সাফারি পার্ক
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে ৩ লেমুর চুরি, গ্রেপ্তার ১
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী তিনটি রিংটেইল লেমুর চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জামালপুর জেলার সদর থানাধীন দড়িহামিপুর আকন্দ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম, দেলোয়ার হোসেন তওসীফ (২২)। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত আনুমানিক ১১ টায় ঢাকার শ্যামবাজার থেকে চুরি হওয়া একটি পুরুষ রিংটেইল লেমুর উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ রাত ১১ টা থেকে পরের দিন ভোর সাড়ে ৫ টার মধ্যে গাজীপুর সাফারি পার্কের লামচিতা ঘর-০১ নামক বেষ্টনীর জাল কেটে দুটি পুরুষ রিংটেইল লেমুর ও একটি স্ত্রী রিংটেইল লেমুর চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
তওসীফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে ডিবি। বাকি দুটি লেমুর উদ্ধার ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে প্রাণী নিখোঁজ নিয়ে হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার
লেমুর হল মাদাগাস্কারের প্রাইমেট গোত্রভুক্ত কিছু প্রাণীর সমষ্টিগত নাম। ল্যাটিন শব্দ লেমুরস থেকে লেমুর শব্দটির উৎপত্তি, যার অর্থ ভুতের মতো। রাতের আধারে লেমুরের মুখে আলো ফেললে অনেকটা ভূতের মতো দেখায়।
প্রাকৃতিকভাবে লেমুর সাধারণত আফ্রিকার মাদাগাস্কারেই দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রজাতিটি খুব সম্ভবত সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে মাদাগাস্কারে আবির্ভূত হয়েছিল। তখন থেকেই এই প্রজাতিটি সেখানকার আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
১৩ দিন আগে
সন্তানদের রক্ষায় নিজেরাই ঢাল হয়ে গেল হাতিরা
বিপদ টের পেলে সবার আগে বাচ্চাদের আগলে রাখার চেষ্টা করে মানুষ। নিজেদের প্রাণ গেলেও সন্তানদের রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তারা। এ এক চিরন্তন মায়া, যার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। এবার মানুষের মতো সন্তানদের প্রতি অদ্ভুত ভালোবাসা দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একদল হাতি।
ঘটনাটি সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালের। পাঁচ দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানদিয়াগো শহর। মাটিতে কম্পন শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চাদের রক্ষায় তৎপর হয়ে ওঠে শহরটির চিড়িয়াখানার সাফারি পার্কের একদল হাতি।
পার্কের বাইরে থেকে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সকালের আলোতে দাঁড়িয়ে ছিল পাঁচটি আফ্রিকান হাতি। হঠাৎ কম্পন শুরু হলে তারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।
এ সময়ে বয়স্ক তিন হাতি—এনডিলুলা, উমনগানি ও খোসি—সাত বছর বয়সী দুই বাছুর জুলি ও এমখায়াকে ঘিরে বলয় তৈরি করে ফেলে, যাতে কোনো বিপদ এসে তাদের ক্ষতি করতে না পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে সন্তানদের বাঁচাতে তারা ঢাল হয়ে গেল মুহূর্তেই।
বিপদ কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বলয়ের মধ্যে কয়েক মিনিট তারা ঘেঁষাঘেঁষি করে ছিল। তখন বয়স্ক হাতিগুলো বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল, যেকোনো বিপদ মোকাবিলায় তারা যেন প্রস্তুত। তাদের প্রসারিত কান ঝাপটাচ্ছিল তখন।আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে বন্য হাতির তাণ্ডব দমনে ব্যর্থ প্রশাসন, সড়ক অবরোধ
সানদিয়াগো থেকে শুরু করে ১২০ মাইল দূরের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকেও অনুভূত হয়েছিল এই ভূকম্পন। এতে সানদিয়াগো কাউন্টির সড়কগুলোতে পাথরের চাঁই আছড়ে পড়ে। ভূমিকম্পের উৎপাত্তিস্থলের কাছের ছোট্ট পাহাড়ি শহর জুলিয়ানে দোকানের তাক থেকে জিনিসপত্র নিচে পড়ে যেতে দেখা গেছে।
যদিও এতে বড় ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে হাতিরা। বিপদ মোকাবিলায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যায় তারা।
সানদিয়াগো চিড়িয়াখানা সাফারি পার্কের স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর মিন্ডি অলব্রাইট বলেন, ‘বাছুরগুলোকে ঘিরে বলয় তৈরি করার পর বিপদ কোথা থেকে আসছে, তা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করে হাতিরা।’
খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ও সামাজিক প্রাণী বলা হয় বৃহত্তর স্থলচর এই প্রাণীকে। পায়ের মাধ্যমে তারা আওয়াজ অনুভব করতে পারে। যখন তারা বিপদ টের পেয়ে যায়, তখন সতর্কতামূলক পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি বৃত্তের মতো তৈরি করে দাঁড়িয়ে যায়। বাচ্চা হাতিরা ওই বলয়ের মাঝে থাকে, আর বিপদ মোকাবিলায় বাইরের দিকে থাকে বড়রা।
সোমবারের ভিডিওতে দেখা যায়, বয়স্ক হাতিদের মধ্যে আশ্রয় খুঁজতে দৌড়াচ্ছিল বাছুরগুলো। এই মা হাতিগুলোই বাচ্চাদের বড় করেছে। কিন্তু নিজের সাহস দেখাতে একমাত্র পুরুষ হাতিটি বৃত্তের কিনারে দাঁড়িয়েছিল। তখন স্ত্রী হাতি খোসি শুঁড় দিয়ে তার পিঠে ও মুখে চাপড় দিয়ে বলতে চাচ্ছিল, ‘সবকিছু ঠিক আছে। কিচ্ছু হবে না। তুমিও বৃত্তের মধ্যে চলে এসো।’
১৭ দিন আগে
সাফারি পার্কে প্রাণী নিখোঁজ নিয়ে হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গাজীপুর সাফারি পার্কের দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। শুধুমাত্র চাকরিচ্যুতি নয়, এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের গাফিলতি করার সাহস না পায়।
বুধবার(৯ এপ্রিল) গাজীপুর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন করেন।
উপদেষ্টা বলেন, পার্কে ঘুরে তার মনে হয়েছে কিছু প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুরূপ পরিবেশে থাকলেও অনেক প্রাণীর জীবনমান পর্যাপ্ত নয়। কিছু হাতি ও জাগুয়ারের আচরণগত অস্বাভাবিকতা তাকে উদ্বিগ্ন করেছে।
তিনি বলেন, এই পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য শুধু বিনোদনের নয়, বরং প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা শেখার স্থান হওয়া উচিত।
সাম্প্রতিক প্রাণী নিখোঁজের ঘটনায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, একটি লেমুর হারিয়ে গেলে বুঝতে হবে ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি আছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে আমি সিসিটিভি ও নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি চিহ্নিত করেছি।
তিনি জানান, তদন্তে স্বচ্ছতা আনতে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রকল্প এলেই কাজ করবে– এমনটা হতে পারে না। সাফারি পার্ক একটি জাতীয় সম্পদ। এর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়মিত বরাদ্দ ও সদিচ্ছা প্রয়োজন। তিনি জানান, হাতির জন্য শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এবং ক্যাপটিভ হাতিদের কল্যাণে নতুন একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যারা গাজীপুরে থাকেন, তাদেরকেই প্রথম দায়িত্ব নিতে হবে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ, অবৈধ পাখি বিক্রি বন্ধ, ও নিখোঁজ প্রাণী উদ্ধারে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে: রিজওয়ানা
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন এবং বন বিভাগের চম্পা সম্মেলন কক্ষে গাজীপুরের বন অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি এসময় গাজীপুর পরিবেশ ও বন সংরক্ষণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি কর্মকর্তাদের কাছে সমস্যার কথা শোনেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
২৩ দিন আগে
লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের
মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন বাতিলের সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বুধবার (২ অক্টোবর) পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর একনেক সভায় শর্তসাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। একনেক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পের বিষয়ে সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব নিরূপণে চলতি বছরের ২১ আগস্ট চার সদস্যের কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইসতিয়াক উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ এবং বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
প্রকল্পটি বাতিল করতে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি সুপারিশ করেছে বলেও জানানো হয়।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাঠিটিলা বন ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র্য হটস্পটের অংশ এবং এটি একটি হাতি করিডোর। এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ বনাঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বনের জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রস্তাবিত সাফারি পার্কের ফলে সৃষ্ট প্রভাবসমূহকে বিবেচনায় নিয়ে এবং স্থানীয় অংশীজনদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কমিটি মনে করেছে এ প্রাকৃতিক বনে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা উচিত নয়। তাই প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
বনটির অবক্ষয়িত অংশ ও হুমকিগ্রস্ত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করার জন্য বন অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
২১২ দিন আগে
সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জনগণ যাতে ঝামেলা মুক্তভাবে কক্সবাজার ও গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রবেশ করতে পারে এজন্য অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, সাফারি পার্কের পরিবেশ ও বন্য প্রাণীর ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত ও যুগোপযোগী করা হবে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি। সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি বরাদ্দ সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
৪৬০ দিন আগে
সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দুই হাতির মারামারিতে মাথায় আঘাত পেয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মারা যাওয়া পুরুষ হাতিটির আনুমানিক বয়স ৪৭ বছর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
হাতি মৃত্যুর ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষের কোন অবহেলা আছে কিনা জানতে চেয়ে ঢাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বন বিভাগ।
ইমরান আহমেদ জানান, পার্কের অভ্যন্তরে হাতিশালায় গত ২১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় পার্কের অন্য হাতির আক্রমণে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায় হাতিটি এবং তাৎক্ষণিক ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত ভেটেরিনারি সার্জন মারা যাওয়া হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন এবং ওই হাতিটি ব্রেন স্টোকের কারণে মারা গেছে বলে অবহিত করেন।
হাতিটি ২১ ডিসেম্বর পার্কের ভেতরের হাতিশালায় মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানায়নি।
তবে ২২ ডিসেম্বর থানায় জিডি করেন তারা।
এর আগেও ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ১১টি জেব্রা ও বাঘের রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিলো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডোবায় পড়ে বাচ্চা হাতির মৃত্যু
নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
৮৫১ দিন আগে
বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি মনোরম জায়গা
চিরাচরিত যান্ত্রিকতায় পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে শহরের বাইরে বনভোজনে যাওয়ার সময় পাওয়া বেশ দুষ্কর। ব্যস্ততম শহর ঢাকার নিরন্তর বাড়তে থাকা ভিড়ে বেড়ানোর জায়গাগুলো সবসময়ই থাকে কোলাহলপূর্ণ। সেখানে সবুজে ঘেরা ছায়া ঢাকা পরিবেশে বা নদীর ধারে বনভোজন অসম্ভব ব্যাপার। তবে,নগরবাসীর এই চাহিদা পূরণ করতে পারে ঢাকার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা পিকনিক স্পটগুলো। সপ্তাহান্তের ছুটিতে দারুণ ভাবে কাটানো যেতে পারে পুরো একটি দিন। অস্থিরতার সাময়িক অবসানে একটু শান্তির নিমিত্তে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারেন ঢাকাবাসী। আর সেই পরিকল্পনার সহায়ক হতেই বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি চমৎকার জায়গার খোঁজ নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
ঢাকার কাছেই বনভোজনের জন্য ১০টি দর্শনীয় স্থান
জল ও জঙ্গলের কাব্য
বিগত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে গাজীপুরের পুবাইলের এই রিসোর্টটি। ৯০ বিঘা জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা রিসোর্টটি স্থানীয়দের কাছে পাইলট বাড়ি নামে পরিচিত। পুকুরে মাছ ধরা, শীতের পিঠা সহ অন্যান্য বাঙালি খাবার; সব মিলিয়ে জায়গাটির সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এক গ্রামীণ আমেজ।
আরো পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
এখানকার ডে আউট প্যাকেজে বড়দের জন্য খাবারের খরচ ২০০০ টাকা। বাচ্চাদের জন্য অথবা সঙ্গে গাড়ি চালক থাকলে তাদের খরচ মাথাপিছু ১০০০ টাকা। রিসোর্টটিতে যাওয়ার জন্য গ্রুপে নূন্যতম ১০ জন থাকতে হয়। প্রতি সপ্তাহান্তেই জায়গাটি বেশ ব্যস্ত থাকে, তাই যাওয়ার আগে বুকিং দিয়ে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।
উত্তরা দিয়ে টঙ্গীর রাস্তায় পূবাইল কলেজ গেট হয়ে রিসোর্টে পৌঁছানো যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
গাজীপুরের বাঘের বাজারে অবস্থিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান এটি। সাফারি পার্কটিতে রয়েছে ৫টি সেকশন: কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, জীববৈচিত্র্য পার্ক, বিস্তৃত এশিয়ান সাফারি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু চত্বর।
আরও পড়ুন: শীতকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের জনপ্রিয় ১০ স্থান
