পুলিশ-বিএনপি
খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আগতদের বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
খুলনার রূপসা উপজেলার বিএনপি কর্মী করিম মোল্লা জানান, সকালে তিনি ও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা খুলনা স্টেশনে পৌঁছে পাশের একটি হোটেলে চেক করার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি বলেন,`তারা কোথায় যাচ্ছেন এবং খুলনায় আসার কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।'
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং স্টেশনের কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং স্টেশনের আরও দরজা-জানালা ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন জানান, কাউকে বাধা দেয়া হয়নি। ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সমাবেশ শুরু হওয়ায় বর্তমানে রেলস্টেশনের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৬
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
২ বছর আগে
পুলিশ-বিএনপির সহিংসতায় দুই মামলায় সহস্রাধিক আসামি, গ্রেপ্তার ২৪
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সহস্রাধিক আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব সন্ধ্যায় জানান, পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্র লুটের চেষ্টা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান আসামি করে দলের ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও সাত থেকে ৮০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিনের দায়ের করা এ মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার
আগেরদিন বুধবার দিবাগত রাতে মুক্তারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ২৪ জনকে আটক করে। তাদের সকলের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মুক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দোকানপাট ভাংচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও এক থেকে দেড়শ’ জনকে।
এদিকে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বিকালে শহরের কাচারীস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হয়।
পরে বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. আনিছউজ্জামান আনিছ, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট শাহীন মো. আমানুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য ও পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সকালে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকা থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানারপুল এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: সিরাজগঞ্জে গ্রেপ্তার আরও ৩
সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলটির আরও ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তবাড়ি মহল্লার বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান রানার ছোট ভাই এনামুল হক পারভেজ।
রবিবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেয় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার শেল ও ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, এসময় পুলিশ ৫২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সাতজন পুলিশসহ কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার সকালের এ ঘটনার পর ওইদিন রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১১০ নেতাকর্মীর নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের খায়রুল ইসলাম নবিন (১৯) ও মেহেদী হাসানকে (২৮) গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত বিএনপির পাঁচজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ বছর আগে
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৮০০ থেকে ৯০০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আটক ১০ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিকালে তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর, কাজে বাধার অভিযোগ এনে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও আটশ’ থেকে নয়শ’ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের ভাই বাদী হয়ে পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সকল আসামি অজ্ঞাত।
জেলা বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সেক্রেটারি আব্দুর সবুর সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলসহ ৭১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ আছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি র্যালি বের করলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সৃষ্ট সংঘর্ষে শাওন আহমেদ রাজা নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আটক ৫
সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে যুবদলের এক কর্মী নিহত ও কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন।
নিহত শাওনের (২১) বাবার নাম শাহেদ আলী। সে ছাত্রদলের একজন কর্মী বলে জানা গেছে। শাওন ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপেও কাজ করতেন।
শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে কি-না তা এখনও জানা যায়নি।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, শাওন পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, ‘সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিছিলটি ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে আক্রমণ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরে। বন্ধ হয়ে যায় সকল মার্কেট-বিপণিবিতান। যানবাহন চলাচল থেমে যায়।’
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, নিহতের লাশ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৭
২ বছর আগে
নওগাঁয় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
নওগাঁয় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের কেডির মোড় এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, হেফাজত কর্মী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনার দুই-তিন মিনিট পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আবারও জড়ো হয়ে দলীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। সংঘর্ষ চলে প্রায় ২০ মিনিট ধরে। এতে ব্রিজের মোড়-কলেজ মোড় সড়ক ও কেডির মোড়-ব্রিজের সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে নওগাঁ সদর থানা ও পুলিশ লাইনস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। নেতা-কর্মীরা কেডির মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়ে। এতে আমিসহ দলের অন্তত ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হই। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক কোহিনুর ইসলাম মিলি ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্যদের নওগাঁ সদর হাসপাতলসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাভারে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী আটক
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, অনুমতি ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করে। ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করলে উপস্থিত সদস্যরা তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। বিএনপির কর্মীদের হামলায় ছয়-সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু জানান, পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর দুপুর ২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তারের নেতৃত্বে নওগাঁ শহরের তাজের মোড় এলাকার অন্বেষা নিশান ক্লাবে অভিযান চালিয়ে মুকুল হোসেন (৪৫), রেন্টু হোসেন (৪৪), সহিদুল ইসলাম (৪৬), আলাউদ্দিন বাবু (৫০), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও এনামুল হককে (৩২) আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে