বাগেরহাটে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। তবে অলিগলিতে মানুষজনকে অহেতু ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। এছাড়া জেলার মোংলায় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছে।
শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি, মাস্ক ব্যবহার না করা এবং স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৬ জনকে অর্থদণ্ড করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, পুলিশ কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। জেলার প্রবেশদারে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ নানাভাবে কাজ কারছে।
বাগেরহাটের এনডিসি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ ভঙ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা তাদের অর্থদণ্ড করছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক