মিনু
রাসিক নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে: মিনু
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। তাকে আর বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে নগরের মালোপাড়ায় মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ'লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আয়ের উৎস দেখার দাবি রাসিক মেয়রের
দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মহানগর বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি ও প্রহসনের নির্বাচন হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন এবং এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৯ মে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরের জনসভা শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে বিএনপি ও সহযোগী সংঠনের ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এভাবে বিনা কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসিক কর্মকর্তা কারাগারে
চট্টগ্রামে স্ত্রীর মামলায় আইনজীবী কারাগারে
১ বছর আগে
মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে নিখোঁজ
চট্টগ্রামে বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগ করে মুক্তি পাওয়া মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে ইয়াছিন (১২) নিখোঁজ হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াছিন কয়েক বছর ধরে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে একটি দোকানে কাজ করতো।
নিখোঁজের পর থেকে ইয়াসিনকে খোঁজে বেড়াচ্ছেন মিনুর ভাই মো. রুবেল। তিনি সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে ভাগ্নের সন্ধানে সেই দোকানে যান। কিন্তু দোকান ভেঙে ফেলায় খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও সড়কে প্রাণ গেল সেই মিনুর
এর আগে ২৮ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পর ‘অজ্ঞাত’ ব্যক্তি হিসেবে মিনুকে দাফন করা হয়। তবে ট্রাক চাপায় তার মারা যাওয়াকে অস্বাভাবিক দাবি করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
ইয়াসিন নিখোঁজের ব্যাপারে মো. রুবেল বলেন, মিনু আপা মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে তাঁর বড় ছেলে ইয়াছিনকেও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথমে শুনেছিলাম দোকানের মালিকের সঙ্গে বাঁশখালী গিয়েছিল। কিন্তু ইয়াছিন যে দোকানে চাকরি করতো সেটি এখন নেই। বিষয়টি পুলিশকে জানোনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ মিনু
মিনুর মৃত্যু নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। রুবেল বলেন, মিনুর মৃত্যুতে রহস্য থাকতে পারে। যারা মিনুকে কারাগারে নিয়ে গেছেন, তারা শক্তিশালী। কেউ যদি মিনুকে হত্যা করে থাকে তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মিনুর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, মিনুর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। মাত্র ১৩ দিন আগে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তিন বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় মিনু আসলেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, নাকি অন্য কেউ মিনুকে মেরে ফেলেছে? মিনুর মৃত্যু ঘটনাটির তদন্ত চলছে। যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়, তাহলে ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, মিনুর মৃত্যুর পর দিনই বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে দাফন করেছে পুলিশ। বিনা অপরাধে জেল খাটায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের কারণে মিনু বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। মিনুর মরদেহ কিভাবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়?
মিনুর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খোরশেদ আলম বলেন, সড়কের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিনিয়র স্যারদেরকেও দেখানো হচ্ছে। গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনাটি রাতের বেলায় হওয়ায় একটু সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: অর্থের বিনিময়ে অন্যের সাজা ভোগ করা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে পারভিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।
মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সাজার পরোয়ানামূলে ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে মিনু কারাগারে যান।
৩ বছর আগে
কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ মিনু
সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামির পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে কারাগারে থাকা নিরপরাধ নারী মিনু চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
৩ বছর আগে
বিএনপি নেতা মিনু, দুলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দলটির চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বুধবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন-রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
আরও পড়ুন: অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুনিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার বলেন, রাজপাড়া থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বুধবার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করে। একই সাথে আগামী ২৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
আইনজীবী আসলাম সরকার বলেন, গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও বর্তমান সরকার উৎখাতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়। এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে গত ৯ মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গত ১৬ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
৩ বছর আগে