কঠোর লকডাউন
কঠোর লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ল
মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে অফিস আদালত, দোকানপাট, কল-কারখানা খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বাইরুটেশনের মাধ্যমে সীমিত আকারে চলবে।
মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ানো নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকের এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। পরবর্তী পরিস্থিতিতে আবারও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার।
পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়াল
৩ বছর আগে
লকডাউন বাড়ানো নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৫ আগস্টের পর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর লকডাউন নিয়ে কি সিদ্ধান্ত আসবে এ বিষয়ে এখনো প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে নির্দশনা পাইনি। লকডাউন নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিব আমরা।’
শনিবার (৩১ জুলাই) ইউএনবিকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়ত ৩ অথবা ৪ আগস্টে নির্দশনা দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানালে, আমরা আগামী ৩ আগস্ট সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করবো, ওইদিন না পারলে ৪ আগস্ট জানিয়ে দিব।
তিনি বলেন, আপাতত রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা খুলে দিচ্ছি সেটাও সীমিত পরিসরে।
আরও পড়ুন: দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা
লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্নজন সুপারিশ করেছেন। সংক্রমণ কমাতে গেলে আমাদের যেসব বিকল্পগুলো আছে সেগুলো আমরা চিন্তা করছি। সার্বিক বিষয়ে যথাসময়েই সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।
দেশে করোনা পরিস্থিতি:
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩ হাজার ৮৬২ জনের।
নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৬৭ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন।
পড়ুন: পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩০.৭৭ শতাংশ।
এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৫. ৮১ শতাংশ।
৩ বছর আগে
কঠোর লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন বেড়েছে
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের পর দেশে সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে।
দেশজুড়ে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে।
অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায় বের হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
অনেক বেসরকারি অফিস তাদের নিজস্ব কর্মীদের পরিবহনের ব্যবস্থা করায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় ৪১ লাখ ৮৬ হাজারের অধিক প্রাণহানি
লকডাউনে লোকজন রিকশায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গেছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা প্রত্যেক যানবাহন চেক করছি। যারা বৈধ কারন ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে এবং লকডাউন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।’
৩ বছর আগে
পুনরায় লকডাউনে রাজধানীর সড়কগুলোতে শুনশান নীরবতা
সরকারের পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন কার্যকর হওয়ায় রাজধানীর সড়কগুলোতে আগের চেয়ে নিস্তব্ধতা বেড়েছে।
করোনার সাম্প্রতিক ছোবল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতেই গত বৃহস্পতিবার টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
ঈদ উপলক্ষে প্রায় আট দিন লকডাউন শিথিল থাকার পর আবারও শুক্রবার থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুনরায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। তাই শুক্রবার রাজধানীর সড়কগুলো গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন একটা যান চলাচল করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
যান চলাচল বন্ধ থাকায়, শুক্রবার সকালে ঈদ শেষে ঢাকামুখী মানুষদের পায়ে হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
সরকারের সাম্প্রতিক লকডাউনের বিধিনিষেধে সকল পেশার মানুষই নিজ কর্মস্থল এলাকায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কেননা, বর্তমান লকডাউনে সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কোর্ট, কারখানাসহ সকল প্রকার রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব ও সেনাবাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে রাস্তায় বের হওয়া মানুষ ও যানবাহনের চালকদের।
তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে যাত্রীবাহী যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, রাস্তায় আটকা পড়া যানবাহনগুলোকেই উত্তরা এবং আব্দুল্লাহপুর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনও গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
এক প্রশ্নের জবাবে এই ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আমরা কঠোরভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছি। শুধুমাত্র জরুরি সেবার গাড়িগুলোই লকডাউনে চলাচল করতে পারবে।’
তবে শুক্রবার সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলার মানুষদের রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখ যেমন, টঙ্গী ব্রিজ, আমিনবাজার ব্রিজ, বাবুবাজার ব্রিজ এবং পোস্তগলা ব্রিজ দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ঢাকায় প্রবেশের মুখে বাসযাত্রী এসব মানুষদের বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই রাজধানীতে প্রবেশ করতে হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা জটিলতায় আরও ১৭ মৃত্যু
এসময় মানুষদের মাস্ক পড়া ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই লকডাউন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।’
৩ বছর আগে
কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
এর আগে দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে, গত ৩০ জুন ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩ বছর আগে
কঠোর লকডাউনে জুমার নামাজ: রাজধানীর দুটি মসজিদে ভিন্ন চিত্র
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। শুক্রবার জুমার নামাজে ঢাকার মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়। তবে বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলাকালে মসজিদে নামাজ আদায়ে সরকার কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাজধানীর দুটি মসজিদ ঘুরে ইউএনবির ফটোসাংবাদিকরা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন।
৩ বছর আগে
বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৬ জনকে অর্থদণ্ড
বাগেরহাটে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। তবে অলিগলিতে মানুষজনকে অহেতু ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। এছাড়া জেলার মোংলায় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছে।
শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি, মাস্ক ব্যবহার না করা এবং স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৬ জনকে অর্থদণ্ড করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, পুলিশ কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। জেলার প্রবেশদারে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ নানাভাবে কাজ কারছে।
বাগেরহাটের এনডিসি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ ভঙ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা তাদের অর্থদণ্ড করছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
৩ বছর আগে
লকডাউন লঙ্ঘন: নেত্রকোনায় ১১৪টি মামলা, জরিমানা আদায়
নেত্রকোণায় লকডাউন লঙ্ঘনের দায়ে ১১৪টি মামলা ও ৮১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই মামলাগুলো দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেও প্রথম দিন নেত্রকোণায় সকাল থেকে ঢিলেঢালা ভাব চলছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলা শহরে জন-সাধারণের ভিড় ছিল লক্ষনীয়। প্রতিদিনের মতোই হাট-বাজারগুলোতে ছিলো না কোন সামাজিক দূরত্ব। বাজার করতে আসা লোকজনের মধ্যে ছিল না কোন সচেতনতা। খুব অল্প সংখ্যক মানুষের মুখে ছিল মাস্ক। জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে লকডাউন উপেক্ষা করেই স্বল্পসংখ্যক অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, ব্যাক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। লকডাউন সফল করতে প্রশাসন ও আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি, বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া, সেনাবাহিনীর মেজর লেলিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম খানসহ প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় লকডাউন পালনে কিছুটা উন্নতি হতে থাকে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজি মোঃ আবদুর রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউন লঙ্ঘনের দায়ে ১১৪টি মামলা দায়ের করে ৮১ হাজার ৮ শ ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ৯০ কোটি টাকা দেবে সুইজারল্যান্ড
এদিকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও রেড ক্রিসেন্ট থেকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এবং এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মানুষকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
৩ বছর আগে
করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে ৮ হাজার ৮২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা দেশে প্রথম করোনা ধরা পড়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে সোমবার একদিনে ৮ হাজার ৩৬৪ জনের করোনা শনাক্ত ছিল আগের সর্বোচ্চ।
এছাড়া একদিনে আরও ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৭ হাজার ৬৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫টি। মৃতদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী।
আরও পড়ুন: ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নিয়ে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন। সুস্থতার হার ৮৯.৩৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে, বুধবার ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে, আদালত সমূহের ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালানার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: অকারণে বের হলে গ্রেপ্তার, ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি
এদিকে অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি, শপিংমল/মার্কেটসহ দোকানপাট, সকল প্রকার বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সকল প্রকার জনসমাবেশ ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য, খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সংশ্লিষ্ট কাজ, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, সকল গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক যাতায়াত করতে পারবে।
পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সকল পরিবহন, সকল বন্দর (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল), শিল্প-কলকারখান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এছাড়া, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। করোনার টিকা গ্রহণ, হোটেল-রেস্তোরা থেকে খাবার ক্রয় এবং বিদেশ যাত্রায় বাঁধা থাকছে না।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হলেও, বেশকিছু দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৪২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩০০ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৭ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৪৫৭ জন।
আরও পড়ুন: চীন থেকে শিগগিরই আরও ২০ লাখ টিকা আসছে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩৭ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৭ জনে।
৩ বছর আগে
অকারণে বের হলে গ্রেপ্তার, ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি
আগামীকাল ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের সময় অকারণে ঘর থেকে বের হলে গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে রাজধানী থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার বা তারও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। তারপর আমরা তাদের কারাগারে প্রেরণ করব এবং আদালতে হাজির করব।’
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল বলেন, ‘কোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না, তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিংবা ওষুধ কেনা এবং রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো জরুরি কাজে রিকশা ব্যবহার করতে পারবে। স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য রিকশা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।’
সাংবাদিকদের বাইরে যাওয়া নিয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, সাংবাদিকরা তাদের আইডি নিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি নগরীর গলিতেও পুলিশি টহল বাড়ানো হবে।
শফিকুল বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রবেশদ্বার ও প্রস্থানস্থান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হবে এবং নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি থেকে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখবেন কিভাবে?
ডিএমপি প্রধান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ২৬৯ ধারায় মামলা করা হবে।
৩ বছর আগে