শেরপুর জেলা সদরের ভীমগঞ্জ এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন তার দুই সহযোগী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জের মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকারিয়া বাদল (৪৭) শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন।
আহতদের মধ্যে সোহাগ আলম (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রুহুলকে (৩২) শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার এসআই আনসার আলী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানী ঢাকায় নেওয়ার পথে জাকারিয়া বাদলের মৃত্যু ঘটে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে জাকারিয়া বাদলসহ ৩ জন একই মোটরসাইকেলে করে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মধ্যরাতে বিএনপি নেতা জাকারিয় বাদলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী জানান, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বাদলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সম্প্রতি জেলা বিএনপির কোন্দল স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। আবার হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গে বাদলের রাজনৈতিক বৈরিতা অনেক আগে থেকেই।
এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।