আল্লাহ
পবিত্র শবে মেরাজ আজ
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর রহমত কামনা করেন এবং সারাদেশের মসজিদ ও বাড়িতে বাড়িতে প্রার্থনা করবেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে দিনের সম্মানে প্রতি বছর ২৬ রজব রাতে মুসলমানরা শবে মেরাজ উদযাপন করেন।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ‘বুরাক’ নামক এক বিশেষ বাহনে করে মহানবী (সা.) মসজিদ আল-হারাম থেকে মসজিদ আল-আকসায় ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে তিনি বেহেশত ও দোযখ পরিদর্শন করেন। সে রাতে আল্লাহ নবীকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি
পবিত্র শবে কদর পালিত
সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর
১ বছর আগে
আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন: হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে এএনআইকে শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল তাদের দৃষ্টি এড়াতে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে দিল্লির পান্ডারা রোডে একটি ভিন্ন পরিচয়ে বসবাস করতেন।
এই ঘটনার প্রায় পাঁচ দশক পরে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী তার এ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
১৯৭৫ সালে খুব অল্প সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী বর্ণনা করেন হাসিনা। যখন তিনি তার পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে জার্মানিতে যান।
১৯৭৫ সালের ৩০শে জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে বিদায় দিতে তার পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে এসেছিলেন। এটা একটা সুখকর বিদায় ছিল এবং শেখ হাসিনার কোনো ধারণা ছিল না যে এটাই বাবা-মায়ের সঙ্গে তার শেষ দেখা হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার স্বামী বিদেশে থাকায় আমি একই বাড়িতে (আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে) থাকতাম। সেদিন সবাই সেখানে ছিল: আমার বাবা, মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাইয়ের স্ত্রী। তারা আমাদের বিদায় দিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন... সেটাই ছিল শেষ দিন, আপনারা জানেন।’
পনেরো দিন পরে ১৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনা এমন খবর পান, যা তার জন্য বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার পিতার মৃত্যুর খবরেই ভয়াবহতা থামেনি, এরপর একে একে তিনি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।
শেখ হাসিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। অবিশ্বাস্য যে কোনো বাঙালি এটা করতে পারে। কিন্তু তখনও আমরা জানতে পারিনি কিভাবে, আসলে কি ঘটেছে। আমরা শুধুমাত্র জানতে পারি যে একটি অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং তারপরে আমরা শুনেছিলাম যে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম না যে পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমদিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত একটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিসেস ইন্দিরা গান্ধী অবিলম্বে খবর পাঠিয়েছিলেন যে তিনি আমাদের, মানে নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিতে চান। আমরা আশ্রয়ের প্রস্তাব পেয়েছি... বিশেষ করে যুগোস্লাভিয়া থেকে মার্শাল টিটো ও মিসেস গান্ধীর কাছ থেকে। আমরা সেখানে (দিল্লি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা যদি দিল্লি যাই, সেখান থেকে আমরা আমাদের দেশে ফিরে যেতে পারব। এবং তারপরে আমরা জানতে পারব পরিবারের কতজন সদস্য এখনও বেঁচে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি খুব কঠিন সময় ছিল।’
তিনি আরও বলেন, জার্মানিতে নিযুক্ত তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীই প্রথম ব্যক্তি যিনি তার পরিবারের গণহত্যার বিবরণ দেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কয়েক মুহুর্তের জন্য, আমি জানতাম না আমি কোথায় আছি। কিন্তু আমি আমার বোনের কথা ভেবেছিলাম... সে আমার থেকে ১০ বছরের ছোট। তাই, আমি ভাবলাম সে এটা কিভাবে নেবে। এটা তার জন্য খুব কঠিন ছিল... দিল্লিতে, প্রথমে, তারা আমাদেরকে সমস্ত নিরাপত্তাসহ একটি বাড়িতে রেখেছিল, কারণ তারাও আমাদের নিয়ে চিন্তিত ছিল।’
তিনিও সম্ভাব্য (হত্যার) টার্গেট বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, যারা তার বাবাকে হত্যা করেছে, তারা অন্য আত্মীয়দের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে এবং তার আত্মীয়দের কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিহত ১৮ জন সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগই আমার আত্মীয়, কিছু গৃহকর্মী ও তাদের সন্তান এবং কিছু অতিথি নিহত হন।
ষড়যন্ত্রকারীদের স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল- বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ যেন আর ক্ষমতায় না আসে।
তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর...তারা তাকেও রেহাই দেয়নি। আমরা যখন দিল্লিতে ফিরে আসি, তখন সম্ভবত ২৪শে আগস্ট… তখন আমি প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীর সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের ডাকলেন... সেখানে আমরা জানতে পারলাম কেউ বেঁচে নেই। তিনি আমার স্বামীর জন্য একটি চাকরি এবং এই পান্ডার রোডের বাড়ির জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন। আমরা সেখানেই থাকলাম।
‘প্রথম ২-৩ বছর এটা মেনে নেয়া খুব কঠিন ছিল। আমার বাচ্চারা, আমার ছেলের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। আমার মেয়ে, সে ছোট ছিল… দুজনেই কাঁদত। তারা আমার মা, আমার বাবার কাছে ফিরে যেতে চাইতো এবং তারা এখনও আমার ছোট ভাইকে সবচেয়ে বেশি মনে রেখেছে’, আর যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এত কিছু হারিয়ে গেলেও, হাসিনাও বুঝতে পেরেছিলেন যে তাকে আগামীর কথা ভাবতে হবে।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এই অপরাধ, তারা শুধু আমার বাবাকে হত্যা করেনি, পরো জাতিকে তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। সব কিছু, শুধু এক রাতে, সবকিছু বদলে গেল। এবং সেই খুনিরা... তারা এখনও আমাদের তাড়া করছে। আমরা কোথায় ছিলাম তারা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল, তাই আমরা যখন পান্ডারা রোডে থাকতাম, তখন আমাদের নাম পরিবর্তন করতে হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবং আপনি নিজের নাম, নিজের পরিচয় ব্যবহার করতে পারছেন না এটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় দলের দায়িত্ব নেয়ার কথা আমি কখনও ভাবিনি।’
সেসময় শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন এবং এমনকি ১৯৮০ সালের ১৬ই আগস্ট লন্ডনে একটি জনসভায় দেয়া ভাষণে তিনি তার বাবার খুনিদের শাস্তির দাবি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের বিচারের আওতায় আনা বা তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য, যাতে তারা বিচারের আওতায় আসে, কারণ তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছিল। একটি অধ্যাদেশ ছিল... খুনিরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং দায়মুক্তি পেয়েছে... তারা দাবি করেছিল যে হ্যাঁ, তারা এই অপরাধ করেছে এবং তারা খুব সোচ্চার ছিল। কারণ তারা ভেবেছিল তারা খুব শক্তিশালী।’
সে সময় তিনি অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘একদিকে আমরা সবাইকে হারিয়েছি, অন্যদিকে আমি বিচার চাইতে পারি না। ন্যায়বিচার করা হচ্ছিল না। তাই এমন অবস্থা হয়েছিল। তারপর আবার, ১৯৮০ বা ৮১’র দিকে আমি দিল্লিতে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছিল। ‘আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন হয়েছিল, এবং সে সময় তারা আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে দলের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিল।’
আরও পড়ুন:নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি জানান, অবশেষে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে আবার দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি বেঁচে গিয়েছি। দিবালোকে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। আমি জানি না কিভাবে বেঁচে গেলাম। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আমাকে ঢেকে দিয়েছে, মানব ঢাল বানিয়েছে, তাই তাদের গাঁয়ে সব স্প্লিন্টার ঢুকেছে কিন্তু আমি... আমি বেঁচে গেছি... তারা আমার মিটিংয়ে একটা বিশাল বোমা রেখেছিল... কোনোরকমে এটা আবিষ্কৃত হলো... তাই, আমি আবার বেঁচে গেলাম। আমি জানি না... আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন, হয়তো আল্লাহ আমাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন পালনের জন্য।’
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে
সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে প্রার্থনা এবং পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানরা রবিবার তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপন করছে।
সারাদেশের মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে মুসল্লিরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রার্থনা করেন।
রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আল্লাহর নামে কোরবানির পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভালবাসা প্রদর্শনের জন্য নবী ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানী দিতে উদ্যত হন। এতে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ ইব্রাহীম (আ.) কে তার খলিল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি উদ্যাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পৃথক ঈদ বাণীতে দেশবাসীকে আত্মত্যাগের চেতনায় একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, গতবারের মতো এবারও করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলমানরা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস রোধে ধর্ম মন্ত্রণালয় ৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে ঈদগাহে ও মসজিদে আসতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ ও ঈদগাহের ওযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
আারও পড়ুন: রবিবার দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা
ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদ অথবা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর স্থগিত থাকার পর এবারও ঈদুল আযহায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় ।
অন্যদিকে, পবিত্র ঈদুল আযহা নির্বিঘ্নে উদযাপন নিশ্চিত করতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. কামরুল হাসান জানান, ঈদের দিন রাজধানীতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমাদের কাছে ঈদ উপলক্ষে সম্ভাব্য কোনো সন্ত্রাসী হামলার সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য নেই, তবুও আমরা কোনো ছাড় নিচ্ছি না।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের লোকজন শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পরিদর্শন করেছে। আমরা গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের ওপরও নির্ভর করছি।’
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর ঈদগাহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এবং এলিট ফোর্সের ডগ স্কোয়াডকেও কাজে লাগানো হবে।
এদিকে র্যাব কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ফুট ও মোবাইল টহল ইউনিট হাই অ্যালার্টে রয়েছে।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে এবং আমরা নজরদারি রাখতে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যববহার করব।’
তিনি আরও বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহসহ বিভিন্ন ঈদগাহে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এবং আমাদের এয়ার উইংও দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকবে।
সকল মহানগরী ও জেলা-উপজেলাযর প্রবেশপথে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে পশুহাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং রবিবার দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে। এ কাজে মোট ৯ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করি যে, অনেকেই ঈদের তৃতীয় দিনে কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন। আমরা বিনীতভাবে নিবেদন করছি -তৃতীয় দিনের অপেক্ষায় যাতে কেউ না থাকেন। ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই যেন সকলেই কোরবানি সম্পন্ন করেন। কারণ বর্জ্য অপসারণে আমরা একটানা দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা কাজ করব। সেজন্য তাদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন রয়েছে, ঈদের ছুটির প্রয়োজন রয়েছে।’
আারও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
বোন ও নাতনির সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন খালেদা জিয়া
২ বছর আগে
শবে বরাত পালিত
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে দেশব্যাপী পালিত হয়েছে সৌভাগ্য ও ক্ষমার রাত পবিত্র শবে বরাত।
মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শবে বরাতে মহান আল্লাহ আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এ রাতে তিনি তার সৃষ্টি জগতের সবার অতীতের কর্মকাণ্ড আমলে নিয়ে আগামী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে মানবজাতির জন্য স্রষ্টার অশেষ কল্যাণ কামনা করে বিশেষ নামাজ, কোরআন পাঠ, জিকির ও অন্যান্য ধর্মীয় ইবাদত করেছেন। মহামারি করোনাভাইরাসের কবল থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য মহান স্রষ্টার কাছে বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসলিমরা পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করেছেন।
পবিত্র শবে বরাতের রাতে ইবাদতের পর আজ অনেক মুসলমান নফল রোজা পালন করছেন। আজ সরকারি ছুটির দিন।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি ও রেডিওগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন।
৩ বছর আগে