বন্যপ্রাণীদের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সাদা সিংহ তো আছেই। এছাড়াও দেখা পাওয়া যাবে জেব্রা, হরিণ, বাইসন, ম্যাকাও, হর্নবিল, ময়ূর, হাতি, কুমির, চিত্রা হরিণ, বানর ও হনুমানের। আলাদাভাবে দৃষ্টি কাঁড়ে জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর, অ্যাকোয়ারিয়াম, হাঁসের পুকুর এবং ছোট প্রজাপতি ঘের।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বনভোজনের জন্য প্রবেশ মূল্য ৪০০ টাকা। এছাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা করে রাখা হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিনি খোলা থাকে সাফারি পার্কটি। ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে বাঘের বাজার যেয়ে বাঁ দিকে কিছুদুর গেলেই পৌঁছানো যায় এই পার্কটিতে।
সোনারগাঁও পানাম নগর
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত হওয়া বাংলাদেশের হিন্দু বণিকদের সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত এই শহরটি এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সোনারগাঁও লোক-শিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘর, গোয়ালদী মসজিদ এবং সোনারগাঁয়ের অন্যান্য আকর্ষণগুলো দেখতে দেখতে সারাটা দিন কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত অঞ্চলটি সপ্তাহের ৬ দিন উন্মুক্ত থাকে দর্শনার্থীদের জন্য। শুধুমাত্র রবিবার বন্ধ থাকে পানাম নগর। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাত্র ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্যে এই ঐতিহাসিক স্থানটি ঘুরে বেড়াতে পারেন পর্যটকরা।
গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের পথে মোগরাপাড়া হয়ে হাতের বাঁ দিকে কিছু দূর এগোলেই পৌঁছানো যায় পানাম নগরে।
মৈনট ঘাট
প্রমত্তা নদী পদ্মার সাগরসম রূপের জন্য স্থানীয়দের কাছে এই মৈনট ঘাট মিনি সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। এখানে আসার পথে নবাবগঞ্জের পথে দেখে নেয়া যেতে পারে নবাবগঞ্জের জজবাড়ি, আনসার ক্যাম্প, কোকিলপ্যারি দালান, উকিলবাড়ি, খেলারাম দাতার বাড়ি বা আন্ধার কোঠার মত ঐতিহাসিক কিছু দর্শনীয় স্থান।
আরো পড়ুন: পাহাড় ভ্রমণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
লক্ষ্য যখন পদ্মার পাড়, তখন দর্শনার্থীদের সবারই মধ্যে হিড়িক পড়ে যায় ইলিশ ভাজা খাওয়ার। এছাড়া কার্তিকপুর বাজারের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও বান্দুরা বাজারের চারা বিস্কুট কিনে নিতে তারা ভোলেন না।
গুলিস্তান থেকে বাবু বাজার সেতু পার হয়ে দোহারের পথে এগোলে রাস্তা গিয়ে শেষ হয় মৈনট ঘাটে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলা সেতু দিয়েও ওঠা যায় দোহারের রাস্তায়।
জিন্দা পার্ক
নৌকা বাইচ, লাইব্রেরি, কৃত্রিমভাবে তৈরি খিলান-সুড়ঙ্গ এবং পদ্ম পুকুর; কোন কিছুরই ঘাটতি নেই ঢাকাবাসীদের প্রিয় জিন্দা পার্কে। পরিবারকে নিয়ে পিকনিক করার জন্য একটি আদর্শ জায়গা এই পার্কটি। ১৯৮০ সালে জিন্দা গ্রামের অগ্রপথিক পল্লী সমিতির ৫০০০ অধিবাসী দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গড়েছেন এই অপূর্ব পার্কটিকে।
আরও পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
পার্কে ঘোরার সময় গাছের ওপর দেখা যাবে টং ঘর, মাটির ঘর, সুন্দর স্থাপত্যশৈলীর লাইব্রেরি ও ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা। পার্কের লেকে নৌবিহারের জন্য সাজানো আছে ৮ টি নৌকা।
কুড়িল হাইওয়ে ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যেয়ে বাঁয়ে বেশ খানিকটা ভেতরে গেলেই পাওয়া যাবে জিন্দা পার্ক। এখানে প্রবেশ টিকেট জনপ্রতি ১০০ টাকা। লাইব্রেরির প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
আহসান মঞ্জিল
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী জমিদার পরিবারের সাক্ষী হয়ে আছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেষা এই গোলাপী প্রাসাদটি। প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই পর্যটকরা যেন নিজেদের আবিষ্কার করেন প্রাচীন কোন নগরীতে।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
একসময়ের পুরনো ঢাকার সবচেয়ে উচু ভিত্তির ওপর স্থাপিত এই দালানটি ১৯৯২ সাল থেকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জাদুঘরটি ঘুরে বেড়াতে ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। শুধু শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এছাড়া বৃহস্পতিবারসহ বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে এই দর্শনীয় জায়গাটি।
লালবাগ কেল্লা
