ত্যাগ
ইতালি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি সফর শেষে বুধবার দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিট) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটির কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি শেষে বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ২৩ জুন ইউনাইটেড নেশনস ফুড সিস্টেম সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে (ইউএনএফএসএস+২) যোগ দিতে রোমে যান।
২৪-২৬ জুলাই ২০ টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার অংশগ্রহণকারী ইউএনএফএসএস+২ অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, 'ফুড সিস্টেমস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন' শীর্ষক প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন এবং ২৪ জুলাই এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ উদ্বোধন করেন।
জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটের এক ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে নবনির্মিত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো লোলোব্রিজিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এফএও'র মহাপরিচালক কিউ ডংইউ, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেন্সলি ম্যাককেইন পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে 'জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা' এবং 'সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি' শীর্ষক দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপের ১৫টি দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত 'কনফারেন্স অব বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর ইন ইউরোপ'-এ যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ২৫ জুলাই ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি কমিউনিটি ইভেন্টেও অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নয়, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বিএনপি: রোমে প্রধানমন্ত্রী
নেপালকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
বাংলাদেশ এখন ভয়াবহ সংকটে রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে এবং যে কোনো সময় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রবিবার মুন্সীগঞ্জের জুবিলী রোডে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে কোনো রিজার্ভ নেই, সরকার যা হিসাব দিচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি ধার নেওয়া হচ্ছে। সুদ ও মূল পরিশোধ করা হলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
এখন ঋণ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও কাদের বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো এখন নির্দিষ্ট কিছু লোকের দখলে। তারা ব্যাংকের টাকা লুট করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তারা মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং শিশুর খাবারও কিনতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, মানুষ খরচ মেটাতে না পেরে হাসপাতাল থেকে তাদের রোগীদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের জন্য কিছুই নেই।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, সরকার কী রেশন কার্ড দিয়ে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, সরকার টাকা ধার করে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সরকার বলছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের আসল ধরন মানুষ জানে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বর্জ্য অপসারণের জন্য ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কাজ শুরু করার সময় দেখা গেছে, বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ লাইন বসানো হয়নি।’
দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কিছুই করা হচ্ছে না বলেও জানান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব জানে আলম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. জামাল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নোমান মিয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
১ বছর আগে
৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি শনিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বুধবার প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩' এর প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শীর্ষ সম্মেলন সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বৈশ্বিক কণ্ঠস্বরের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম।
সম্মেলনে এক ডজনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা ও মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠক করেন।
এছাড়া ওইদিন তিনি ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপ্পো গ্র্যান্ডি, প্রিন্স রহিম আগা খান, সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বার্সেট এবং আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট বার্সেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও'র সদর দপ্তরে এর মহাপরিচালক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন।
গত ১৫ জুন তিনি 'আ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ' এ যোগ দেন এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অফিসে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি ডব্লিউইএফ আয়োজিত 'নিউ ইকোনোমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এছাড়া কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ওকোনজো ইওয়েলা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
তিন দিনের ভারত সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাপ্রধান
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দীন আহমেদ ভারতে তিন দিনের সরকারি সফরে বুধবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
পরিদর্শনকালে জেনারেল শফিউদ্দিন চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাসিং আউট প্যারেডে যোগদানের পর কুচকাওয়াজের সালাম নেবেন।
আরও পড়ুন: যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী প্রধান, প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, পররাষ্ট্র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জেনারেল শফিউদ্দিন দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করবেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও পরিদর্শন করবেন তিনি।
সেনাপ্রধানের ৩০ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
১ বছর আগে
ফের নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসা ও ত্যাগের বিষয়ে নির্দেশনা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সরকার ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসা ও ত্যাগের বিষয়ে আবারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুলের মেয়াদ বাড়ল আরও ২ বছর
তিনি বলেন, ‘নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৮টার মধ্যে অফিসে আসতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে অফিস ত্যাগ করা যাবে না।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অলরেডি আবার ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, অফিস টাইমে সবাইকে অফিসে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া কালকেও আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং অফিস টাইমের আগে কেউ যেতে পারবে না। ইন্ডিভিজুয়ালি কোন দরকার হল, সে তার বসের কাছে জিজ্ঞেস করে পার্মিশান নিয়ে যাবে। কিন্তু ৮টার মধ্যে অফিসে আসতে হবে, আর পরিষ্কার (কথা) ৩টার আগে কেউ যেতে পারবে না। এটা আমরা এনসিউর করতেছি।’
এ নিয়ম কতদিন পর্যন্ত চলবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্দশনা দেয়া পর্যন্ত এই সময়সূচি থাকবে।’
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গত ২২ আগস্ট মন্ত্রিসভা বৈঠকে অফিসের নতুন সময়সূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা ২৪ আগস্ট থেকে কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ বাড়বে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
২ বছর আগে
সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে: জেনারেল আজিজ
ভবিষ্যতে মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:আল জাজিরার প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: সেনাপ্রধান
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় যশোর সেনানিবাসের এসটিসি অ্যান্ড এস প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ১৬ ও ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ১০ ও ১১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়নের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ শেষে পতাকা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন:দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নির্দেশ সেনাপ্রধানের
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে এসটিসি অ্যান্ড এস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এরপর প্যারেড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. শাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে কালার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ব্যাটালিয়নদের সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করেন।
আরও পড়ুন:সরকারের নির্দেশে যেকোনো সংকটে সেনাবাহিনী কাজ করবে: সেনাপ্রধান
পতাকা প্রদান শেষে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ব্যাটালিয়নের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।’
এ জন্য তিনি জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার যশোর এরিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আজকের এ বিশেষ দিনে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি বাঙ্গালি জাতীকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আর তার ফলশ্রুতিতে আজ আমরা স্বাধীন ও সার্ভভৌমত্ব দেশ বাংলাদেশ পেয়েছি।
এছাড়া তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ বীর শহীদ,বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে পার্বত্য চট্রগ্রামের সন্ত্রাস দমন অভিযান, জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডে আত্মদানকারী ১ হাজার ৮৮৬ জন শহীদকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের বিশেষ অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে এ অর্জন প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম ও অবিচল নেতৃত্বের অবদান। সেই সাথে সেনাবাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আমাদেরকে আরও নিরলসভাবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযুগী এবং চৌকসবাহিনী হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে সেনাপ্রধান উল্লেখ করেন।
জেনারেল আজিজ রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিটদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এই বিরল প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে আরও অধিক গৌরবের ও আনন্দময়।
তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরুপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিট সমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে