অ্যাডভোকেট
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: জয়নুল আবেদীন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘কোনো অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আমরা অবিলম্বে টালবাহানা বন্ধ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের’ দাবির উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘একদিকে তারা নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে, অন্যদিকে আবার সারা দেশে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদি সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু তাতেও তাদের হুঁশ হয়নি। জামায়াতের কাজই হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।’
তিনি বলেন, ‘মোদি সরকার এখন শেখ হাসিনার হাত ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জনগণের মনোভাব বুঝতে পেরেছেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। আমরা অবিলম্বে তাদের এই টালবাহানা বন্ধ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন ও জীবা আমিনা আল গাজী, ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইশরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোসহ স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
এদিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীরা। জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কমীর্র উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল জনসমূদ্রে পরিণত হয়।
২৬ দিন আগে
ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি দূরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে ওঁৎ পেতে আছে। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
জাতি এখন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এ সময়ে ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসিনা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন: রিজভী
রিজভী বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন গেলো, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেডলাইন দিতে হবে এই সরকারকে।
তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সেরে নেওয়ার কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
৩২ দিন আগে
ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নজরদারি চেয়ে রিট
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক পোস্টের (কনটেন্ট) প্রচার-প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী তাপস কান্তি বল এই রিটটি দাখিল করেন।
সাংবাদিক সেলিম সামাদ,ড. মাসুম বিল্লাল,অ্যাডভোকেট জর্জ চৌধুরী ও সমাজ সেবক ভিক্টর রায় বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিটে বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই দেশে ফেসবুকের অপব্যবহার ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, গত নভেম্বর মাসে বিটিআরসি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম। তাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে উস্কানিমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ ও কুরূচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে তাদেরকে; বিশেষ করে ফেসবুককে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে যে জবাব এসেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নয়। এ কারণে একটি রিট দায়ের করেছি। রিট আবেদনটি সুপ্রিমকোর্টের অবকাশ শেষে আগামী জানুয়ারিতে শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
এর আগে গত নভেম্বরে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর হিন্দুদের মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা হয়েছে বলে এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়। সেটি ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের ২৭ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগেও রামু, নাছিরনগর, শাল্লা, বোরহানউদ্দিন, পাটগ্রাম, দেবহাটায় ফেসবুকের এমন ব্যবহারের এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে এ ধরনের ঘৃণিত পোস্ট বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণে বিবাদীরা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়,‘ডিজিটাল নিরপত্তা আইন অনুযায়ী ভুয়া, অসত্য তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদীর দায়িত্ব। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের জনগণের জান-মালের যে ক্ষতি হয়েছে সে সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের গাইড লাইন, আন্তর্জাতিক আইন ও দেশীয় আইন পালনে ব্যর্থ হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ফেসবুকে এসব অসত্য তথ্য প্রচার বন্ধে বিবাদীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পরে আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন,‘ফেসবুক ব্যবহার করে ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক (হেট স্পিচ) পোস্ট ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। হেট স্পিচের মাধ্যমে ছড়ানো সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। সেই দায়িত্ব প্রতিপালনে তারা ব্যার্থ হয়েছে। তাই এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যেখানে সরকারের কাছে ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
১১৮৬ দিন আগে
৪৯ ‘গায়েবী’ মামলার বাদীকে খুঁজতে হাইকোর্টে রিট
রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দাখিল করা ৪৯টি মামলার বাদীকে খুঁজে বের করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশনা দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
ওই সব মামলায় একরামুল আহসান কাঞ্চন ৪ বছরের বেশি দিন কারাভোগ করায় ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির এ রিট আবেদন দাখিল করেছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রিট আবেদনে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে করা সব মামলাই গায়েবী ও ভুয়া দাবি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, সিআইডি ও এসির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত: আরও ৫ সংগঠনের রিট
রিট আবেদনের বিষয়ে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির জানান, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় একরামুল আহসান কাঞ্চন অনেক মামলায় নিম্ন আদালত থেকেই খালাস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
সব মিলে ওইসব মামলায় ১ হাজার ৪৬৫ দিন কারাভোগ করেছেন একরামুল আহসান কাঞ্চন। এভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। এ কারণে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে যারা মামলা করেছেন সেসব বাদীকে খুঁজে বের করা এবং একরামুল আহসান কাঞ্চনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
১৩৮২ দিন আগে
শরীয়তপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
দীর্ঘ ২০ বছর পর শরীয়তপুরের বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মুন্সী ও তার ভাই মনির হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার রায় দিয়েছে আদালত।
১৪৬০ দিন আগে
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত
উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪৬২ দিন আগে