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত বিধায় প্রাচীন ঢাকার এই দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছে লালবাগ কেল্লা হিসেবে। মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্দান্ত এই শৈল্পিক স্বাক্ষরটি ঔরঙ্গাবাদ দুর্গ নামেও পরিচিত। তিনটি দালানে পরিবেষ্টিত দুর্গের কেন্দ্রীয় এলাকাটি। পূর্বে দিওয়ান-ই-আম ও হাম্মাম, পশ্চিমে মসজিদ। আর এই দুয়ের মাঝখানে পরী বিবির সমাধি।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
সুন্দর ফোয়ারার একটি জলধারা তিনটি ভবনকে সংযুক্ত করেছে। পুরো স্থাপনাটি অবস্থিত বুড়িগঙ্গা নদী তীরের সমৃদ্ধ লাল মাটিতে। কেল্লা রবিবার বাদে প্রতিদিনি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাঝে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা আধঘন্টা বন্ধ থাকে। এছাড়া যে কোন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে লালবাগ কেল্লা।
গোলাপ গ্রাম
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুরে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত গোলাপ ফুলের এক বিস্ময়কর রাজ্যের নাম গোলাপ গ্রাম। এখানকার লাল, হলুদ ও সাদাসহ রঙ-বেরঙের গোলাপগুলো যে কোন পর্যটকের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। রাজধানীতে গোলাপ ফুল যোগানের একটি বিরাট অংশ পুরণ করে এই গ্রামটি। গোলাপের ক্ষেত্রে মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা সরু পথ নিমেষেই ভুলিয়ে দেবে শহরের যত কোলাহল।
এখানকার শ্যামপুর গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় বসে গোলাপের জমজমাট হাট। সেখানকার আবুল কাশেম বাজার ছাড়াও মোস্তাপাড়ার সাবু বাজারের সন্ধ্যাগুলো প্রতিদিনি মুখরিত থাকে ফুল ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। ঢাকা থেকে বিরুলিয়ায় সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। তবে মিরপুর ১-এর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে নৌকা ভ্রমনটি সবচেয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রা।
আরো পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
ঢাকা নগরবাসীর বনভোজনের জন্য সেরা জায়গা হলো গাজীপুর। আর সেই গাজীপুরের প্রধান আকর্ষণ হলো এই ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এখানে আছে চিড়িয়াখানা, ভাওয়ালের প্রাচীন গাছ শালের বন এবং একাধিক পিকনিক স্পট। চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে বাঘ, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, হাতি, ময়ূর ও হরিণের। থাকার জন্য আছে ১৩টি কটেজ এবং ৬টি বিশ্রামাগার। যাওয়ার জন্য আগে ভাগেই বুকিং দিয়ে নিতে হবে।
উদ্যানটিতে জনপ্রতি ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্যে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অব্দি ঘুরে বেড়ানো যাবে।
ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পেরিয়ে ময়মনসিংহ রুটে একদম ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের গেটের সামনে নামা যায়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট
বনভোজনের জন্য রিসোর্ট খুঁজতে গেলে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের এই রিসোর্টটি। নাট্য দম্পতি তৌকির আহমেদ ও বিপাশা হায়াত ২০১১ সালে প্রায় ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করেন এই রিসোর্ট।
সবুজে ঘেরা জায়গাটিতে গড়ে তোলা হয়েছে দীঘি, ঝর্ণা, সুইমিংপুল ও কনফারেন্স হল। তাই পরিবার-পরিজন কিংবা অফিসের কলিগদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট সেরা জায়গা।
এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার পর ময়মনসিংহ রোড ধরে পৌঁছাতে হবে রাজেন্দ্রপুরের রাজাবাড়িতে। তারপর রাজাবাড়ি বাজার থেকে ডান দিকে চিনাশুখানিয়া গ্রাম পর্যন্ত গেলেই পাওয়া যাবে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। রিসোর্ট ঘুরে দেখতে ৫০০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হবে।
আরো পড়ুন: সমুদ্রে স্নানের সময় সতর্ক থাকতে করণীয়
শেষাংশ
পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে বনভোজনের জন্য ঢাকার নিকটবর্তী ১০টি মনভোলানো স্থান শুধু একটি দিনকে স্মরণীয় করবে না; নতুন উদ্যমে কর্মব্যস্ত সপ্তাহটি শুরু করতেও শক্তি যোগাবে। এগুলোর প্রতিটি স্থানই প্রিয়জনদের নিয়ে একান্তে সময় কাটানোর জন্য একটি নিখুঁত প্রবেশদ্বার। তবে বনভোজনের পূর্বপ্রস্তুতিতে অবশ্যই সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ডগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে। সুন্দর পরিবেশকে সুন্দর রাখতে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, আনন্দের আতিশয্য যেন স্থানীয়দের বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
৯০১ দিন আগে
কক্সবাজার: সিংহী নদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক
