন,‘ আমাদের বেশ কিছু চলমান প্রকল্প আছে। আমাদের নতুন আরও কিছু প্রকল্প নিতে হবে। তারা আমাদের এখানে পাঁচ থেকে আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি আছে। এটা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হবে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে আমরা যেহতু নিজস্ব সামর্থ্যে করতে পেরেছি। তাদের এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার ছিলো, আমরা সেটায় চার বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে ব্রিজসহ কানেক্টিং রাস্তাও করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যত টাকা চাই এবং সে অনুযায়ী যদি প্রকল্প বের করি তাহলে তারা অর্থায়ণ করতে রাজি আছে। আমরা যাচাই বাছাই করছি, এডিবি থেকে নিবো নাকি ওয়াল্ড ব্যাংক থেকে নেবো নাকি জাইকা থেকে নেবো।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
২ বছর আগে
বিনা দোষে ৪ মাস হাজতবাসের পর মুক্তি পেলেন মিন্টু মোল্যা
যশোরে বিনা অপরাধে চার মাস হাজতবাসের পর আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন মিন্টু মোল্যা নামে এক দিনমজুর।
৩ বছর আগে