কক্সবাজারের ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নদী নামে এক সিংহী আড়াই মাস ধরে ঘাড়ে গুরুতর আঘাতে ভুগছে।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ইনচার্জ মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, ১১ বছর বয়সী সিংহীটির শারীরিক অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, ‘আড়াই মাস ধরে চিকিৎসার পরও নদীর কোনো উন্নতি হয়নি। এখন সিংহী খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’
পার্ক ইনচার্জ জানান, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নদী তার সঙ্গী সম্রাটের (সিংহ) সঙ্গে মারামারিতে আহত হন। এই সময় সম্রাটও আহত হয়। আহত দম্পতিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী চিকিৎসা দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে
পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি সিংহ দম্পতি শারীরিক মিলনের সময় আবারও মারামারি করে আহত হয়। এ সময় নদী ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পায়। পরে সাফারি পার্কের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের চিকিৎসায় সম্রাট সুস্থ হয়। অন্যদিকে, নদীর ক্ষতবিক্ষত ঘাড় থেকে পানি ঝরতে থাকায় তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি নদীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডে ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ভেটেরিনারি সার্জন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী ও পার্ক সার্জন ডা. হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।
চকরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীর জানান, সিংহ সাধারণত ১২ থেকে ১৮ বছর বেঁচে থাকে। নদী এখন বার্ধক্য পৌঁছে গেছে। খাবারে তার কোনো রুচি নেই। প্রতিদিনই তার অ্যান্টিবডি কমছে। সে কারণেই সিংহীর অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাফারি পার্কে প্রবেশ মূল্য ফ্রি
মাজহারুল ইসলাম জানান, নদীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হীরার গর্ভে সিংহী নদীর জন্মগ্রহণ করে। তার ও সম্রাটের ঘরে একটি বাচ্চা আছে।
১১১২ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাফারি পার্কে প্রবেশ মূল্য ফ্রি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রবেশ মূল্য ফ্রি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদিনই পর্যটকরা পার্কে টিকিট ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আরও ২টি জেব্রা অসুস্থ, মেডিকেল বোর্ডের জরুরি সভা
সাফারি পার্ক পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, সারাদিন পর্যটকের জন্য পার্কে প্রবেশ ফ্রি করা হলেও ভেতরে আলাদা ইভেন্টে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজারের মতো পর্যটক পার্কে আসছেন। পার্কে ঢুকতে বড়দের জন্য ৫০ টাকা এবং ৫ বছর বয়সের উপরের শিশুদের জন্য ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য নির্ধারিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সাফারি পার্কে ৯ জেব্রার মৃত্যু, বৈঠকে বিশেষজ্ঞ টিম
এছাড়া জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পার্কের মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কের পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
১১৪৩ দিন আগে
সাফারি পার্কের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর থানায় পার্কের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রাণী কল্যাণ আইনে এ মামলা করেন।
রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ২ থেকে ২৯ জানুয়ারি বিভিন্ন সময়ে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রার মৃত্যু হয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেননি। এছাড়া এ ব্যাপারে তিনি থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেননি।
এছাড়া তিনটি মৃত জেব্রার পেট কাটার বিষয়ে তবিবুর রহমানের দেয়া বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হয়নি।
আরও পড়ুন: বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গবেষণার পর লাঠিটিলায় হচ্ছে সাফারি পার্ক
এ অবস্থায় সংঘটিত ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি বন্যপ্রাণির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। এজন্য প্রাণী কল্যাণ আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রফিকুল ইসলাম।
এর আগে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, বাঘ ও সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় পার্কের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সাফারি পার্কে সিআইডি'র নমুনা সংগ্রহ
১১৪৯ দিন আগে